"সদ্য ঘোষিত ৮ম বেতন কাঠামোয় শিক্ষকদের অমর্যাদা করা হয়েছে- এমন অভিযোগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের । নতুন বেতন কাঠামোর প্রস্তাবের পর থেকেই আন্দোলন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা । ইতিমধ্যে শিক্ষক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে সকল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে । দাবি মেনে নেওয়া না হলে আগামীকাল অর্থাৎ ১১ই জানুয়ারী থেকে দেশের ৩৭ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা । কেন এই আন্দোলন তা আমরা অনেকেই জানি না । কারণ জেনে নেওয়া যাক তাইলে.....
এক.
৭ম বেতন কাঠামোয় মুখ্য সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সচিবরা সর্বোচ্চ ধাপ গ্রেড-১ এ বেতন পেতেন । ৮ম বেতন কাঠামোয় পূর্বের সর্বোচ্চ গ্রেড-১ থেকে শিক্ষকদের দু’ধাপ নিচে নামানো হয়েছে এবং উপরের দিকে অতিরিক্ত দুটি বেতনের ধাপ সৃষ্টি করা হয়েছে মন্ত্রীপরিষদ সচিব/মুখ্য ও সিনিয়র সচিবদের জন্য । এদিক থেকে বেতন কাঠামোয় ধাপ হলো ২২ টি এবং গ্রেড হলো ২০ টি । বর্তমানে গ্রেড-১ ও ২ এ যথাক্রমে সচিব ও অতিরিক্ত সচিব বেতন-ভাতা পাবেন । শিক্ষক ও যুগ্ম সচিবদের জন্য রাখা হয়েছে ৩ নম্বর গ্রেড । কিন্তু ৭ম বেতন কাঠামোয় মন্ত্রীপরিষদ সচিব, মুখ্যসচিব ও সচিবদের মতো শিক্ষকরাও ছিলেন ১ নম্বরে । ফলে ক্রমিক হিসেব করলে ৩য় গ্রেড নিয়ে শিক্ষকরা নেমে গেলেন ৫ম নম্বরে । উল্লেখ্য, ধাপ ও গ্রেড এক কথা নয় ।
দুই.
৮ম বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল রাখা হয়নি অথচ তা ৭ম বেতন কাঠামোয় ছিলো । ফলে শেষ জীবনেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পক্ষে ১ম ও ২য় ধাপ তো দুরের কথা ৩য় ও ৪র্থ (গ্রেড-১ ও ২) ধাপের অধীনে বেতন পাওয়া সম্ভব নয় । কারণ, ক্রমিক হিসেবে নতুন বেতন কাঠামোয় শিক্ষকদের মর্যাদা ১ম থেকে কমে ৫ম নম্বরে অর্থাৎ ৩য় গ্রেডে এসেছে । আপাতদৃষ্টিতে শিক্ষকরা দু’ধাপ নিচে নেমেছেন দেখা গেলেও আসলে শিক্ষকদের নিচে নামানো হয়েছে ৪ ধাপ । অর্থাৎ ৫ম ধাপে শিক্ষকরা সর্বোচ্চ বেতন-ভাতা পাবেন ।
সুতরাং বলা যেতে পারে, আন্দোলনের যৌক্তিকতা বিচারে কঠিন সমীকরণ দেখানোর প্রয়োজন নেই । খুব সহজেই বলা যায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন শতভাগ যৌক্তিক । এদিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় শতভাগ বেতন বেড়েছে । তাই স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর বিষয়টি এখন আর আন্দোলনের মূল বিষয় নয় বলে আমি মনে করি । শুরু থেকে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন ছিলো না । তবে ইদানিং আন্দোলনের বিরুদ্ধে বাস্তবে অথবা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু মানুষ ভিন্নরকম মতামত প্রকাশ করছেন । যাদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী । কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয় বলতেই হয় ।
এক.
অপ্রিয় হলেও বলতে হয়, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এমন মতামতের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটিকয়েক শিক্ষকই দায়ী । যাঁদের কারণে পুরো শিক্ষক সমাজের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে । যা কখনোই কাম্য নয় । শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মাঝে দেয়াল তৈরির খেসারত হিসেবেই এমনটা হচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই । আমি মনে করছি, শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে এ বিষয়টি অন্যতম একটি বাধা হয়ে দাঁড়াবে ।
দুই.
দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর মাঝপথে থেমে যাওয়া, আন্দোলনে দু’একজন শিক্ষক নেতার ফেইসবুকে সেলফি প্রকাশ এবং আন্দোলনের তীর্থস্থান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে ফেডারেশন থেকে বহিষ্কার করার পর থেকে শিক্ষক ফেডারেশনের প্রতি অনেকেই এখন আস্থা রাখতে পারছেন না । ফলাফল হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এ আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মতামত প্রকাশ করছেন ।
তিন.
শিক্ষক আন্দোলনের মূল বিষয়টি সম্পর্কে এখনো অধিকাংশ মানুষ শতভাগ অবগত নন । বেশিরভাগ মানুষ এখনো মনে করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সকল শিক্ষকই এখন থেকে সচিবদের মত করে র্যাংকিং অথবা পদমর্যাদা অনুসারে বেতন চাইছেন । অর্থাৎ অধ্যাপকদের দিতে হবে সিনিয়র সচিবদের সমান বেতন । এভাবে পদমর্যাদা অনুসারে প্রভাষকদের বেতনও বাড়াতে হবে । এই কথাগুলো বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীদের মুখে মুখেই পাওয়া যাবে এখন ।
যাই হোক, নিজেদের দাবি আদায়ে এসব বিষয় সম্পর্কে আমাদের সন্মানিত শিক্ষক ও শিক্ষক ফেডারেশন নেতাদের আরো সচেতন হতে হবে এবং বিশেষ করে শিক্ষকদের উচিৎ কমপক্ষে তাদের শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের অবস্থান পরিস্কার করা, যাদের জীবন এই নৈতিক আন্দোলনের কারণেই সমস্যায় পড়তে পারে ।
এবার আসি শিক্ষকদের মর্যাদার বিষয়ে । আমরা অনেকেই মনে করছি শিক্ষকদের তো আমরা সন্মান কম করি না, তাহলে এতো বেতন দিয়ে উনারা কি করবেন? আসলে শিক্ষকদের আন্দোলন বেতন বা টাকার জন্য নয়, তা মানতেই হবে । এ আন্দোলন মর্যাদা টিকিয়ে রাখার লড়াই । কতিপয় সচিবের সুপারিশে বর্তমান সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমনটি করা হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই ।
সমাজে শিক্ষকদের আমরা যতই সন্মান দেই না কেন, কাগজে-কলমে কিন্তু তাঁদের মর্যাদা কমেছে । যা শিক্ষক সমাজ তথা পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক ! পাঠক সমাজের কাছে প্রশ্ন রইলো, সমাজে সবার উপরে মর্যাদা দেব অথচ বেতনের বেলায় কেন প্রাপ্য গ্রেড থেকে নিচে দেব ? ৮ম বেতন কাঠামোয় শিক্ষকদের ধাপ ও গ্রেড কমানোর এমন কি দরকার ছিলো ?
মনে রাখতে হবে, একজন সচিব হতে যেমন জীবনের সকল কয়লা পুড়াতে হয় তেমনি একজন অধ্যাপক হতে হলেও তিন মাথা এক সাথে করতে হয় । এক একজন অধ্যাপক রাষ্ট্রের জন্য এক একটি রত্ন স্বরূপ । আমি সচিবদের ছোট করছি না । সচিবরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান ও যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন । সচিবদের বেতন কাঠামো নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই । নতুন তৈরি দু’টি ধাপ না হয় বাদই দিলাম । এরপরেও সচিবরা যদি ক্রমিক হিসেবে অতিরিক্ত দু’টি ধাপ এবং গ্রেড-১ ও ২ এর অধীনে বেতন-ভাতা পান, কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা পাবেন না ?
শুধু মুখে-মুখে সম্মান দিলেইতো হবে না । শিক্ষকদের প্রাপ্য সম্মান ও যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন দিতে হবে । কাগজে-কলমে শিক্ষকদের প্রাপ্য মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে ।"
এতক্ষণ যা পড়ছিলেন তা ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী-সাংবাদিক মোঃ আরিফুল ইসলামের করা একজন অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিবেদন ।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নৈতিক দাবির মুখে আসলে বলী হচ্ছে শিক্ষার্থীরাই । এই কথা অনেকেই নাও মানতে পারেন । আবার অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, যদি শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়বে বলে বারবার করে আন্দোলন পেছাতে থাকেন, তাহলে আদৌ এই আন্দোলন আলোর মুখ দেখা কি সম্ভব ? এখানেই আসলে সমস্যা । প্রতিবছর একটি ব্যাচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যায়, আরও একটি নতুন ব্যাচ যুক্ত হয় । যদি বিদায়ী ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের আগামী ভবিষ্যতের কথা ভেবে শিক্ষকরা আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসেন তাহলে নিশ্চিতভাবেই সেই আন্দোলন বেগবান হবে না । কারণ প্রকৃতপক্ষে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী সাথে শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক দূরত্ব রয়েছে । তাহলে আসুন দেখে নিই, শিক্ষকদের প্রতি এমনই এক বিদায়ী ব্যাচের ছাত্রের আকুল আহবান,
সত্যি বলতে ঘৃণা লাগছে নিজের উপর... নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভাবতেও লজ্জা লাগছে...
শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা,
একদিন সব পাবেন। সত্যি পাবেন,
টাকা পাবেন, উচ্চতর র্যঙ্ক পাবেন ।
আমি বলছি না আপনাদের দাবি অযোক্তিক, বলছি না আপনারা থামুন দাবি আদায় থেকে ।
তবে নিজের দাবি আদায়ে অন্যকে দমিয়ে দেওয়ার এই প্রহসনের রাস্তাটাকে ঠিক বলতে পারলাম না ।
আপনি হাজার বার আন্দোলন করুন, প্রয়োজনে আমি নিজে দাড়িয়ে থাকব যে, "আমাদের স্যারদের যোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দিন । "
আই রিপিট, আমি যাবো সে আন্দোলনে, তবে দিনের পর দিন ক্লাশ এক্সাম পিছিয়ে রেখে নয় ।
আজ আমার এই দিন, আমার এই ক্ষণ কি আপনি ফিরিয়ে দিতে পারবেন ???
পারবেন কি আমার আগামী দিনের চাকরীর নিশ্চয়তা দিতে ???
প্রতিটা দিন আমরা হারাচ্ছি প্রতিযোগিতার বাজার থেকে, ছিটকে পড়ছি আমরা...
আপনাদের যোক্তিক আন্দোলনে আমাদের জীবন কেনো জড়াচ্ছেন ???
এটা কেমন ইনসাফ হল ???
আমি জানি না ঠিক কোন পরিস্থিতিতে পড়ে এই লেখা লিখছি, শুধু জানি পাশ করে বের হওয়াটা আমার খুব দরকার....
খুব বেশী...
আমার অসুস্থ বাবার পাশে দাঁড়ানোটা দরকার,
আমি শুধু জানি আমার অবসরপ্রাপ্ত বাবার হাতটা শক্ত করে ধরার খুব দরকার...
জানিনা এই দেশে আমার মত করুন অবস্থায় ঠিক কত জন আছে, জানি না তাদের কি অবস্থা...
প্লিজ স্যার
আপনারা আন্দোলন করুন,
দোয়া করি সফল হন, তবে আমাদের এভাবে আটকে রেখে নয়, প্লিজ....
হাজারবার প্লিজ...
বলুন একজন মানুষ হিসেবে এবার আপনি কাকে সমর্থন জানাবেন, শিক্ষকদেরকে নাকি ঐ বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে ? আপনার উত্তর আপনার কাছেই রাখুন ।
আবার অনেক শিক্ষার্থীদের আমি সরাসরি এটাও বলতে শুনেছি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তো প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ তা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক চাকরী করেন না । যেখানে সচিবদের অবসরের বয়স ৬০ বছর, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৫ বছর (আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে) । তাহলে অতিরিক্ত ৫ বছর ঐ শিক্ষক কি বেতন নেবেন না ? তাছাড়া ইদানিং মন্ত্রী-এমপি-সচিব ইত্যাদি ফোন করে কিংবা গোপন সূত্র রেখেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া যাচ্ছে কিছু টাকা খরচ করে (অথেনটিক নিউজ), সেখানে একজন সচিব হতে গেলে সারা জীবনের সাধনাও পর্যাপ্ত নয় । একজন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লক্ষ লক্ষ অতিরিক্ত টাকা আয় করছেন বিভিন্ন রকমের প্রজেক্ট, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদির মাধ্যমে, সেখানে একজন সচিবের অতিরিক্ত আয়ের মাধ্যম হচ্ছে অবৈধ উপায় । এরপরও কিভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক একজন সচিবের সমান হতে পারে ? এটা নয় যে, তারা পর্যাপ্ত সম্মানের যোগ্য নয় কিন্তু তারা যদি অধিকতর বেতনের জন্য এতই কাঙ্গাল হবেন, তাহলে এ পেশায় জেনেশুনে আসলেন কেন ? শিক্ষকতা পেশাকে ভালোবেসে থাকলে শুধুমাত্র বেশি বেতনের লোভে এরকমভাবে সরকারকে জিম্মি করতে পারেন না তারা । এটা নিতান্তই অন্যায় । যেখানে তারা নিজেরাই ছাত্রছাত্রীদের ন্যায়-অন্যায়ের পাঠ দিয়ে থাকেন, তারাই আবার জেনেশুনে এরকম অন্যায় কিভাবে করতে পারেন ?
যাই হোক, কিছু সংখ্যক শিক্ষকের কারণেই শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীরই এরূপ ক্ষোভ, রাগ ও অভিমান আছে, থেকেও যাবে । এ সবই আবেগ এবং বয়সের দোষ, এর প্রমাণ হলো, দিন শেষে শিক্ষকদের দেখলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায় ।
আমার ব্যক্তিগত অভিমত, নতুন করে বেতন কাঠামো প্রণয়নের প্রয়োজন নেই । সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল চালু করার মাধ্যমেও এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব । অন্য সবার প্রতি এখন আর আমাদের বিশ্বাস নেই । সমস্যা সমাধানে দেশের মানুষ এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে চেয়ে আছে । আশা করি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের প্রয়োজন হবে না । এর আগেই তিনি শিক্ষকদের বিষয়টি বিবেচনায় এনে সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩