বাংলাদেশী একটি চ্যরিটি অর্গানাইজেশন গত ১০ বছর যাবত রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা করছে বলে একটি ওয়েব সাইটে দেখা যায় । প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে ফান্ড রেইজিংএর লক্ষ্যে প্রদত্ত খরচের হিসাবের একটি ফিরিস্তি নীচে দেয়া হল ।
Rohingya Crisis Relief Appeal
https://www.youcaring.com/rohingyarefugeesinbangladeshandburmaborder-945141
Muslim Council of Hong Kong are partnering with Self Reliant Society, a local Bangladeshi charity who have been helping the Rohingya refugees since 2010. We aim to help 15,500 families in the short term emergency support and long term too .
donations will help for the following:
Food = HK$220 (US$27.75) per family = rice, oil, onion, potato, salt, daal, flour and red chilli = 1 bag can feed a family for 1 week
Hand Tube Wells = HK$1,700 (US$220) per family = 110 sqft deep and able to provide water for minimum 2-3 years
Small Shelter Homes = HK$1,400 (US$175) per family = 180 sqft = 7-10 people = Bamboo and Plastics structure. Brick walls will only be built once the Bangladeshi government permits .
তাদের থেকেও অনেক কম প্রায় অর্ধেক অর্থ দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয়ের পরিমানের একটি মামুলী আনুমানিক হিসাব নীচে তুলে ধরা হল । উল্লেখ্য বাংলাদেশে বর্তমানে ৮ লক্ষের উপরে রোহিঙ্গা অবস্থান করছে তাদের জন্য দেশের অর্থ ও সম্পদ ব্যয় হচ্ছে ।
একজন মানুষের খাদ্যের জন্য দৈনিক গড়ে প্রায় ৩০০ গ্রাম চাল লাগে ( প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তদেরকে হিসাবে ধরে গড় করা হয়েছে) । এখন ইচ্চে করে এই খরচের পরিমানটিকে কম করে ধরে বাংলাদেশের অবদানকে খাটো করে দেখানোর মানসিকতা আশা করি কারো হবেনা ।
বর্তমান ৬০ টাকা কেজি বাজার দরে ৩০০ গ্রাম চালের মুল্য প্রায় ১৮ টাকা
এগুলি পাকানো, সাথে চাল ডাল তেল নুন তরি তরকারী , মাছ মাংস ও রান্না বান্নার খরচ মাথা পিছু গড়ে ১০ টাকা
এর সাথে যুক্ত আছে তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ সেবা যা জনপ্রতি দৈনিক গড়ে কম করে হলেও ২ টাকা,
এর সাথে আছে তাদের পিছনে জড়িত বাংলাদেশ সরকারের লোকজনদের বেতন ভাতা ও জনবলের মজুরী
তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় যা দৈনিক হিসাব করলে মাথাপিছু বেশ একটা বড় অংকই হবে তবে সেটা এখানে না হয় বাদই দিলাম ।এছাড়া আরো বহুবিদ ব্যয় তো আছেই ।
তাই রোহিহাঙ্গাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় মাথা পিছু দৈনিক ব্যয় প্রায় ( ১৮ + ১০+ ২ )= ৩০ টাকা ।
এ হিসাবে দেশে থাকা ৮ লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য দেনিক প্রায় ৮ X ৩০ = ২৪০ লক্ষ তথা ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা লাগছে ।
এদের জন্য মাসে প্রয়োজন প্রায় ৭২ কোটি টাকা , বাৎসরিক লাগবে প্রায় ৮৬৪ কোটি টাকা । সত্যিকার হিসাবে এই অর্থের পরিমান আরো বেশীই হতে পারে ।
অপর দিকে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার মত লাগতে পারে তাদের মাথা গুজার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে ঘর তৈরী, টয়লেট ও পানির ব্যবস্থা করা , সাস্থ সেবা অবকাঠামো ও কেম্প হতে কেম্পে যাতয়াতের জন্য রাস্তা তৈরী করা । এই ১০০০ কোটি টাকা এখনই প্রয়োজন বাংলাদেশের জন্য ।
অথচ এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস হতে মাত্র ১০ কোটি ডলার বা ৮০০ কোটি টাকার বৈদেশিক সাহায্যের প্রতিশ্রতি পাওয়া গেছে । এ টাকা পাওয়া যাবে কিস্তিতে এবং তা কত কিস্তিতে ও কত দিনে পাওয়া যাবে তা আল্লাই জানেন , কারণ বৈদেশিক অর্থ প্রাপ্তি সে যে কত জক্কি ঝামেলা তা ভুক্ত ভোগীই জানেন ।
সঠীকভাবে ব্যয় না হয়ে প্রতিশ্রত টাকা চোরি চামারীর ফলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশকে যে চোর বলতে পারে সে বিষয়ে ব্লগের একটি পোষ্টে কিছু কথামালা দেখতে পাওয়া যায় । বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির চেয়েও বাংলাদেশ যেখানে বেশী টাকা ব্যয় করবে সেখানে রোহিঙ্গারা বাংলদেশকে চোর হিসাবে বলতে পারার কোন হাতিয়ার তাদের কাছে তুলে দেয়া সত্যিই দু:খ ও লজ্জাজনক ব্যপার হবে ।
সকরকারকে পরামর্শ দেয়ার সময় নীজেদের ভুলে ও অজান্তে দাতাদের মনে সন্দেহের কোন বীজ প্রবেশ করে ত্রান কার্যক্রমের জন্য বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির বিষয়টি যেন ব্যহত না হয় সে বিষয়ের প্রতি সকলের সচেতনতা প্রয়োজন আছে বলে বলে মনে হয় । জাতির এই দুর্যোগময় মহুর্তে কোন অবস্থাতেই নীজ দেশ যেন কোন মতেই হেয় প্রতিপন্য না হয় সেটাই এখন বেশী গুরুত্বপুর্ণ । কোন জায়গায় অনিয়ম কিছু হলে সেটা সরকার খুব শক্তভাবে ধরবে বলে বার বার হুসিয়ারী দিচ্ছে সেটাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করাই ভাল বলে মনে হয় । কোথাও কারো কাছে অনিয়ম কিছু ধরা পড়লে তা নামে কিংবা বেনামে স্থানীয় প্রশাসন কিংবা দুদকের কাছে জানানোই বেশী ভাল । কিংবা সু নির্দিষ্ট তথ্য প্রমান দিয়ে গনমাধ্যমে প্রকাশ করলে সেটাও ভাল । কতৃপক্ষ সত্য মিথ্যা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে পারবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭