somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটা প্রস্তাবনা

০৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ব্লগে এখন একটা প্রতিযোগিতার আমেজ চলছে। এমন আমেজ অতীতেও এসেছে, ভবিষ্যতেও আসবে। সেই কথা মাথায় রেখেই আমার একটা প্রস্তাবনা আছে।

দীর্ঘ প্রায় এক দশকের ব্লগীয় আভিজ্ঞতা থেকে আমি দেখেছি, ব্লগারগণ কেউই রাগ-অনুরাগ-বিরাগের উর্ধে না। ব্লগটাকে যদি একটা বৃহৎ দেশ ধরি, তাহলে এখানে অনেক ছোট ছোট পকেট দেশ আছে, যারা বৃহত্তর চিন্তা না করে তাদের নিজস্ব গন্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তারা তাদের বাইরে যেতে চায় না, কিংবা যাওয়ার চেষ্টা করে না। ফলে তাদের মাথা থেকে যাই বের হয়ে আসুক না কেন, সেটা বৃহত্তর না হয়ে ক্ষুদ্রতর হতে বাধ্য। এই প্রবণতাকে আমি খারাপ বলছি না, শুধু বলছি, এটার কারনে বিচারক নির্বাচন কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। যার ফলে শুধু বিতর্ককেই উস্কে দেয়া হবে। অতীতে এমনটা এই ব্লগেই দেখেছি, ভবিষ্যতেও দেখবো।

একটা উদাহরন না দিলে বিষয়টা পোক্ত হয় না।

ব্লগে প্রচুর ভালো ভালো লেখা আসে। কিন্তু সেসব লেখা পাঠক টানে না। কারন কি? কারন হলো সেইসব ব্লগার-লেখকগণ নিজের পোষ্ট নিয়েই থাকেন, অন্যের পোষ্টে গিয়ে মন্তব্য করা কিংবা ব্লগীয় মিথস্ক্রিয়াতে সম্পৃক্ত হন না। ব্লগের একটা অলিখিত নিয়ম হলো, ''অন্যের লেখায় মন্তব্য করেন, নিজের লেখায় মন্তব্য পাইবেন''। অপরদিকে প্রচুর অখাদ্য পোষ্টও ব্লগে আসে, সেসবে প্রচুর মন্তব্যও আসে। কারন ওই একটাই। সেইসব ব্লগার-লেখকগন ব্লগীয় ইন্টারেকশান নিয়মিত করে থাকেন। এই যে পরিচিত আবহে বিচরণ, এটা মানুষের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু সমস্যা হয়, যখন কোন ব্লগার কোন প্রতিযোগিতার জন্য বিচারক নির্বাচিত কিংবা মনোনীত হন। কারন, ব্যাক ইন দ্য মাইন্ড, তাদের যে পছন্দ কিংবা অপছন্দ, সেটা কার্যকলাপে ফুটে ওঠার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। এমনকি সেটা ফুটে না উঠলেও কেউ চাইলেই ফুটো বের করতে পারে। ফলে, প্রতিটা ব্লগারের যে মাইন্ডসেট, সেটা থেকে বের হওয়া, অথবা তাকে বের করে আনা মোটামুটি অসম্ভব। অসম্ভব সেই অর্থে...........যদি আপনি একটা হিউম্যান ক্যারেকটারকে যথাযথভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করেন।

হিউম্যান ক্যারেকটারই হলো, আমরা আমাদের সুহৃদদেরকে, শুভাকাঙ্খিদেরকে; অথবা সোজা বাংলায়, যাদের সাথে আমাদের বেশী মাখামাখি আছে তাদেরকে ফেভার করবো। না চাইলেও আমাদের মনের মধ্যে তারা বিরাজ করবে, প্রভাবিত করবে, সর্বোপরি, ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির সম্ভাবনা তৈরী করবে।

কেউ কেউ হয়তো বলবেন যে, বিচারক তো একজন থাকবে না। তিন বা ততোধিক থাকবে। তাহলে সমস্যা কি? সমস্যা হলো, সেক্ষেত্রে একটা চেক এন্ড ব্যালেন্স হয়তো হবে, কিন্তু পরিচিত প্রতিযোগীরা কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে; যেই সুবিধাটা অপরিচিত বা স্বল্প-পরিচিতরা পাবে না। কাজেই লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরী করতে ব্লগারদের বাইরে থেকে বিচারকের মনোনয়ন দেয়ার কোন বিকল্প নাই।

হ্যা, একটা সমস্যা হতে পারে। ব্লগ কর্তৃপক্ষ যদি বলেন যে, আমাদের বাইরে থেকে যোগ্য বিচারক যোগাড় করার সক্ষমতা নাই। তাহলে অবশ্য ভিন্ন কথা। তবে, ব্লগের ঘোরতর শত্রুরাও সম্ভবতঃ এই কথা বিশ্বাস করবে না।

আরেকটা কথা এই সুযোগে বলে নেই। এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন কি শুধুই ব্লগ কর্তৃপক্ষ করবে? কোন ব্লগার যদি কর্তৃপক্ষের ছত্রছায়ায় এই ধরনের আয়োজন করতে চায়, তাহলে কি কোন সমস্যা আছে? আমি মনে করি, বিভিন্ন কারনে প্রতিমাসে বা নিয়মিতভাবে এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়তো কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে কোন ব্লগার যদি এমন আয়োজন করতে চায়, তাহলে করতে পারা উচিত।

সবাইকে ভুয়া মফিজের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা!!!

ছবিসূত্রঃ view this link
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০০
৩২টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×