জনস্বাস্থ্য বনাম ঝটিকা অভিযান
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকা খাদ্যে উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। শহরের অধিকাংশ খাবার প্রতিষ্ঠানগুলো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের চিত্র ধারন করে আছে। রান্নাঘরের আবর্জনাময় অবস্থার মধ্যেই তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী। তাই খাবারের গুণগতমান ও গণস্বাস্থ্যের ব্যাপারটি আর নতুন করে বলার অপো রাখেনা। হোটেল-রেঁস্তোরাগুলো নোংরা, পঁচা ও বাসি খাবার তৈরি ও পরিবেশনের পাশাপাশি আরো সমস্যায় জর্জরিত। যেমন- স্কুলের ইউনিফর্ম পড়া উঠতি বয়েসী ছেলেদের আড্ডা, হোটেল বয়দের অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন পোষাক পরিধান, হোটেলটি নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে কর্তৃপরে অনীহা, ড্রেন বা নদর্মার পাশে রান্নাঘর স্থাপন, আগের দিনের রয়ে যাওয়া বাসি খাবারগুলো পরের দিনের নতুন খাবারের সাথে মিশ্রণ, কম দামে পঁচা ডিমসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি ক্রয় করে খাবারের সাথে মিশ্রণ, খাদ্য তৈরির অপ্রয়োজনীয় উপাদানগুলো বা উচ্ছিষ্ট আবর্জনাগুলো রান্নাঘরের পাশে যেখানে-সেখানে নিক্ষেপের ফলে ওগুলো পচে-গলে দুর্গন্ধসহ পরিবেশেরক্ষেতিসাধন করছে। চকচকে-ঝকঝকে সাইন বোর্ডে টাঙিয়ে নিম্নমানের অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করে চলেছে অনেক হোটেল-রেঁস্তোরাগুলো। হোটেল-রেঁস্তোরাগুলোতে যে পরিবেশে খাবার তৈরি করা হয় তা অনেকাংশে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। না জেনে আমরা প্রায়ই এসব খেয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। পরিমিত, স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর আহার গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের শারীরিক মতাটিকে অুন্ন রাখতে পারি। আমরা এখন আমাদের চারপাশ থেকে যা খাচ্ছি তা অধিকাংশই নিম্নমানের এবং অস্বাস্থ্যকর এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অপরের ছবিতে দাবী করেছে - অস্বাস্থ্যকর স্থানে বিস্কুট তৈরি এরূপ প্রমাণ। এরকমই বাংলাদেশের শহরগুলো গজিয়ে ওঠা ভেজাল খাদ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা।
২.
ইতিপূর্বে হোটেলগুলোতে ভেজালবিরোধী অভিযান চালানো হলেও এখন তা আর হচ্ছে না। তাই দেশের প্রতিটি উপজেলা-জেলায় আবার নতুন করে এটি শুরু হওয়া আবশ্যক। শহরের প্রায় প্রতিটি হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছে অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন ভোক্তভোগি সাধারণ মানুষ। দ্রব্যমূল্যের দোহাই দিয়ে খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে ঠিকই কিন্তু সে অনুপাতে খাবারের গুণগত মান বাড়েনি এক সূচকও । জনগণের স্বার্থে হঠাৎ হঠাৎ ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। ক'দিনের জন্য হলেও গণস্বাস্থ্য আসন্ন বিপন্নতার মাত্রাহীন দুর্যোগ থেকে অবহতি লাভ করবে - এটাই বা কম কিসের?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।