ইংল্যান্ড থেকে দলের সঙ্গে বাংলাদেশে না ফিরলেও সেখানে টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে হাতুরেসিংহে বলেছেন, পুরো টুর্নামেন্টে সিনিয়র ক্রিকেটাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারলেও জুনিয়ররা সেভাবে কিছুই করতে পারেনি। এক্ষেত্রে সবচে বেশি ব্যর্থ হয়েছে সাব্বির রহমান। তাকে এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে আবারো রান করেই দলে ফিরতে হবে। (Click This Link)
অর্থাৎ সাব্বির কে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হবে। খুব ভালো কথা, ব্যর্থ হলে বাদ দেয়াই উচিৎ। তবে এবার সৌম্যের সাথে সাব্বির এর ২০১৭ সালের ওডিআই পারফর্মেন্সের একটু তুলনা করি।
শ্রীলংকায় সৌম্য রান করেছে মোট ৪৮ (১০+৩৮), সাব্বির রান করেছে মোট ৫৪ (৫৪+০)। আয়ারল্যান্ড এ প্রস্তুতি ম্যাচে সৌম্য রান করেছে ১৭, সাব্বির ১০০ (অপঃ)। আয়ারল্যান্ড এ তিন জাতী টুর্নামেন্টে সৌম্য রান করেছে মোট ১৫৩ (৫+৬১+৮৭ অপঃ+ ০ ), সাব্বির রান করেছে মোট ১০১ (০+১+৩৫+৬৫)।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে ইন্ডিয়ার সাথে সৌম্য ২, সাব্বির ০ রান করেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে সৌম্যের রান ৩৪ (২৮+৩+৩+০), আর সাব্বিরের ৫৯ (২৪+৮+৮+১৯)।
অর্থাৎ ২০১৭ তে এখন পর্যন্ত মোট ১২টা ম্যাচে সৌম্যের মোট রান ২৫৪, আর সাব্বিরের ৩১৪। কি বুঝলেন?
তাছাড়া ফিল্ডিং, বোলিং এবং স্ট্রাইক রেটে সাব্বির এগিয়ে। এর সবগুলো ম্যাচে সৌম্য একই পজিশনে খেলেছে, আর সাব্বিরকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে, আর পজিশন বদলালে খেলায় এর প্রভাব পরে এটা এখন সবাই জানে।
এর আগে শ্রীলংকায় রিয়াদকে নিয়ে পাপনের নাটক, মাশরাফিকে টি-২০ এর অধিনায়ক থেকে সরানো, ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে দারুন পারফর্ম করা নাসিরকে উপেক্ষা - এগুলো কিসের আলামত? এর মানেই বা কি?
ক্রিকেটার রা যদি হাতুরেসিংহে আর পাপনের ব্যাক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের শিকার হওয়া শুরু করে তাহলে তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য খারাপ খবর।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪