আগের পর্বে শারীরিক উপকারিতা নিয়ে কিছু কথা বলেছিলাম। এই পর্ব মানসিক উপকারিতার উপর।
আমেরিকার বিখ্যাত Mayo Clinic এ ব্যাপারে তাদের কিছু অবজার্ভেশান প্রকাশ করেছেঃ
হাসির স্বল্পমেয়াদী উপকারিতা: তাৎক্ষনিক মানসিক চাপ কমাতে হাসির কোন বিকল্প নাই, আর উচ্চ মানসিক চাপ কি ক্ষতি করে তাতো আমাদের সবারই জানা। একটা নির্মল হাসির পর আপনার যে ঝরঝরে সতেজ অনুভূতি হবে তা কোন ওষুধই আপনাকে দিতে পারবে না।
হাসির দীর্ঘমেয়াদী উপকারিতা: নিয়মিত হাসি আস্তে আস্তে আপনার বিভিন্ন পেশিকে শিথিল করে তুলবে। মেডিটেশান, যোগব্যায়ামও ঠিক এই কাজটাই করে। মানসিক চাপ কম থাকলে আপনি যে কোনও কঠিন সমস্যাতেও বিচলিত হবেন না। হাসি আপনাকে সামাজিক করে তুলবে, তাতে করে নিঃসন্দেহে আপনার বন্ধু ও সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে।
এবার কিছু জোকস, দেখেন হাসতে পারেন কিনা......
এক বাচ্চা ছেলে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, আচ্ছা বাবা, মানুষ কিভাবে এলো?
বাবা: আদম (আঃ) এবং বিবি হাওয়া বাচ্চা জন্ম দিল, সেই বাচ্চারা বড় হয়ে আবার বাচ্চা জন্ম দিল......এভাবে।
বাচ্চা দৌড়ে অন্য ঘরে তার মাকে গিয়ে একই কথা জিজ্ঞেস করলো,
মা বললো: আমাদের পূর্বপুরুষরা আগে বানর ছিল, পরে আস্তে আস্তে পরিবর্তন হয়ে তারা আজকের মানুষের রুপ পেলো।
বাচ্চা আবার দৌড়ে বাবার কাছে এসে মার দেয়া উত্তর বাবাকে বলে বললো: তুমি কি আমাকে মিথ্যা বলেছো?
বাবা: না বাবা, তোমার মা তোমাকে তার পূর্বপুরুষদের কথা বলেছে!
এক মধ্যবয়সী লোক জীবনে প্রথম গ্রাম থেকে শহরে এসেছে তার বউ আর ছেলেকে নিয়ে। এক শপিং কমপ্লেক্সে বউ দোকানে জিনিস দেখছে, আর লোকটা ছেলেকে নিয়ে বাইরে দাড়িয়ে কমপ্লেক্সের চারদিক দেখছে। হঠাৎ দেখে এক বৃদ্ধা এক দরজার সামনে দাড়ালো, দরজা নিজে থেকেই খুলে গেল। মহিলা ভিতরে যাওয়ার পর দরজা বন্ধ হয়ে গেল। ওই লোকের লিফট সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিল না। সে চিন্তা করতে লাগলো যে মহিলাটি কোথায় গেলো!
একটু পর আবার দরজা খুলে গেল আর এক দারুন সুন্দরী বের হয়ে এলো। সুন্দরীকে দেখে তো তার চক্ষু ছানাবড়া; ছেলেকে ফিস ফিস করে বললো, এই যা....তোর মাকে তাড়াতাড়ি নিয়া আয়!
শিক্ষকঃ বলো তো, তোমার বাবা শতকরা ১০ টাকা হার সুদে ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে লোন নিলেন, এক বছর পর তিনি ব্যাংককে কত টাকা দিবেন?
আবুলঃ কোনো টাকাই দিবেন না, স্যার!
শিক্ষকঃ গাধা! এখনো এই অঙ্কই জানো না?
আবুলঃ আমি অঙ্ক জানি, কিন্তু আপনি আমার বাবাকে জানেন না, স্যার!
মা-কচ্ছপ আর শিশু-কচ্ছপ হেটে যাচ্ছে রাস্তার পাশ দিয়ে।
শিশু-কচ্ছপ মাকে জিজ্ঞেস করলো, মা, আমি একটু রাস্তার ওপারে যাই?
মা-কচ্ছপ: না, খবরদার! ওপারে যাবে না। দু’ ঘণ্টা পরে এই রাস্তা দিয়ে একটা বাস যাবে।
এক কবুতর একটু নিচু হয়ে উড়ছিল...হঠাৎ এক গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে হয়ে গেলে এক লোক তাকে নিয়ে একটা খাঁচায় রাখল। একটু পর কবুতরের জ্ঞান ফিরলো, খাঁচার ভিতর নিজেকে দেখে বলল,
হায় আল্লাহ! আমি জেলে....!! গাড়িওয়ালা কি মারা গেছে নাকি...??
সবশেষে ইন্জিনিয়ার বনাম ডাক্তার এর একটা গল্প:
এক ইন্জিনিয়ার কিছুতেই ভালো একটা চাকুরি পেলো না। তখন সে একটা ক্লিনিক খুলল আর বাইরে লিখে দিলো,
''৩০০ টাকায় যে কোন রোগের চিকিৎসা করানো হয়, বিফলে এক হাজার টাকা ফেরৎ।''
এক ডাক্তার ভাবলো এক হাজার টাকা রোজগার করার একটা দারুণ সুযোগ!
তো সে সেই ক্লিনিকে গেলো আর বলল,
আমি যাই খাই তাতে কোন স্বাদ পাই না ।
ইন্জিনিয়ার তার নার্সকে বলল, ২২ নাম্বার বক্স থেকে ওষুধ বার কর আর ৩ ফোটা খাইয়ে দাও ওনাকে। নার্স খাইয়ে দিলো।
রুগী (ডাক্তার) – আরে!!! এটা তো পেট্রোল দিলেন!
ইন্জিনিয়ার – দারুন!!!!!!! দেখলেন তো আমাদের ক্লিনিকের যাদু! আপনি টেস্টটা জিভে পেয়ে গেছেন। এবার আমার ৩০০ টাকা ফী দিয়ে দেন।
ডাক্তার টাকাটা দিয়ে চলে গেলো আর ভাবল, একে টাইট করতে হবে আর পয়সাটাও উসুল করতে হবে। তাই আবার কিছুদিন পর সে এলো।
ডাক্তার – আমার মেমরী কমে গেছে। কিছুই মনে থাকেনা।
ইন্জিনিয়ার – নার্স, এনাকে ২২ নাম্বার বক্স থেকে ৩ ফোটা খাইয়ে দাও তো!
ডাক্তার –কিন্তু স্যার, ওটা তো স্বাদ ফিরে পাওয়ার ওষুধ
ইন্জিনিয়ার – দেখলেন তো ওষুধ খাওয়ার আগেই আপনার মেমরী ফিরে এসেছে, দিন আমার ৩০০ টাকা।
এবার ডাক্তার খুবই রেগে বাড়ি গেল আরও ৩০০ টাকা দিয়ে।
আবার কিছুদিন পর এসে বলল, স্যার, আমার দৃষ্টিশক্তি একেবারেই কমে গেছে। একদমই দেখতে পাচ্ছি না!
ইন্জিনিয়ার – এর কোন ওষুধ আমার কাছে নাই। এই নিন আপনার ১০০০ টাকা।
রুগী (ডাক্তার) – কিন্তু এটা তো ৫০০ টাকার নোট!
ইন্জিনিয়ার – দেখলেন! আপনার দৃষ্টিও ফেরৎ এসে গিয়েছে। দিন আমার ৩০০ টাকা!
ইন্টারনেট থেকে সংকলিত
হাসির উপর ওষুধ নাই - ৩ (শেষ পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:০৮