৭১ থেকে ২০১৩। ৪২ টি বছর বাংলার মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করেছে। তবে এই স্বাধীনতার ফল ভোগ করে করে এখন মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রায়। গণতন্ত্রের নামে এই দীর্ঘ সময় পরিবারতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র, অরাজকতন্ত্রই চলেছে মূলত। এ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ এটা জানে বুঝে। তবুও কেন জানি তারা এই নেতা-নেত্রীদের কথাই মেনে চলে। এই বিষয়টা আমার কাছে খুবই অদ্ভুত লাগে। এই জনগণই ভোটের দিন এলে নাচতে নাচতে ভোট কেন্দ্রে যায়। থুত্তুরে বুড়োরা নাতির কোলে বসে ভোট দিতে যায়। যদিও জানে এই ভোটের মাধ্যমেই নেতারা ক্ষমতায় গিয়ে যা ইচ্ছা তাই করে যাওয়ার বৈধতা পায়। নেতারা বড় গলায় বলে, জনতার জন্যই এইসব কিছু। অথচ তারা ভাল করেই জানে এই ভোটের বিনিময়ে তারা আগামী পাচ বছরের জন্য গোলামির শিকল নিজেদের গলায় পড়ে নেয়।
কিন্তু এতকিছু দেখার পর এখনও কি সময় হয় নি ঘৃণিত এই রাজনীতিকদের প্রত্যাখ্যান করার? এখনো কি সময় হয়নি এই নেতারা যে সকল পা চাটা কুত্তার ন্যায় মিডিয়ার উপর নির্ভর করে তাদের প্রত্যাখ্যান করার? এদের অনবরত মিথ্যা প্রচারের কারণেই তো আমাদের মগজ ধোলাই হয়ে গেছে। না হলে মৃত্যুপথযাত্রী একজন বৃদ্ধ মানুষ কেন ভোট দিয়ে নেতাদের পাপের ভাগিদার হয়?
ইদানীং আরো একটি সুর শুনছি। প্রতিবন্ধিদের ভোট দেওয়ার অধিকার আদায়ের দাবি। আচ্ছা, মগজ কতটুকু পচলে মানুষের এই ধারণা আসতে পারে যে, রাষ্ট্র পরিচালনার কথা তো দূরে থাক- যে দুনিয়ার কিছু বুঝে না তার ভোট দিয়ে কি হবে বা তার ভোট দেওয়ার জরুরত কী? কেউ কি একটু বোকার হদ্দকে একটু বুঝিয়ে বলবেন? বিশেষ করে যারা এই বিষয়ে আওয়াজ তুলছেন!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯