আমার একটি মেয়ে ছিল,সে আমাকে খুব ভালোবাসতো,আমি ডাকলেই দৌড়ে আমার কাছে চলে আসত।একদিন তাকে ডেকে আমার সাথে নিয়ে চললাম, পথে একটা কূপ পেলাম, আমি তার হাত ধরে ধাক্কা দিয়ে কূপের মধ্যে ফেলে দিলাম। তার শেষ শব্দটি যা কানে এলো তা ছিল, হায় আব্বা! হায় আব্বা! এ ঘটনাটি যখন সেই পিতা রাসুল সাঃ এর সামনে বর্ণনা করছিলেন তখন রাসুল সাঃ এত কাঁদলেন যে,তাঁর দাড়ি মুবারক অশ্রুতে ভিজে গেল।কন্যাকে জীবন্ত কবর দেয়ার ঘটনা এই একটি ই নয়,জাহেলী যুগে এটা ছিল নিত্য ঘটনা। কিন্তু এই ঘটনার আড়ালে একটি প্রশ্ন থেকে যায় সেটি হলো তাদের কি কোনো পিতৃহৃদয় ছিলনা? উত্তর : অবশ্যই ছিল।তবে?
জীবন্ত কন্যা কবর দেয়ার সবচেয়ে প্রধান ও অন্যতম কারন ছিল কন্যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারা,তার ইজ্জত আব্রু রক্ষা করতে না পারা।কন্যার যৌবনে উঠামাত্রই অন্য পুরুষ দ্বারা লাঞ্চিত হওয়া আর যদি শত্রু পক্ষের হাতে পড়ে তবে সে তাদের দাসী হয়ে যাওয়া।
কন্যা তথা নারীদের প্রতি যাতন, পীড়নের সর্বগ্রাসী রুপ আজ আবার দেখতে পাচ্ছি, পুরোটাই এক শুধু ভোল পাল্টানো, যেন মুদ্রার এই পিঠ আর ওই পিঠ।পথে, হাটে, মাঠে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোথায় কন্যা নিরাপদ মনে করতে পারে? কিন্তু এটা কি হঠাৎ হয়ে গেল? নাকি শুরু থেকেই অনিরাপদ ছিল? কোনটাই কিন্তু নয়।
প্রগতিশীলতার নামে, আধুনিকতার নামে যখন কন্ন্যাদের আলেয়ারআলো দেখানো হয়েছিল তখন নারী, পুরুষ, পুত্র,কন্যা, পিতা, মাতা সকলেই সেই আলোতে মোহাচ্ছন্ন হয়েছে। আর এই সুযোগে কন্যা তার সম্ভ্রম থেকে শুরু করে সর্বস্ব খুইয়ে যখন লাঞ্চনার অন্ধকূপে পরেছে, তখন কিছু লোকের টনক নড়েছে তাও এত মৃদু আওয়াজ যে শুনতেই পাওয়া যায় না।বস্তুত যে সমাজে অবাধ মেলামেশা ও প্রেম প্রনয় চর্চা অতি সাধারণ ব্যাপার সেখানে হ্যামিলনের বাশিওয়ালার আর দোষ কোথায়?
এই বিনাশা, চরিত্রনাশা, সর্বগাসী রুপ থেকে বাচঁতে হলে, পূর্ণমুক্তি পেতে হলে, সার্বিক নিরাপত্তা ও নিরবিচ্ছিন্ন শান্তির পথ চাইলে প্রতিটি কন্যাকে অবশ্যই কুরআনের দাওয়াত কবুল করে আল্লাহর দেয়া বিধান ইসলাম কে জান মাল বাজি রেখে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে।কারন ইসলাম প্রতিটি কন্যাকে পবিত্র ও চরিত্রসম্পন্ন করেই জীবিত রাখতে চায়।