somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজ-মাতার সকল ইচ্ছাই পূর্ণ হইবে আর ভাগ্যাহত প্রজাসকল কাঁচ-কলা লইয়াই সন্তুষ্ট থাকিবে

২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাজ-মাতা প্রায় অষ্টাদশ মাস ব্যাপী তাহার প্রজাপালনকার্য সম্পাদন করিতেছেন।
সকলে মনে করিতেছিল রাজ-মাতার আগমনে কতকিছুই না পরিবর্তিত হইয়া যাইবে। গাছে গাছে ফল ধরিবে, বাগানে ফুল আসিবে, পাখিরা গান গাইবে, সকলে সুখের সাগরে ভাসিতে থাকিবে, দেশ ডিজিটাল নামক একখানা স্বর্গরাজ্যে পরিণত হইবে, আরো কত কি!

অষ্টাদশ মাস অতিবাহিত হইবার পরও প্রজাসকল যখন দেখিতেছে, ডিজিটাল নামক স্বর্গরাজ্য কোথায় হে? রাজ্য ডিজিটাল মগের মুল্লুক হইতে জাইতেছে, বিজলি নামক বস্তুটি উধাও হইয়া যাইতেছে, রন্ধন কার্য়ের বায়ু পাওয়া যাইতেছে না, জল সব যেন মাটির তলায় চলিয়া যাইতেছে- ভূপৃষ্ঠে যাহা কিয়দাংশ থাকিতেছে তাও ব্যবহারের অযোগ্য, ইহার উপর রাজপেয়াদাদের সহিত জেড়ো ইহয়া রাজ-মাতার অদ্ভুতভাবে প্রাপ্ত সন্তান সকল হত্যা-ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, লুট-তরাজ হইতে শুরু করিয়া ছিছকে চুরি, নারীর বসন ধরিয়া টানাটানি কোন কিছুই বাদ দিতেছে না।

প্রজাসকলের এহেন দুরাবস্থা পর্যবেক্ষণ করিয়াও রাজমাতার দক্ষিণ হস্ত বলিয়া বেড়াইতেছে সকল পরিস্থিতি তাহার নিয়ন্ত্রণে রহিয়াছে; খুন-ধর্ষণ উহা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা, রাজ্যের পরিস্থিতি অতিতের যে কোন সময়ের চাইতে ভাল রহিয়াছে, প্রজাসকল মহাসুখে নাচন-কুদন করিতেছে

রাজমাতা পুর্বের মত খুব একটা আর জন সম্মুখে আসেন না; তাহার আশঙ্কা রাজ্যের দুষ্টচক্র তাহার প্রাণ হরণ করিবেন, কখনো প্রজাসাধারণকে দর্ষণ দিতে হইলে দুর হইতে নিক্ষিপ্ত প্রাণহরণকারী লৌহটুকরা অভেদ্য স্বচ্ছ প্রদার্থের ভিতর হইতে নিজের চাঁদ মুখ খানি দর্ষণের কিঞ্চিত সুয়োগ দিতেছেন।

রাজমাতা অতিতের মত তাহার ঠোঁটকাটা মুখ হইতে অম্ল-মধুর বাণীও নিস্ত্রীত করিতেছেন না। প্রজা-পালনের দায়িত্ব পাইবার পর হইতে নিজের মনোষ্কামনা সব এক এক করিয়া মিটাইয়া লইতেছেন। তাহার পিতৃহন্তা দুষ্টচক্রদের তিনি ফাঁসির দড়িতে ঝুলাইযাছেন ইহাই তাহার অষ্টাদশ মাস কাটিয়া গিয়াছে, তৎপরবর্তী তিনি রাজ্যের মোহাম্মদী ধর্মের ভিত্তিতে পরিচালনাকারী রাজনৈতিক বর্গের উপর খরগহস্ত পরিচালনা মনোনিবেশ করিয়াছেন- (একদা উহারা নাকি এ রাজ্যের নারীকৃলকে বিশেষ কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে অপমানিত করিয়াছিল)। ইতিপূর্বে এ সকল অস্পৃষ্য সমুহ তাহার রাজ-পালন দায়িত্ব পাইতে সহায়তা করায় তিনি তাহাদিগকে আপ্যায়িত করিলেও পরবর্তীতে তাহারা রাজ-মাতার সহিত বিদ্রোহ করিয়া রাজ্যের প্রজা-পালন ভার ডাইনিবুড়ির হাতে তুলিয়া দিবার দোষে দুষ্ট। তাই এইবার আর তাহাদের নিস্তার নাই...

রাজ-মাতার মোহাম্মদী ধর্মের উপর বিশাল খেদ। রাজপুত্র ভিনদেশে পশুশিকারে থাকিয়াই তাহার নিকট আশংকা প্রকাশ করিয়াছে যে এই রাজ্যে যে হারে প্রজাসকল মোহাম্মদী ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হইয়া উঠিতেছে তাহাতে বেশী দিন আর তাহাদের উপর আর ধর্মহীনভাবে শাসন চালাইয়া যাওয়া সম্ভব হইবে না। তাই অতিসত্তর মোহাম্মদী ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি পরিচালনাকারীদের শুলে চড়াইতে হইবে। রাজ্যকে ধর্মবিহীন রাজ্য হিসেবে ঘোষনা করিতে হইবে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করিবার তরে রাজ-মাতা ইতিমধ্যেই তাহার ধর্মবিদ্বেষী সভাসদদের নিয়া পরামর্শ আটিতেছেন। কি করিয়া দেশের মানুষকে মোহাম্মদী ধর্ম হইতে দুরে রাখা সম্ভব হয় তাহার সকল পথ খুজিতেছেন।

মোহাম্মদী ধর্মানুসারীদের যথাযথ ছবক শিখাইবার পর রাজ-মাতা তাহার প্রতিপক্ষ ডাইনীবুড়ি নামে যাহাকে ইতিমধ্যেই তিনি আখ্যায়িত করিয়াছেন তাহাকে দেখিয়া লইবেন বলিয়া মনোস্থির করিয়াছেন। তার প্রজাপালনের অবশিষ্টকাল তিনি মোহাম্মদী ধর্মের অনুসারীদের এবং ডাইনীবুড়ি আখ্যায়িতের শায়েস্তা করিয়া চিরদিনের জন্য এ বঙ্গভূমির শাসন কার্য তাহার হস্তগদ করিবার প্রচেষ্টায় অতিবাহিত করিবেন বলিয়া মনে হইতেছে।

এহেন অবস্থায় প্রজা-সকল তাহাদের মৌলিক অধিকার বঞ্চিত থাকিলেও রাজ-মাতা তার অভিষ্ট লক্ষ হইতে কিঞ্চিত পরিমাণও সরিয়া আসিবেন না। তাই প্রজা সকলের হা হুতাশ করিয়া জীবন অতিবাহিত করা ছাড়া আর কোন গত্যান্তর দেখা যাইতেছে না। এমতাবস্থায় তাহার ডিজিটাল নামক স্বর্গরাজ্যতো নয় বরং ক্ষুদ্র কাঁচ কলা লইয়াই সন্তুষ্ট থাকিতে হইবে।

হায়, রাজ-মাতার কাঁচ কলার মহিমা প্রজাসকল তখন অক্ষরে অক্ষরে উপলব্ধি করিতে পারিবে যখন মল ত্যাগ করিতে যাইয়া দেখিবে যে তাহাদের প্রাণবায়ু বাহির হইয়া যাইতেছে তবু তা বাহির হইতেছে না। দুর্ভাগা প্রজাসকল.......








ভাই পোস্টটা আমার না আরেক জনের। ভাল লাগলো তাই কপি পেস্ট করলাম।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঘরে আগুন, মন্দীরে হামলা, মাজার ভাঙ্গা, পিটিয়ে মানুষ মারা এমন মেধাবী এদেশে দরকার নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩২



২০০১ সালে দেলাম ঘরে আগুন দেওয়া ও মন্দীরে হামলার জঘণ্য কাজ। ২০০৪ আবার দেখলাম ঘরে আগুন, মন্দীরে হামলা, মাজার ভাঙ্গা, পিটিয়ে মানুষ মারার জঘণ্যতম ঘটনা।জাতি এদেরকে মেধাবী মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিক্ষাঙ্গনে অপ্রীতিকর ঘটনার মুল দায় কুৎসিত দলীয় লেজুরভিত্তিক রাজনীতির

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫

সোস্যাল মিডিয়ার এই যুগে সবাই কবি, লেখক, বুদ্ধিজীবি সাজতে চায়। কিন্ত কেউ কোন দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে রাজী নয়। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটা মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে । এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোমলমতিদের নিয়ে আমি কি বলেছিলাম?

লিখেছেন সোনাগাজী, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪



আমি বলেছিলাম যে, এরা ভয়ংকর, এরা জাতিকে ধ্বংস করে দেবে।

ড: ইউনুসের সরকারকে, বিশেষ করে ড: ইউনুসকে এখন খুবই দরকার; উনাকে টিকিয়ে রাখতে হলে, কোমলমতিদের থামাতে হবে; কিভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিটিয়ে মানুষ মারার জাস্টিফিকেশন!

লিখেছেন সন্ধ্যা প্রদীপ, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

এদেশে অনেক কিছুই সম্ভব।বর্তমান এলোমেলো সয়য়ে যা সম্ভব না বলে মনে করতাম তাও সম্ভব হতে দেখেছি।তবে মানুষকে কয়েক ঘন্টা ধরে পিটিয়ে মারাকে ইনিয়েবিনিয়ে জাস্টিফাই করা যায় এটা ভাবিনি।তাও মেরেছে কারা?
একদল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আহা তোফাজ্জল

লিখেছেন সামিয়া, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৪




মৃত্যু এখন এমনি সহজ
ভিডিও করতে করতে;
কথা বলতে বলতে
ভাত খেতে দিতে দিতে;
কনফিউজড করতে করতে
মেরে ফেলা যায়।

যার এই দুনিয়ায় কেউ অবশিষ্ট নাই
এমন একজনরে!
যে মানসিক ভারসাম্যহীন
এমন একজনরে!
যে ভবঘুরে দিক শূণ্য
এমন একজনরে!
যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×