মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তারপরও কখনো কখনো তাদের মেনে নিতে হয় অমানুষিক জীবন। সমাজে দু শ্রেনীর মানুষ রয়েছে একটি ধনী আর অপরটি দরিদ্র। আর কালে কালে ধনীদের হাতে দরিদ্ররা নির্যাতিত হয়েছে, মেনে নিয়েছে তাদের অত্যাচার। তবে বর্তমান সময়ে তথা আধুনিক যুগে তার একটি নমুনা ধরা পড়েছে হংকংয়ে। পোষা প্রাণির মতোই মানুষ এখানে খাঁচায় বাস করে। একটির উপর আরেকটি এ রকমভাবে মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত সাজানো খাঁচাগুলোয় মানবেতর পরিবেশে বাস করতে হয় প্রায় চার লাখ মানুষকে। এ বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে শিশু ও নারীরা ও রয়েছে। এভাবে খাঁচায় বসবাস করা মানুষেরা সবাই দিনমজুর ও একেবারেই নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র এসব মানুষের যেমন নির্দিষ্ট কোন আয়ের উৎস নেই , তেমনি নেই বাসস্থানও। এ সুযোগেই হংকংজুড়ে গড়ে উঠেছে এ বিশেষ আবাসন ব্যবস্থা। এত প্রথমে একটি বাসা ভাড়া নেয়া হয়। এর পর বাসার পরো জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয় খাঁচা। কাঠ ও তারের জালি দিয়ে তেরি করা হয় খাঁচাগুলো। একজন পুর্ণবয়স্ক মানুষ তাতে পা লম্বা করে শুতে পারলেও এ ভিতর দাঁড়াতে পারবে না। ঢ়ুকতে হয় মাথা নিচু করে এবং ঢ়ুকেই শুতে বা বসতে হয়। কিন্তু খাঁচাটি শুধু যে বিছানা তা নয়, এটিই এ বাসিন্দার বাড়িঘর,, সহায়-সম্পত্তি অর্থাৎ তার স্থাবর অস্থাবর সব এই খাঁচা।
হংকংয়ে ঘিনজি এলাকায় ছোট ভবনগুলোতেই এ রকম 'খাঁচা ফ্ল্যাট' ভাড়া দেওয়ার জন্য বাসা ভাড়া দেওয়া হয়। ছোট ওই বাসাগুলোর একেকটি ঘরে গাদাগাদি করে ১৮-২০টি খাঁচা স্থাপন করা হয়।
এখানে Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




