ঢাকার আবঃহওয়াটা এখন কেমন খুব জানতে ইচ্ছা হয় মাঝে মাঝে। এই সময়টা অনেক আগে থেকেই আমার খুব প্রিয়। যখন অনেক ছোট ছিলাম, এই সময়টাতে নানা বাড়ি বেড়াতে যেতাম। স্কুল বন্ধ থাকত, সারাদিন ঘুরে বেড়ানো যেত, খেলা যেত, কতো মজা। ঢাকার স্কুল পড়ুয়া সব বাচ্চাদের এই সময় টা হচ্ছে স্বপ্ন। আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম, সারা বছর অপেক্ষা করতাম ডিসেম্বরের জন্য। সেই অপেক্ষা আজও শেষ হ্য়নি। ছোটবেলায় স্কাউট করার কারনে আমাকে বাহুবার চক্কর কাটতে হয়েছে ঢাকা স্টেডিয়ামে। এখনো সেই চক্করই কেটে যাচ্ছি!
প্রতি বছর লন্ঞ্চে করে নানা বাড়ি যাওয়া, সারা রাত জেগে নদীর ডেউ দেখা, আরও কতো কি? নদীর সেই ডেউ আজও আমার পিছ ছারলো না, বরং আরো দুইটা ছাগল জোটাই দিল, আমার সাথে। বড়ো হয়ে শুধু নদীর উপর রাত কাটাব বলে বড়িশাল গেছি অনেকবার, আবার সকাল বেলা চলে আসছি।
এই রকম কোন এক ডিসেম্বরে আমার প্রথম ভাললাগা। আমি তখন বায়োসন্ধি কালের শুরুতে। তখনও ঠিক বুঝি না পুরা বেপারটা, শুধু বুঝি বন্ধু বাদে মেয়েদের সাথে আরোও এক ধরনের সম্পর্ক সম্ভব। যাই হোক জীবন থেমে থাকেনি, চলে এসেছি অনেক দুর।
এই রকম কোন এক ডিসেম্বরে আমার প্রথম বাড়ির বাইরে থাকা। কতো ভয়, উৎকন্ঠা তবুও কিছুটা নিজেকে ছারিয়ে যাওয়া, কিছুটা বড়ো হওয়া। মনে পরে অনেক মিথ্যা, অনেক প্লান দিয়ে ঢেকেও পুরা বেপার টাকে ধামাচাপা দিতে পারি নাই।
এই রকম একটা ডিসেম্বরে আমি বাসা ছেরে হোস্টেলে থাকা শুরু করি। হায়রে জীবন! কোথায় যে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে। পাশ করার পর আমার প্রথম চাকরিটাও শুরু করি এই ডিসেম্বর মাসেই। অনেক ডিসেম্বর পার করে দিলাম জীবনে।
এই দুর পরবাসে এটাই আমার প্রথম ডিসেম্বর। ঠান্ডাটা এখানে কিন্ঞ্চিত বেশি, এই যা। অনেক কিছুই এখন মিস করি। মামুন ভাইয়া একটা কথা খুব বলতো, যাচ্ছ তো, বিদেশে গিয়া, রাস্তার কুকুরটাকেও মিস করবা। মামুন ভাইয়ার কথা যে কতটা সত্যি, সেটা মাঝে মাঝে টের পাই।
সময় গুলো ক্রমশই বিমর্ষ হয়ে যাচ্ছে, সেই জীবনতো আর ফিরে পাওয়া যাবে না, স্ব্রিতি গুলোকে বাচিয়ে রাখার চেষ্টা। যদি যাওয়া যায় সেই দিন গুলার কাছে, যে কোন ভাবে? সেদিন দেখলাম কানেকটিকাট ইউনিভার্সিটির এক প্রফেসর তার বাবার কাছে যাবার জন্য টাইম মেশিন বানাচ্ছে। কি জানি একদিন হ্য়তো পারবো ফিরে যেতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



