ফরিদপুরে ২৫ জন মারা গেল। প্রতিদিনই মরছে। সড়ক দূর্ঘটনায় এই মৃত্যুগুলো আমাদের চোখে পড়বে না। পেট্রোল বোমা আর ক্রসফায়ারের সময়ও প্রতিদিন ৫-৭ জন করে মরেছে সড়ক দূর্ঘটনায়। জাতিসংঘ সড়ক দূর্ঘটনা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানায়নি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিবৃতি দেয় নাই, এমেনিস্টি ইন্টারন্যাশনালও কিছু বলেনি। অনিরাপদ সড়কের প্রতিবাদে হরতাল দেয়নি কোন দল, হোক প্রতিবাদও হয়নি। হয়নি কোন মানববন্ধন। ভিক্টিমদের ফ্যামিলিকে দেখতে গিয়ে অশ্রুপাত করেননি কোন ভিভিআইপি।
প্রতিদিন মানুষ মরছে। সড়ক দূর্ঘটনা, লঞ্চডুবিতে। কিন্তু কারো কোন হেঁতকেঁত নেই। ক্রসফায়ারে মারা গেলেই শুধু 'মেধাবী' খেতাব পাওয়া যায়। এনিয়ে ব্যাপক লেখালেখি হয়। পেট্রোল বোমায় নিহত হওয়া লাগে না, আহত হলেই গাড়ি-বাড়ি। কিন্তু রোড এক্সিডেন্টে কারোরই কোন খবর নাই। কারন এইটা নিয়ে কোন রাজনীতি করা যায় না।
তারেক মাসুদ-মিশুক মনিররা যখন মারা গেল তখন দেখেছি কি বিভতস কায়দায় সড়ক দূর্ঘটনাকে জাস্টিফাই করা হল। নাস্তিক মারা গেছে, আল্লাহর গজব, আলহামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা অর্থমন্ত্রী বলা হয় যাকে সেই এম সাইফুর রহমানও কিন্তু সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছেন। ওটা কি আল্লাহর গজব না?
আর কতগুলো লাশ পেলে, আর কতগুলো সড়ক দূর্ঘটনা হলে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের এজেন্ডায় নিরাপদ সড়কের বিষয়টা যোগ করবে? আর কত মায়ের বুক খালি হলে নিরাপদ সড়কের দাবীতে হরতাল হবে? আর কত সন্তান বাবাহারা হলে বেপরোয়া চালকদের শাস্তি হবে, ভিক্টিমদের পরিবারে গিয়ে ভিভিআইপিরা কাঁদবে?
#নিরাপদ_সড়ক_চাই