সাধারণত অন্য বিটে কাজ করার সুবাদে নির্বাচনের নিউজ কাভার করার কোনো সুযোগ দেয়নি অফিস। তবে যেহেতু গাড়ি চালানো বন্ধ তাই ভাবলাম মোটরসাইকেল চালানো ঝুকিপূর্ণ হবে। যদিও আমার মোটরসাইকেলের সামনে সাংবাদিক লেখা, কাল শাহবাগে তারপরো পুলিশ ধরলো। এরপর সাংবাদিক বলায় রক্ষা। কাল রাতে এজন্য অফিসে এসে চীফ রিপোর্টারকে অনুরোধ করলাম আমাকে যেন একটা স্টিকার দেয় নির্বাচন কমিশনের । প্রথমে উনি বললেন, `সবাইকে দিয়ে যদি বাকি থাকে তবে আপনাকে দেব।' আমি বললাম মোটরসাইকেল তো চালাতে পারব না। এরপর বলল , হাতের কাজ শেষ হোক। পরে আসেন। একটু পর গেলাম। আমাকে ডেকে একটা স্টিকার ধরিয়ে দিলেন। তাকে একটা ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ এই জন্য যে এই স্টিকার না থাকলে হয়তো ঢাকা শহরেরর এই সোন্দর্য্য দেখতে পেতাম না। বেলা সাড়ে এগারটার দিকে গেলাম বাড়ির কাছের ভোটকেন্দ্রে। বশিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর। সেখানে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিতে যাব, অমনি মুখোমুখি ফ্লাটের ভাইজান বললেন, আপনার দাড়ানো লাগবে না লাইনে। এরপর সোজা প্রিজাইডিং অফিসারেরর সামনে। ব্যালট পেপার তিনখান নিলাম। ভোট দিলাম। ছবিও তুললাম। ফেসবুকে দিলাম। একটু পর বউ ভোট দিয়ে বেরিয়ে এল। আমরা দুজন মিরপুরের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলাম মোটরসাইকেলে। রাস্তা ফাকা। আহা কি শান্তি। দু একটা রিকশা ছাড়া কিছু নেই। অনেকে আমাদের দেখে ঈর্ষার চোখে তাকাচ্ছিল। মিরপুর বশিরউদ্দিন স্কুলের পাশে একটা কিন্ডারগার্টেন পার হয়ে টোলারবাগ সরকারি কলোনির ভেতরে ওয়াক আপ সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গেলাম। দুপুর বেলা। দেখি একজন লোকও ভোট দিচ্ছে না। কেন্দ্র ফাঁকা। শুধু কাউন্সিলর প্রার্থীদের বুথে লোকের জটলা। এরপর সেখানে দাড়িয়ে ছবিটবি তুলে গেলাম মিরপুর ১ নম্বর, চিড়িয়াখানা রোড। যাওয়ার পথে ১ নম্বর মোড়ে একজন কনস্টেবল আমার মোটরসাইকেল আটকানোর জন্য দূর থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কাছে আসতেই নির্বাচন কমিশনের লোগাওয়ালা স্টিকার দেখে হেসে চলে গেল। আমি হাসি। বউ হাসে। এরপর কমার্স কলেজ, মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলাম। সেখানে দেখি একদল যুবক বসে আড্ডা দিচ্ছ। একটু পর ভোটার আইডি নম্বর ধরিয়ে দিয়ে কিশোর ছেলেদের বলছে যা ভোট দিয়ে আয়। ওই ছেলেটা বলল আমি তো দিছি একবার। সে বলল, আবার যা। আরে ব্যাটা আমি তো ছয়বার ভোট দিলাম। সেখানে যা বুঝার বুঝলাম। ওই কেন্দ্র থেকে বের হয়ে মিরপুর থানার সামনে দিয়ে দশ ফুট রাস্তা দিয়ে এলাম মনিপুর স্কুলের সামনে। সেখানেও মনে হল সামথিং রং। কোনো পুলিশ নেই কেন্দ্রে। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটা বুথে কর্মীরা বসে আছেন অলস হয়ে। এরপর সামনে আরো এগুতে দেখি ভোট নিয়ে কারোর মধ্যে মনে হয় তেমন উৎসাহ নেই। আরো কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে অবশেষে বাসায় ফিরলাম।
এরপর অফিসে আসার পথে কয়েকটা ছবি তুললাম ফাকা রাস্তার। সেগুলা আপনাদের উদ্দেশে দিলাম।
আলোচিত ব্লগ
Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।
কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।