সাংবাদিকদের উপর হামলা। তাও আবার প্রকাশ্য দিবালোকে। কিন্তু ব্যাক্তিগত খবরে জানতে পেরেছি এই গোষ্ঠীটি বেশ কিছুদিন যাবত দৈনিক দেশেরপত্রের এই সাংবাদিকদের পেছনে লাগে। তারা দৈনিক দেশেরপত্রের উদ্যোগে ধর্মব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচনে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রদর্শন করে আসছিল। কিন্তু ধর্মব্যবসায়ী ঐ গ্রুপটি তা সহ্য করতে পারছেনা। তারা কোনভাবেই মোকাবেলা করতে না পেরে উগ্রবাদীদের ন্যায় শেষ পর্যন্ত শারিরীকভাবে হামলা করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু তারা এর মাধ্যমে কি জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে চায় নাকি জনগণের হৃদয় থেকে উঠে যেতে চায়? তারা যে সকল পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে তাদের উপর পাল্টা দমন অভিযানকে ফরজ করে তুলছে।
বাংলামেইলের ওয়েবসাইট থেকে খবরটি তুলে ধরা হলো:
টোকাইয়ের কবলে সাংবাদিক
স্টেশন-পুলিশ ফাঁড়িতে তাণ্ডব, ট্রেন বন্ধ
রংপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষ ও পুলিশ ফাঁড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এতে সাংবাদিক ও পুলিশসহ আহত হয়েছে অন্তত সাত জন। ভাঙচুর করা হয়েছে জানালার কাঁচ, আসবাবপত্র ও বিভিন্ন মালামাল। ঘটনার পর থেকে এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক-কর্মচারীরা রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে ছিনতাইকারীদের কবল থেকে আত্মরক্ষায় স্টেশন মাস্টারের কক্ষ ও পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নিলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে একদল পুলিশ সেখানে পৌঁছার আগেই স্টেশন এলাকা থেকে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে রংপুর পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকার সাংবাদিক রেজাউল করিমসহ তিন কর্মচারী বিকেলে রংপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় আসেন। এসময় একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মোবাইলফোন ও ল্যাপটপ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার জন্য তারা রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থিত পুালশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা সেখানে হামলা চালায়। এতে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান ও কনস্টেবল আজিজার রহমান আহত হন।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত সাংবাদিকরা সেখান থেকে দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে আশ্রয় নেয়। সন্ত্রাসীরা সেখানে গিয়ে তাণ্ডব চালায়। স্টেশন মাস্টারের কক্ষ তছনছসহ একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে। তাদের বাধা দিতে গিয়ে সহকারী স্টেশন মাস্টার তপন কুমার গেটম্যান জাহিদুল ইসলামসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়।
হামলার সময় স্টেশনে থাকা লোকজন ভয়ে আতঙ্কে ছুটাছুটি করতে থাকে। এসময় সন্ত্রাসীরা ছুরি ও রামদা নিয়ে প্রকাশ্যে শক্তি প্রদর্শন করে। খবর পেয়ে শহর থেকে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই সন্ত্রাসীরা স্টেশন এলাকা ত্যাগ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, টোকাই সাকিলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা স্টেশন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে। এ ঘটনায় এক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রংপুরের পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্ত্রাসী টোকাই সাকিলকে সাতদিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন।
টোকাইয়ের কবলে সাংবাদিক স্টেশন-পুলিশ ফাঁড়িতে তাণ্ডব, ট্রেন বন্ধ