এক ব্যক্তি এক সুন্দরী বিবাহিতা মহিলার প্রতি আসক্ত হয়ে ওর প্রতি প্রেম নিবেদন করে। মহিলার স্বামীটা ছিল একজন নেককার লোক ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম।মহিলাটি এ খবর স্বীয় স্বামীকে অবহিত করলে, সে স্ত্রীকে বললো- তুমি ওকে বলিও, যদি তুমি চল্লিশ দিন আমার স্বামীর পিছন নামায পড়, তাহলে তুমি যা চাও, তাতে আমি সম্মতি জ্ঞাপন করবো’।
মহিলাটি স্বামীল শিখানো কথাটি ঐ লোকটাকে বললো।লোকটা এতে দারুন খুশী হলো এবং নিয়মিতভাবে ওর স্বামীর পিছনে নামায পড়তে লাগলো। চল্লিশদিন পূর্ন হলে মহিলাটি উকে জিজ্ঞেস করলো- এবার বল, তোমার মনঃবাসনা কি?
লোকটি বললো এখন আমার মনে তোমার প্রতি কোন আকর্ষন নেই। নামায পড়ে আমি যা অর্জন করেছি, এতে আমার মন থেকে যাবতীয় কু-লালসা দুরীভুত হয়ে গেছে। মহিলা এ বিবরন স্বামীকে শুনালে সে বললো, আল্লাহ তাআলা নামায সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-“নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে”। আমি এ আয়াতে আলোকে ওর চিকিৎসা করেছি।
__________ (নুজহাতুল মাজালিস/১ম জিল্দ/২০৪ পৃঃ)
↓
সবকঃ
নামায বড় ফযীলতময়। নামায আদায়ের ফলে মন্দ ধ্যান ধারনা দুরীভুত হয়ে যায়।। অবশ্য যথা নিয়মে নামায আদায় করতে হবে। নতুবা কোন ফল হবে না।