এক ভবঘুরে যুক্তিতর্কের বিশ্বাসী নাস্তিক হযরত হাতেম আসম(রহমতুল্লাহ আলাইহে) এর দরবারে এসে ওনার শানে অশোভনীয় কথাবার্তা বলতে লাগলো হযরত হাতেম ওর খোড়া যুক্তিকে এমনভাবে খন্ডন করলেন যে সে লাজবাব হয়ে গেল। বাদানুবাদটা হয়ে ছিল নিম্নরুপঃ
↓
নাস্তিকঃ আপনিতো মুফতখোর, মানুষের জিনিস খেয়ে থাকেন।
হযরত হাতেম আসমঃ আমি কি তোমার কোন জিনিস খেয়েছি।
নাস্তিকঃ না
হযরত হাতেম আসমঃ তাহলে তো তুমি মানুষ বলে গণ্য হলে না।
নাস্তিকঃ আপনি কি যুক্তি প্রমাণ দিচ্ছেন।
হযরত হাতেম আসমঃ আল্লাহ তাআলাও কিয়ামতের দিন যুক্তি প্রমাণ তলব করবেন।
নাস্তিকঃ এ সব কথার কথা।
হযরত হাতেম আসমঃ আল্লাহ তাআলা কথাই পাঠিয়েছেন। তোমার মা তোমার বাপের জন্য কথার মাধ্যমেই বৈধ হয়েছে।
নাস্তিকঃ আপনি তো আমার কথায় রাগান্বিত হয়ে গেলেন। তাহলে কি আপনার রুজি আসমান থেকে আসে?
হযরত হাতেম আসমঃ সবার রুজি তো আসমান থেকে আসে। যেমন কুরআনে বর্ণিত আছে “ওয়াফিস সামায়ে রিজকাকুম” অর্থাত আসমানে তোমাদের রিজি।
নাস্তিকঃ তাহলে তো আপনি আরাম করে শুয়ে থাকতে পারেন। রিজিক আপনার মুখে পৌছে যাবে।
হযরত হাতেম আসমঃ ঠিকই পৌছবে। দুবছর তো দোলনায় ছিলাম। তখন রিজিক আমার মুখে এসে যেত।
নাস্তিকঃ আপনি কি কাউকে বপন ছাড়া কাটতে দেখেছেন?
হযরত হাতেম আসমঃ তোমার মাথার চুলতো বপন ছাড়া কাটা হয়।
নাস্তিকঃ ঠিক আছে আপনি বাতাসে উড়তে থাকে, ওখানে রিজিক পৌছে যাবে।
হযরত হাতেম আসমঃ হ্যা, আমি যদি পাখি হতাম, তাহরে রিজিক তথায় পৌছে যেত।
নাস্তিকঃ মাটির নিচে চলে যান, ওখানে রিজিক পাওয়া যাবে।
হযরত হাতেম আসমঃ হ্যা, আমি যদি পিপড়া হতাম, তাহলে নিশ্চয় ওখানে রিজিক পাওয়া যেত।
*
শেষ পর্যন্ত নাস্তিক কাবু হয়ে গেল এবং হযরত হাতেম আসমের কথায় আকৃষ্ট হয়ে তওবা করে মুসলমান হয়ে গেল (তাজকিরাতুল আউলিয়া- ২৯৯)
↓
সবকঃ
নাস্তিকগণের সমস্ত কথাবার্তা নিছক খোড়া যুক্তি ভিত্তিক থাকে আর আল্লাহওয়ালাগণ সব যুক্তির জবাব মনমুগ্ধকর পদ্ধতিতে দিয়ে থাকেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:২৮