বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সর্বশেষ স্বীকৃতি হচ্ছে নীতিনির্ধারণী বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য জাতিসংঘ থেকে পরিবেশ বিষয়ে সর্বোচ্চ পদক 'চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ' পুরস্কার প্রাপ্তি। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় কেবল দেশে রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা নয়; বৈশ্বিক পরিসরে নীতিনির্ধারণে তিনি যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন, তার স্বীকৃতি হচ্ছে এই পুরস্কার।এই বছর বাংলাদেশের হাওর ও খাল-বিলে নেমেই শিকারিদের কবলে পড়ছে শীতপ্রবণ সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে আসা অতিথি পাখি। সাইবেরিয়া অঞ্চলে তামমাত্রা দ্রুত কমতে থাকায় এখন প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক অতিথি পাখি সেই এলাকা ছাড়ছে। এদের একটি অংশ একটু উঞ্চতার খোঁজে নামছে বাংলাদেশের হাওর-বাওর জলাশয়ে। এসব অতিথি পাখি শুরুতেই পেশাদার ও সৌখিন শিকারিদের কবলে পড়ছে।শীতের তাড়া খেয়ে একটু উঞ্চতার খোঁজে এসব পরিযায়ী পাখি এলাকায় নামে বলে এ অঞ্চলে পাখির দেখা মিলছে। অতিথি পাখি আসার আন্তর্জাতিক দুটি রুটে পড়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। ভারত হয়ে সেন্টাল এশিয়ান রুট এবং চীন হয়ে অস্ট্রেলেশিয়া রুট। এই দুটি রুটে বাংলাদেশর অবস্থান হওয়ায় প্রতি বছর শীতের তাড়া খেয়ে সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে লাখ লাখ পরিযায়ী পাখি বাংলাদেশে আসে। বিশেষ করে তীব্র শীতের দেশ থেকে একটু উঞ্চতার খোঁজে এসব পাখি হাজার হাজার মাইল পথ দিয়ে আসে বাংলাদেশের বিভিন্ন দ্বীপ ও হাওরে অবস্থান নেয়।আর এরপর থেকেই শুরু হয়েছে এসব পাখি শিকারে পেশাদার শিকারিদের তৎপরতা।বাংলাদেশে বেশিভাগ এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার করা হয় । বতমানে অনেক পাখি বিলুপ্তি হয়ে গেছে। এখন যদি গ্রাম পর্যায়ে এয়ারগান নিষিদ্ধ না করা যায় আগামীতে আমাদের অনেক পাখি শুধু কাগজে কলমে দেখাতে হবে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশের সৌন্দর্য ও ভারসাম্য রক্ষায় বন্য পশুপাখি শিকার আইন করে বন্ধ ও অবৈধ ঘোষণা করেছে সরকার। এখন অবৈধভাবে পশু-পাখি শিকার ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে বিদ্যমান পরিবেশ রক্ষা আইনে।
পাখি ও পরিবেশ, প্রতিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্য উন্নয়ন হলে যেমন পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষিত থাকবে তেমনি উন্নয়নের সুফল পাবে সাধারণ মানুষ। বলা যায়, পরিবেশ উন্নয়নের এই অভিযানের নেপথ্যে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং আগামীতে রাখবেন। গ্রাম পর্যায়ে এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার নিষিদ্ধ করে পাখি রক্ষায় আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। বিশেষ করে পাখি ও বনাঞ্চল সংরক্ষণ, বিসবুজীকরণ বন্ধ ও সবুজ সম্প্রসারণে সবাইকে আরও উদ্যোগী করে তুলতে হবে । এখন আশা করতে পারি, পরিবেশ সুরক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভূমিকা আরও জোরালো হবে, আরও সংবেদনশীল হবে।
যেসব বনাঞ্চল ইতিমধ্যে নাজুক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে, সেগুলোর ব্যাপারে নিতে হবে বিশেষ ও জরুরি ব্যবস্থা।আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশা রাখতে চাই, পাখি ও পরিবেশ আমাদের অমূল্য সম্পদ।এই পাখি রক্ষায় গ্রাম পর্যায়ে এয়ারগান নিষিদ্ধ করার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। তিনি জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ে সর্বোচ্চ পুরস্কার পেয়েছেন। পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংসের জের হিসেবে আবির্ভূর্ত জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় বিশ্বে নেতৃত্বের আসনে রয়েছেন। তার দেশে যদি গ্রাম পর্যায়ে এভাবে এয়ারগান দিয়ে পাখি মেরে প্রাকৃতিক ঐতিহ্য বিনষ্ট করে , সেটা তার ভাবমূর্তির জন্য ইতিবাচক হবে না। পরিবেশ রক্ষার প্রশ্নে তার যে সদিচ্ছার কথা আমি জানি, মাঠ পর্যায়ের কপিতয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকের চিন্তা-ভাবনা ও আচার-ব্যবহারে তার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না।
ইতি মধ্য পাখি রক্ষা করার জন্য শাহজাদপুর উপজেলার আগনুকালী গ্রামে আমি নিজ উদ্যোগে ৬ জন যুবক মিলে গাছে গাছে মাটির কলস দিয়ে পাখি থাকার ব্যবস্থা করে গড়ে তুলেছি পাখির অভ্যায়শ্রম। শাহজাদপুর উপজেলার সব জায়গায় শত শত ব্যানার ফ্রেষ্টুন, লিফলেট, মাইকিং, পাখি শীকারীদের আটক সহ নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছি।গড়ে তুলেছি একটি সংঘঠন দি বার্ড সেফটি হাউজ ।সরকারী ভাবে যদি আমাদের কাজ করার জন্য সাবিক সহযযোগিতা করেন তাহলে বাংলাদেশ হবে একদিন পাখি বান্ধব ও পরিবেশ বান্ধব বাংলদেশ।
এব্যাপারে দি বার্ড সেফটি হাউজের প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা সাংবাদিক মামুন বিশ্বাস বলেন, শীতের সময় গ্রাম পর্যায়ে এয়ারগানের ব্যবহার বাড়লেও সারা বছরই এটা দিয়ে পাখি নিধন চলে। গ্রাম থেকে দোয়েল, বুলবুলি, ঘুঘু, শালিক, নীলকণ্ঠ, মাছরাঙা, কুকো, ছোট আমতোতাসহ বিভিন্ন পাখি হারিয়ে যাওয়ার কারণ এই নীরব ঘাতক অস্ত্রটি। তিনি বলেন, শিকারিদের হাত থেকে যেকোনো উপায়ে এয়ারগান ফিরিয়ে নিতে হবে। শিকারীরা যাতে এয়ারগান দিয়ে পাখি মারতে না পারে আমরা সে দিকে কঠোর অবস্থান নিয়েছি এবং আমাদের সাথে শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসন সাবিক সহযোগিতা করছে। গ্রাম পর্যায়ে এয়ারগান বন্ধের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পরিবেশ অধিদপ্তর কে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপের অনুরোধ জানান।
বিস্তারিত জানতে আমাদের পেজ দেখুন http://www.facebook.com/TheBirdSafetyHouse
সাংবাদিক মামুন বিশ্বাস
প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা
দি বার্ড সেফটি হাউজ
শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জ
ফোন +৮৮০১৭১৬-৫৪৬৯৫০
email:[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭