somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আমি রানা
বাস্তব এবং সাধারন মানুষ আমার লিখার জীবন। এখানে রানা নামের একজন অতি সাধারন ব্যক্তির দৈনিক জীবন এবং তার দৃষ্টিতে সমাজের বর্তমান অবস্থা এবং এর প্রভাব তার নিজের ভাষায় প্রকাশ করা হবে।

রবিবার নীলার বিয়ে.......(৭)

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রবিবার নীলার বিয়ে.......(৬)

এরপর থেকে..............
সারা দিন কেটে গেল, নীলা কমপক্ষে ১০০০ বার বলেছে আমি আপনাকে ভালোবাসি এবং শুভ জন্মদিন। রাত ১২টা বাজতে চললো আমি এখনো অপেক্ষায়, নীলার সাথে মেসেজে কথা হচ্ছে সেই সাথে চলছে আমার অবিরাম অপেক্ষা। এখনো মনের মাঝে একবিন্দু আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছি যা রূপার একটি মেসেজের আশায় রয়েছে এবং মেসেজটি পাওয়ার সাথে সাথে সেই একবিন্দু আলো নিঃসন্দেহে আগ্নেয়গিরিতে রূপ নেবে। কিন্তু রূপার কোন মেসেজই আসলোনা। ছোট্ট সেই আশার আলো যাকিনা অগ্নেয়গিরি হতে পারত তা অভিমানের এক চিমটি বাতাসেই নিভে গেলো। সারা রাত নীলার সাথে কথা বলে কাটিয়ে দিলাম।

আচ্ছা বলা হয়নি, আমি আর নীলা পার্কে যাবার পর প্রথমেই একটি দোলনাই বসি। (পার্কটাতে তেমন কোন মানুষ আসেনা, শুধু মাত্র প্রেমিক যুগল আর দূর দূরান্ত থেকে ফ্যামিলি পিকনিকে মানুষ আসে।) দোল খেতে আমার ভালোই লাগছিলো। নীলা হঠাৎ করেই বলে উঠলো "চলেন আমরা বিয়ে করে ফেলি" আমি বললাম বললেই কি বিয়ে করা যায়?" সে তার ব্যাগ থেকে একটা রিং বের করলো, আমি তা খেয়াল করিনি, আমি অন্য প্রেমিক যুগল দেখায় ব্যাস্ত। আসলে যুগলে ছেলেটি নাকি মেয়েটি সুন্দর তার পরিমাপ করছিলাম। সে আমার আঙ্গুলে রিংটি পরিয়ে দিয়ে বললো "চলেন বিয়ে করে ফেলি" আমি আর কিছুই বলতে পারছিলাম না। নীলা বুঝতে পারলো আমি অপ্রস্তুত হয়ে পরেছি। তাই সে আর এই বিষয়ে কিছু বললো না। কিন্তু এটা বলে দিল যে,"আমি যেন এই রিং না হারায়, হাতে নাদিলেও তা যেন হারিয়ে না যায়। প্রয়োজন বোধে গলাই চেইন দিয়ে তা যেন আমি গলায় ঝুলিয়ে রাখি, তারপরও যেন তা হারিয়ে না ফেলি। আমি তাকে বললাম, আমি কখনো তা হারাবোনা। এরপর পার্কের এইজায়গা ঐজায়গা নানা জায়গায় বসে কথা বলেছি, ফুচকা খেয়েছি, একজন আরেক জনের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। অবশেষে বের হলাম।

পরদিন বিকাল বেলা আমি রাস্তার মোরে দাড়িঁয়ে রয়েছি নীলা রিক্সা নিয়ে এলো আমি তাতে উঠে বসলাম, নীলা জিঞ্জাসা করলো কোথায় যাচ্ছি আমরা? "তোমার বাপ-দাদার জায়গা সিআরবি" আমি বললাম। মনে মনে কিভাবে প্রোপজ করাযায় তাই ভাবছিলাম।
১. হাত ধরে বলবো "নীলা আমি তোমাকে ভালোবাসি" ?? না নাহ.....
২. দাড়িঁয়ে হাটার মাঝখানে হঠাৎ থামিয়ে?????? এটা হতে পারে......
৩. ইংরেজি সিনামার মতো????? ;)
৪. কথার মঝেই বলে দিবো.....
ধূর এত কিছু পারবোনা, নীলাকে ভালোবাসি, মন থেকে যেভাবে আসে সেভাবেই বলবো।নাটক করা আমার দ্বারা আগেও হয়নাই এখনো হবেনা। সিআরবিতে ঢুকে আমার জন্য তিনটা আর নীলার জন্য তিনটাসিগারেট নিলাম। আমরা আমাদের আগের জায়গাতে গিয়ে বসলাম। স্বভাবিক কথা চলছে। আমি একটার পর একটা সিগারেট পুরিয়ে যাচ্ছি, আমারগুলো শেষ হলে নীলার ভাগে হাত দিবো, সবসময় যা করে থাকি। অনেকক্ষণ গল্প করার পর নীলা সিগারেট ধরালো। পাশ থেকে কেউ একজন কবির সিং সিনেমার গান বাজাতে শুরু করলো... "কেইসে হুয়া.........." দিলকা দাড়িয়া..............." অন্যরকম এক অনুভূতি আমার মাঝে কাজ করতে লাগলো, সিআরবির গাছেদের দিকে তাকালাম, তারা যেন আরো সবুজ হয়ে গেছে, আর আমাকে ঈশারায় বলছে এটাই সময়। চারদিকে চোখ ঘোরালাম পুরোটাই একটা আনন্দময় পরিবেশ। মনও বলে উঠলো,"রানা এটাই সময়"
নীলার সামনে হাঁটু গেড়ে বসলাম, নীলা আমার দিকে প্রশ্নবোধক চোখ নিয়ে তাকালো , আমি তার হাটুঁতে হাত রেখে বললাম" নীলু আমি তেমাকে ভালোবাসি। " (নীলা ডান হাত দিয়ে মুখচেপে ধরে একটা হাসি দিলো, তার অনেক হাসি পেলে মুখে হাত দিয়ে একটা অদ্ভুত সুন্দর হাসি দেয়। এই হাসিটার কোন কিছুর সাথে তুলনা নেই। অমূল্য) আমি আর উত্তরের অপেক্ষা না করে তার হাত থেকে সিগারেটটা নিয়ে আমার মুখে দিলাম। সে নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে জিঞ্জাসা করলো "এটা কি ছিলো?" আমি বললাম প্রপোজ।
সেই দিন দুজনে কমিটমেন্টে গেলাম। এর পর কটাদিন ভালোই কেটে গেল। কিন্তু প্রেম কি বাধাঁ কিংবা কলঙ্ক ছাড়া হয়??? আমার আর নীলুর প্রেমেও বাধাঁ এসে হাজির হলো। এবং খুব বড়সড়ো বাধাঁই আসলো। আর সেটা হলো নীলার পুরনো প্রেমিক। সে নীলাকে খুব বিরক্ত করতে লাগলো।নীলা কোন ভাবেই তাকে এড়িয়ে চলতে পারছিলনা, কারন............

চলবে...........
ঘরে থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৪
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×