উপমহাদেশ জুড়ে ক্রিকেট আতঙ্ক। এই পাকিস্তানে এক প্রদেশের কাউন্সিলদের মামলায় পিসিবির নির্বাচিত পর্ষদকে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হয়। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মাস্তান ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে এখন নিজেদের শুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে জাহির করতে, শ্রীনিবাসনকে না চাইতেও সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আর বাংলাদেশ? এক বিপিএলের জ্বালা সামলাতে না সামলাতে এবার আন্তজার্তিক ক্রিকেটে গড়াপেটার অভিযোগ। সত্যিই ম্যাচ পাতানোর ফাঁদে আটকে গেছে ক্রিকেট। এখন স্বাভাবিক বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি কিংবা উইকেট পাওয়াকেও দেখা হবে সন্দেহের খাতায়। একদল অতুৎসাহী তো এখনই বলতে শুরু করেছেন আশরাফুলের ভালো ইনিংসগুলোর কারণও ওই ফিক্সিং। অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তবে আশরাফুলের কি পরিমাণের শাস্তি হতে পারে সেটা সময়ই বলবে। কিন্তু তার আগে আশরাফুলকে এমন মন্তব্যের শাস্তি পেতে হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রমাণ না হলে? সেটা আরেক বিতর্ক। কিন্তু এটাও তো ঠিক যা ঘটে তা কিছু তো বটেই!
আসিফ ইকবাল ও সুনীল গাভাস্কারের ১৯৮৭সালে এক টস দিয়ে ফিক্সিংয়ের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা বাড়তে বাড়তে ক্রিকেটকে ক্রিকেটের বাইরে ঠেলে দিয়েছে। এখন বাজীকরদের সবচেয়ে উপাদেয় বস্তু এই ক্রিকেট। টি টোয়েন্টি তো টাকার খনি। টাকা,যশ,প্রতিপত্তি সবই আছে। কিন্তু ক্রিকেটটাই নেই। আর আইনের কথা? অভিযোগ যদি চারজনের বিরুদ্ধে প্রমাণিতও হয়, তারপরও কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের চেয়ে গুরুতর কিছু শাস্তি হবার কথা নয়। বাঙলাদেশের আইনে এ সংশ্লিষ্ট কিছু থাকলে তো হয়েই যেতো। ইতোমধ্যে বিসিবি সভাপতি মাহমুদদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত। সোমবার আসার কথা ছিল আকসুর রিপোর্ট। কিন্তু আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারের নাম চলে আসায় সময়টা আরেকটু বিসিবি নিজেই বেশি চাইছে! বিসিবির মিডিয়া উইংয়ের দাবী- আরো অন্তত: দশদিন। ফাঁদে আটকানো ক্রিকেটকে বের করে আনার জন্য এখন দরকার দায়ীদের শাস্তি। এতো বড় অভিযোগ আর যাই হোক শুধু হাওয়া থেকে পাওয়া হতে পারে না।