আমি কাউকে খাটো করতে চাই না।
মাদ্রাসা পড়ুয়ারা দয়াকরে মাইন্ড করবেন না। গতকাল, স্যরি গত পরশু, ওহ না গতকালই, দুটো ছেলে এস বাসার বেল টিপল। আমি দরজা খুললাম। ছোট্টগুটো ছেলে। পাজামা-পাঞ্জাবি পরিধেয়, চেহারা দেখে খুব মায়া হলো। ওরা এতিমখানা থেকে এসেছে, ওদের অভিভাবক হুজুররা ওদের পাঠিয়েছে সাহায্য তুলতে। আইমিন ভিক্ষা।
নবীর শিক্ষা করো না ভিক্ষা....
আমি আমার স্বামীকে বললাম। সে আধোঘুমের মধ্যেই বলল, না কিছু দেয়ার দরকার নাই। ওদের জন্য সরকার আছে। এতিমখানাগুলো সমাজকল্যাণমন্ত্রণালয়ের অধীনে। ওদের খাবার দাবার অনেক ভালো। ভিক্ষা ওদের স্বভাব।
সরকার ওদের ভরণ-পোষণ দেয় এটা আমি মানতে পারলাম না। আমি বললাম- অভাবে না পড়লে কেউ ভিক্ষা করতে আসে না। আর এরাতো শিশু...
তুমিই বলো, এতিমখানাগুলো সরকার দেখে কি না?
সবতো আর সরকারি না!
কেন না? সব এতিমখানা সরকারী না হোক, সব এতিমরা কেন সরকারি এতিমখানায় থাকে না?
মাদ্রাসায় মানুষ পড়ে ভিক্ষা শেখার জন্য।....
কোনও কলেজ বা স্কুলছাত্রকে দেখেছ এসে বলছে ভাই আমি স্কুলে পড়ি আমারে সাহায্য করেন, দেখবে বলবে আমি মাদ্রাসায় পড়ি আমারে কিছু সাহায্য করেন।...কেন বলে?
হুজুররা যত্তোসব ভিক্ষুক তৈরি করে......
থাক তুমি ঘুমাও।
আমার বারবার মুখদুটো মনে পড়ছিল। সত্যিই হয়ত না খেতে পেয়ে...
কেন এমন হয়, সবশিশুদের খাবারটাও কি সরকার পারে না ব্যবস্থা করতে?
তাহলে কীসের জন্য এতো জৌলুস! কেন এতো সরকারি কাজের নামে অপচয়?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




