সময়গুলো কেমন জানি অন্যরকম চোখে তাকিয়ে হাসছে আমার দিকে। খুব দ্রুতই চলে যাচ্ছে আমায় একা রেখে, তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে। তার মানে এই নই যে আমি আমার সময়গুলো অ’পাত্রে ঢেলে দিচ্ছি। তবে ব্যাস্ত সময় পার করছি! আমি অতটা ব্যাস্ত নই যতটা আমাকে দেখে মনে হয়। ব্যাস্ততার মাঝেও আমার ফুরসত আছে!
ফুরসত আছে ভাবার, স্বপ্ন দেখার, হাসার কিংবা কাঁদার। ব্যাস্ততার মাঝে ফুরসত খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারটাকে আমার চমৎকার লাগে! চমৎকার লাগে -হঠাৎ পাওয়া বগুডার দই এর মতো কিংবা টাঙ্গাইলের চমচম এর মতো অথবা কুমিল্লার রসে টইটম্বুর রশমলায়ের মতো।
ইদানিং আমার খুব বয়স লুকাতে ইচ্ছে হয় লজ্জাবতী নারীর মত, পাশের বাসার আন্টিটার মত! যে কিনা তার বয়স ৩৩ মনে করে যদিও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তার বড় ছেলের বয়স ২২।
মজার ব্যাপার হল বয়স লুকানোর মত বয়স এখনো হয়নি আমার তবুও লুকাতে ইচ্ছে হয়! ইচ্ছেগুলোকে তো আর ম্যানিলার দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা যাইনা।
এক সময় আমার সময় একদমই কাটত না। লোকাল বাসের মত কিংবা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা গামী মেইল ট্রেনের মত। সময়ের মেইল ট্রেন এখন বুলেট ট্রেনে রুপ নিয়েছে।
আমি গতি চেয়েছিলাম তবে এতটা বেশি চাইনি। এই না চাওয়ার একটায় কারণ! কারণটা আমাকে প্রায় ভাবাই, “আমি বুড়িয়ে যেতে চাইনা!”
আমি থাকতে চাই চির সবুজ বৃক্ষের মত, শীতের আকাশে উড়ে যাওয়া সাদা বকের মত কিংবা তরুণীর হাতের মায়া মাখা ভাপা পিঠার মত।