কুত্তার পেটে ঘি সয় নাঃ RABকে কি রক্ষীবাহিনী বানিয়েই ছাড়বে?
ঘটনা ২০০২ সালের অক্টোবর মাস। খালেদা জিয়ার কাছে বিএনপির দুই বড় নেতা মির্জা আব্বাস এবং সাদেক হোসেন খোকা। অনেক অনুরোধ ও মিনতি নিয়ে এসেছেন। তা হল এই ম্যাডাম অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে যা শুরু হয়েছে তাতে তো বিএনপি টিকবে না। তখন খালেদা জিয়া জবাব দিলেন ২০০১ সালের নির্বাচনের বিজয়ের পর এই পর্যন্ত আপনারা কাজ করছেন আমি চুপচাপ দেখেছি। কিন্তু জনগণ এই এক বছরে বিক্ষুদ্ধ! তাই এবার আমি কাজ করব আপনারা দেখবেন। খালেদা জিয়া বললেন দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। উল্লেখ্য ঐ অপারেশন ক্লিন হার্ট তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান লে. জেনারেল হাসান মশহুদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল। নতুন সরকারের প্রায় এক বছরে মাথাচড়া দিয়ে উঠা সন্ত্রাস হঠাৎ উক্ত ক্লিন হার্ট অভিযানের কারণে পুরোপুরি উধাও। সেনাবাহিনীর দক্ষ ও কঠোর হাতে বহু সন্ত্রাসী গ্রেফতার, পিটুনীতে নিহত ও আহত হওয়ায় সব সন্ত্রাসী গা ঢাকা দেয়। এমনকি পুরোনো ঢাকার গড-ফাদার হোসেন মোল্লা সেই যে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আমেরিকা যান আজ পর্যন্ত ফেরেন নি। ঐ সেনা পরিচালিত অভিযানে প্রায় ৪০ জনের মত সন্ত্রাসী, চাদাবাজ-টেন্ডারবাজ পিটুনীতে নিহত হয়। তাদের মধ্যে ২৪ জন ছিল বিএনপির কর্মী, ৭-৮ জন আলীগের। তাতে হাসিনার প্রচন্ড জ্বালাময়ী বক্তব্যতো বটেই এমনকি বিএনপির কর্মীদের কেন মৃত্যু হল তার জন্যও সরকারের কড়া সমালোচনা। আরে আপনি আপনার দলের কর্মীদের জন্য মায়াকান্না দেখান (যদিও তারা সন্ত্রাসী) কিন্তু খালেদা জিয়া তার দলের সন্ত্রাসীদের মারলে আপনার গত্রদাহ কেন? সে যাই হৌক প্রায় ২ মাস চলার পর মার্কিনি, ইইউদের চাপে তৎকালীন জোট সরকার এই অপারেশন ক্লিন হার্ট প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। তারপর আবার সুযোগ পেয়ে ফাকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলতে থাকে। আবার দেশের সাধারণ জনগণ আর্মি নামানোর দাবী জানাতে থাকে। কিন্তু বার বার একটি গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে সেনা নামানো ঠিক নয় বিধায় বিশেষ একটি সৎ, দক্ষ ও এলিট ফোর্স নামানোর চিন্তা ভাবনা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ এ শুরু হয় Rapid Action Battalion তথা RAB। তারপর কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করতেই হয়। চট্টগ্রামে বিএনপির সন্ত্রাসী জানে আলম ও তার দলের ৯ জন সহ মোট ১০ জন RABএর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। নারায়ণগঞ্জের আরেক বিএনপির সন্ত্রাসী মমিনুল্লাহ ডেভিড সেও RABএর পাতা এক জালে নিহত হয়। দলীয় ছাড়াও বহু এলাকা ভিত্তিক খুনী, সন্ত্রাসী, চাদাবাজ, ত্রাস সৃষ্টিকারী, নারী উক্তত্যকারীদের অনেকেই ক্রস ফায়ারে নিহত হয়, কেউ পিটুনী খেয়ে আহত হয়, কেউ ভাল হয়ে যায় এবং বহু শীর্ষ সন্ত্রাসী দেশ ছেড়ে চিরতরে ভাগে। টপটেরর পিচ্চি হান্নান ক্রসফায়ারে নিহত হয় গ্রেফতার হয় কামাল পাশা ও কিলার আব্বাস(দুজনেই বর্তমানে ফাসীতে ঝুলার অপেক্ষায় আছে)। এদের বাইরেও আলীগের বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীও RABএর ক্রস ফায়ারে নিহত হয়। হাসিনা এদের নিয়ে হৈ চৈ করলেও স্থানীয় জনতা জানত যে এরা সত্যিই সন্ত্রাসী। তাই আলীগের কুম্ভীরাশ্রু হালে পানি পায় নি। জোট সরকার আর যাই হৌক RABকে বিরোধী দলের রাজনৈতিক আন্দোলন দমানোর জন্য ব্যাবহার করেনি। জোট সরকার সন্ত্রাস দমনে ৯০-৯৫% সফল। কিন্তু মহাজোট সরকার এ কি করছে? সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি বিরোধী দলের আন্দোলন দমানোর কাজে, নিরীহ লোক হত্যা ও পঙ্গু করা ভয়ভীতি দেখানো নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। ২০০১ এ জোট সরকারের প্রথম ২ কি আড়াই বছরে আলীগ অর্ধশতাধিক হরতালের বিপরীতে মহাজোটের সময় বিএনপি ১০টি হরতালও ডাকেনি। কিন্তু আমরা কি দেখলাম বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাসায় যেয়ে RABএর নিষ্ঠুর আচরণ। এতটা বাড়াবাড়ি পুলিশও করে না। হরতাল ও বিরোধী দলের আন্দোলন সাধারণত পুলিশ দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু হাসিনার মহাজোট সরকার শুরু হতেই RABকে দিয়ে বিরোধী দলকে ঠ্যাঙ্গানো এবং নিরীহ জনগণকেও অত্যাচার করাচ্ছে। আর নিজ দল ও অংগসংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগদের প্রতিপক্ষকে হত্যা, যখম, জমি দখল ইত্যাদিতো বটেই এমনকি নিজেদের মধ্যে হত্যা, যখম, টেন্ডারবাজির মত মারামারিতে RABকে দিয়ে এ্যাকশনতো দূরে থাকুক পুলিশকে দিয়েও কিছু করাচ্ছে না। কিছুদিন আগে প্রকাশ্য দিবালোকে নাটোরে বিএনপি নেতাকে হত্যা করা হলেও তারা কয়েকদিনের জন্য জেলে থেকে জামিন নিয়ে বীরদর্পে নিহতের পরিবারকে শাসিয়ে যাচ্ছে। এখানে RAB সম্পূর্ণ নির্বিকার। তারপর ঢাকায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলমকে সরকার RABএর মাধ্যমেই গুম করে দিয়েছে। আরো অনেকে এভাবে গুম হয়েছে। সর্বশেষ RAB এর ভয়াবহতার শিকার ঝালকাঠির এইচ.এস.সি পরিক্ষার্থী লিমন। বেচারা নিরীহ হওয়া সত্ত্বেও তাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তার পায়ে গুলি করলে সে আজ সেই পা হারিয়ে পঙ্গু। স্থানীয় এলাকাবাসী সহ বাংলাদেশের সকল পত্রপত্রিকা বলছে যে লিমন সন্ত্রাসী নয় সে ভাল ছেলে এবং সে RABএর কয়েকজন সদস্যের দ্বায়িত্বজ্ঞান হীনতার শিকার। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন তা মানতে নারাজ। তিনি বললেন তদ্ন্ত হবে তবে সংসদীয় কোন কমিটি তদন্ত করতে পারবে না। আর এদিকে অনেক গড়িমসি, টালবাহানা ও ইদুর-বিড়াল খেলার পর তাও আদালতের আদেশে সংশ্লিষ্ট রাজাপুর থানা মামলা নিলেও এখন আবার দেখা যাচ্ছে যে RAB লিমনকে সন্ত্রাসী বানিয়ে অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ দাখিল করেছে;
Click This Link
এভাবে বিরোধী দলকে দমন, নিপীড়ন সহ সাধারণ মানুষ RAB দ্বারা যে জুলুম করে জীবন নষ্ট ও অর্থহীন করে দিচ্ছে তাতে এই এলিট ফোর্সের মূল সন্ত্রাস দমন এবং গণ-মানুষের স্বস্তির বিষয়টিকেই হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। জোট সরকারের সময় RABএর যে জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা ছিল তা আজ অতীত হতে চলেছে। RABকে দিয়ে এভাবে বিরোধী দল ও নিরীহ মানুষকে অত্যাচার করাতে থাকলে এটা সেই ১৯৭২-৭৫ এর রক্ষীবাহিনীর মতই পরিণত হবে। সরকারের কোন অন্যায়ের প্রতিবাদে হরতাল করা দূরে থাকুক মিছিল মিটিংও করা যাবে না। আর অনেক সময় সন্ত্রাসী বা অপরাধী না পেলে এর ঝাল নিরীহ লোকের উপর মিটানো হবে। অন্তত লিমনের উপর পৈশাচিক আচরণ সেটাই বলে। অন্যদিকে যদি এ রকম হয় যে RAB এর দরকার নাই বিশেষ করে তথাকথিত সুশীল সমাজ ও মানবাধিকারের নামে পশ্চিমারা এই বলে যে এলিট ফোর্সটাকে বিলুপ্ত করা হউক, তখন বাংলাদেশ আবার সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে। RABকে যখন গঠন করা হয় তখন শুধু পুলিশ নয় অন্যান্য বাহিনীর সদস্য এনে অস্থায়ী ভিত্তিতে বেশীর ভাগই ৬-৮ মাসের জন্য রাখা হত। আবার এমনও দেখা গেছে ৬-৮ মাস হলেও এক এলাকায় এক মাসের বেশী নয় এভাবে রাখা হত। যার দরুণ তাদের পক্ষে পুলিশের মত ব্যাপক হারে র্দূনীতি করা সম্ভব হতো না। কিছু র্দূনীতি হলেও সেটা খুব একটা প্রভাব ফেলে নি। এখন যদি RABকে বিলুপ্ত করা হয় তো পুলিশ ও অসৎ আইনজীবিদের জন্য তা হবে পোয়া বারো। বাংলাদেশের মানুষ তখন সর্বদা সন্ত্রাস ও আতংকের ভয়ে তটস্থ থাকবে। তাই RAB নিয়ে বর্তমান সরকার যে ভয়ংকর আচরণ করছে তাতে এভাবে অব্যাহত থাকলে এর ভবিষ্যত ভয়াবহ হবে তা নিশ্চিত। বাংলায় যে প্রবাদ আছে কুত্তার পেটে ঘি সয় না তা এই হাসিনার মহাজোট সরকারের ক্ষেত্রে চরম পরম ভাবে প্রযোজ্য। এর আরো জ্বলন্ত উদাহরণ হল শেয়ার বাজার। হাসিনার প্রথম আমলের তথা ১৯৯৬ এর আগে কোন সরকারের সময়ই এবং ২০০১-০৬ সালে জোট সরকারের সময় শেয়ার বাজারে কেলেংকারী হয় নি। কিন্তু মহা লুটপাটকারীদের কাছে বাংলাদেশের কোন ভাল কিছু সহ্য হয় না সব কিছু উজাড় হয়ে যায়।
মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.
গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি
(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন