somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাকরিজীবি মধ্যবিত্তের অবসর ভাবনা

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই নগরের হাজার হাজার ছা-পোষা চাকরিজীবি জানেন না, যে, তাদের অবসরের পরিকল্পনা কী।

খাওয়া, পড়া, পরিবার পরিপালনের পিছনে সর্বস্ব ক্ষয় করে ফেলা আমরা কেউ জানি না, ৬০ বছর বয়সের পরে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে?

৬০ বছর বয়স পর্যন্ত হেঁচড়ে পেঁচড়ে কোনোমতে চাকরি টিকিয়ে রাখতে পারলেও, তার পরে জীবন কীভাবে নির্বাহ হবে, তার খরচ কোথা হতে আসবে, যখন জীবনযাত্রার ব্যয়, চিকিৎসা খরচ আরও বেড়ে যাবার কথা, সেই সেময়টার জন্য সঞ্চয় করা যাদের দিবাস্বপ্ন, তাদের জন্য ঠিক কী অপেক্ষা করছে?

’টায় টায়’ জীবন এখন কোনোমতে (সম্মানজনকভাবে) চললেও, আমাদের একটি বড় অংশেরই অবসর যাপনের জন্য প্রস্তুতি (মূলত সঞ্চয়) শুন্য।

হ্যা, আপনি অবশ্যই বলতে পারেন, সেভাবেই তো এখন হতে প্রস্তুত ও পরিকল্পনা করার দরকার ছিল। যিনি সেটি পারেননি, করেননি, তিনি তো শুন্যতায় ভুগবেনই।

কথাটি নিরেট সত্যি।

কিন্তু, তারপরও কথা থাকে।

উন্নয়নের দৈত্যাকার ক্ষুধায় জর্জরিত ও উন্নয়নের নীল নেশায় বুঁদ একটি রাষ্ট্রের অত্যন্ত স্বাভাবিক অভিঘাত (বৈষম্য, প্রতিযোগীতা, অসাম্য ও অনিয়ম) মোকাবেলা ও তার সাথে লড়াই করা একটি রাষ্ট্রীয় জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই উন্নয়নের ক্ষুধার দৈত্যের বলি হয়ে খুব বেশি পসার জমাতে পারবেন না-এটাই উন্নয়নের নীতি।

তার শিকার হয়ে, আজকের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত চাকরিজীবি (কার্যত পরজীবি) আসলে কতটা কী করতে সক্ষম? কত তার আয়? কত তার ব্যয়? কত সঞ্চয়? (যখন বিপুল হারে উচ্চারিত হচ্ছে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করতে বাধ্য হবার উচ্চাঙ্গ নাদ।)

পাকেচক্রে আমাদের জীবন প্রতিদিনই একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে যেমন এগোচ্ছে, তেমনি এগোচ্ছে (অকাল মৃত্যু না হলে) ততোধিক অনিশ্চয়তা, দুঃশ্চিন্তা, অসহায়ত্ব, অমানবিকত্ব, অপরিকল্পিত এক জীবনের দিকে।

প্লিজ, সার্বজনীন পেনশন,ছেলেমেয়ের দায়ীত্ব, গ্রামে ফিরে যাও-ইত্যকার মর্মবাণীর মলমের কথা আর বলবেন না। ওসব বহুত দেখা আছে।

আর, আপনার কাছে অতিশায়ন মনে হলেও, আমার মতো নেগেটিভ মানুষ এটা বলেই যাবে, যে, আজকের মিলেনিয়াল জেনারেশন (মানে আপনাদের আজকের অপত্য ছেলেমেয়ে) আজ হতে ১৫-২০ বছর পরে পিতামাতার দায়ীত্ব পালনের মতো সুবোধ মনুষ্য মোটেও থাকবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×