somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভেসে আসা শূন্যতা নিঃশ্বাসের ঘ্রাণে

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শূন্যতা মানুষকে স্বৃতিবিলাসী করে তোলে বড্ড বেশী । রাতের বাকিটা সময় জানালার ধারে বশে রাতে পূর্ণতা উপভোগ করার আর শূন্যতা ঢাকার সুযোগ দেয় । মাঝে মাঝে কাঁঠাল চাঁপার ঘ্রাণ ভেসে আসে পেছন থেকে, প্রথম প্রথম এমন যখন হতো চমকে উঠতাম খুব , এখন তা কমে গেছে । তোমার শরীর থেকে ভেসে আসা এ ঘ্রাণ আমার খুব পরিচিত । তোমার অস্তিত্ব আমার সত্ত্বা জুড়ে বিচরণ করে সারাটা সময়।

মনে পড়ে যায় কোন একদিন দুজন বেরিয়েছিলাম অনেকটা দূরে , কাজ ফুরবার আগে মেঘ ফুরোবার বন্ধবস্ত হল আকাশ কাল করে। ভয়ে ভয়ে ছুটতে আরম্ভ করার পর ঝুম বৃষ্টি থামিয়ে দিয়েছিল । আমাদের নিরাপদ আশ্রয় ছিলনা এ জনশূন্যটার মাঝে , দুজনে কোন এক ভাঙ্গা অন্ধকার কোনায় আশ্রয় নিয়েছিলাম দ্রুত বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য , যদিও বৃষ্টি রেহাই দিচ্ছিলনা আমাদের । তোমার ভেজা শরীর আড়াল করেছিলে আমার শরীরের আশ্রয়ে । তোমার এ শীতল স্পর্শে এতো বেশী মাদকতা থাকতে পারে জানা ছিলনা । আমি বৃষ্টি ভুলে গিয়েসিলাম , আমার পৃথিবী নিঃশব্দ হয়েছিল অনেকটা সময়।

অলক্ষে হারিয়ে কীভাবে এভাবে থাকে মানুষ ? ভাবি আজও । দিন গত হয়েছে অনেক , শুধু ভারি হচ্ছে চোখ , দিন দিন ঝাপসা হচ্ছে দৃষ্টি আর বাড়ছে স্বৃতির আসবাব। নূতন একটা রুটিনে চলছে জীবন , একাকীত্ব নূতন করে অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে যেন । রাত ফুরনোর অনেক আগেই ঘুম ভাঙ্গে দুঃস্বপ্নের জ্বালাতনে, ঘুমাতে ভয় হয় দুঃস্বপ্নের ভয়ে । চা খেতে ইচ্ছে হয় , কিন্তু বানাতে কষ্ট হয়, তখন বুঝি আমার আশপাশ অনেক বেশী শূন্য । শূন্যতা আবার ডেকে আনে স্বৃতিগুলোকে। মনেপড়ে একবার বন্ধুদের আড্ডার মাঝ থেকে ডেকে এনেছিলে আমায় , প্রচুর রাগ হচ্ছিল তোমার উপর । রাগ নিয়েই দেখা করেছিলাম তোমার সাথে সেই সন্ধ্যায় , খুব বেশী মাথা ধরেছিল । তবে রাগটা তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে প্রকাশ করার ক্ষমতা হয়নি কখনও , তোমার চোখের সারল্য সবসময় কেড়ে নিত রাগগুলো । সন্ধেবেলার পার্কের এই পরিবেশ অপরিচিত ছিল বেশ । তুমি সব জড়তা ভেঙ্গে বলেছিলে তোমার গায়ে মাথা রাখতে, তোমার আনাড়ি হাতে আমাকে সুস্থতা দান করবার চেষ্টা করছিলে । এমনিভাবে ছিলাম অনেকটা সময় , তোমার নিঃশ্বাসের শব্দ পাচ্ছিলাম । কিছুটা সময় পর তুমি দূরত্ব কমিয়ে তোমার নিঃশ্বাসের ঘ্রান ছড়িয়ে দিচ্ছিলে আমার দিকে । সংবতি দান করেছিল তোমার নিঃশ্বাসের ঘ্রান । তোমার নিঃশ্বাস থেকে ভেসে আসা ঘ্রান এভাবে তন্দ্রা সৃষ্টি করতে পারে অজানা ছিল । হতে পারে অন্যদের মত ঘনিস্ততা না থাকার কারনে এমনটা হয়েছে , যেটা এখনকার জুটিগুলো আধুনিকতার ছায়ার আড়াল করে চালিয়ে যায়, যাই হোক ওদের যুক্তি গুলো জানিনা তাই এ সম্পর্কে বেশী কিছু বলা ঠিক হবেনা। তোমার নিঃশ্বাস আমার মুখ জুড়ে , আমার অস্থিরতা বেড়ে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে । তোমার হাতদুটো দুহাতে বন্ধি করে তোমার চোখ, মুখ, নিঃশ্বাস এর ঘ্রান নিয়েছিলাম মন ভরে অনেকটা সময়, সংবতিগ্রস্থ হয়ে পরেছিলাম । জানিনা মদ্যপান করলে এতোটা মাতাল হওয়া সম্ভব কিনা , এতোটা তন্দ্রা ভর করে কিনা । হঠাৎ কোন অপ্রত্যাশিত কারনে এ তন্দ্রা তন্দ্রা খেলা ভেঙ্গে চুরমার হয়েছিল, তারপরেও এটা আমার সর্বচ্চ প্রাপ্তি মনে হয় । জীবনের এইসব স্বৃতিগুলো মাঝে মাঝে ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসে একাকিত্তের কষ্ট বাড়িয়ে দেয় , মহগ্রস্থ করে ফেলে বার বার ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×