মহাবিশ্বে সবচাইতে সুন্দর সংখ্যা।এটি ফিবোনাচ্চি সংখ্যাক্রম থেকে উদ্ভুত হয়েছে।একে স্বর্গীয় অনুপাত(The Golden ratio) হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।কারণ প্রাকৃতিক গঠনের ক্ষেত্রে তার মোলিকত্ব।
PHI এমনভাবে প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক্যযুক্ত যা পুরোপুরি হতবুদ্ধিকর।গাছপালা,পশুপাখি,মানুষ সবকিছুতেই মাত্রাগত দিক থেকে একেবারে বরাবর PHI-র সাথে সমান অর্থাৎ ১-র সমানুপাতে অবস্থিত।
মৌচাকে নারী-পুরুষ উভয় মৌমাছি থাকে এবং স্ত্রী মৌমাছি সবসময় বেশী থাকে।
যদি কোন মৌচাকে অবস্থিত পুরুষ মোমাছি সংখ্যা দ্বারা স্ত্রী মৌমাছির সংখ্যাকে ভাগ করা হয় তাহলে যে ফলাফল পাওয়া যাবে তা হল ১.৬১৮।
সামুদ্রিক শামুকের মাথার ভেতরের অংশ গ্যাস পাম্প করে ভেতরে নিয়ে যায় ভেসে থাকার জন্য।আর এখানে প্রতিটা স্পাইরালের ডায়োমিটার তার পরেরটার সাথে ১.৬১৮ অনুপাতে রয়েছে।
সুর্যমুখী ফুলের বীজ বিপরীত চক্রাকারে বেড়ে উটে।বীজের বেড়ে উটার ধাপ্টাকে বলা হয় ক্রোকার।আর প্রতিটা ক্রোকারের ব্যাস তার পরেরটা সাথে স্বর্গীয় অনুপাতে আছে।
এরকমভাবেই পদ্মফুল,আনারসের পাতা,গাছপালার পাতার বিন্যাস,পোকামাকড়ের বিভাজন অবিশ্বাস্য ভাবে এই অনুপাত মেনে চলে।এমনকি সোরজগতে পর্যন্ত এই অনুপাত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
মানুষের শরীর স্বর্গীয় অনুপাতের ভান্ডার।পুরাই স্বর্গীয় অনুপাতে বিন্যস্ত।
কিভাবে?!?!?
আপনার মাথা থেকে পা পর্যন্ত মাপুন।তারপর মাটি থেকে নাভি পর্যন্ত যে মাপ হয় তা দিয়ে সেটাকে ভাগ করুন।ফলাফল পাবেন ১.৬১৮।
কাধ থেকে হাতের আংগুলের মাপকে বাহু থেকে হাতের আংগুলের মাপ দ্বারা ভাগ করেন,একই ফলাফল পাবেন।পা থেকে হিপের মাপকে পা থেকে হাটুর মাপ দিয়ে ভাগের ফল,আংগুলের গিট আর পায়ের পাতার মধ্যকার অনুপাত ১.৬১৮।আপনার মুখমন্ডল নিয়ে মাপঝোক করুন।সেখানে ও পাবেন এই অনুপাত।এমনকি আমাদের মেরুদন্ডের বিভাজন ও এই স্বর্গীয় অনুপাত মেনে চলে।আর মানব শরীরে এর উপস্থিতি বের করেছিলেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি,বিশ্ববিখ্যাত কালজয়ী চিত্রশিল্পী(এই বিশ্বাবিখ্যাত ও রহস্যময় মানুষটিকে নিয়ে ও একটি পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে।আশা করি খুব শীঘ্রই পোস্টটি দিতে পারব)।
শিল্পীদের মতে শিল্পকলা হলো ঈশ্বরের হাতকে অনুকরণের একটি প্রচেষ্টা।আর এই শিল্পকলায় স্বর্গীয় অনুপাত থাকবেনা তা কি করে হয়?!?!?
দা ভিঞ্চি,মাইকেল আঞ্জেলো,পাবলো পিকাসো,আলব্রেখট দ্যুরার সহ আর ও অনেক নামকরা চিত্রশিল্পী আছেন যারা নিজের কম্পোজিশনে ইচ্ছে করেই এই অনুপাত ব্যবহার করেছেন।তারপর গ্রিক পার্থিনোন,মিশরের পিরামিড,আইফেল টাওয়ার,জাতিসংঘ ভবন এর প্রত্যেকটিতেই এই অনুপাত ব্যবহার করা হয়েছে।এই PHI(ফাই) আপনি মোজার্টের সোনাটের গঠনে পাবেম,পাবেন বিঠোফেনে পঞ্চম সিম্ফোনিতে।বার্তোক,ডেবুসি,শুবার্টের কর্মে ও আপনি খুজে পাবেন এই অনুপাত।
আজকালকার অনেক বিখ্যাত লোগোতে পাবেন এটা,Apple-র লোগো,Toyota থেকে শুরু করে অলিম্পিকের লোগোতে পর্যন্ত আপনি খুজে পাবেন স্বার্গীয় অনুপাত।
বি.দ্র:আমি এখানে ফাইয়ের কথা উল্লেখ করেছি।দয়া করে কেউ একে PI/পাই(π)র সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না।একটি গণিতে সবচেয়ে ক্ষমতাবান অনুপাত,আরেকটি প্রকৃতির সবচেয়ে বিস্তৃত অনুপাত।তবে গণিতবিদেরা বলেন-"ফাই(PHI)-র এক H পাই(PI)-র তুলনায় অনেক বেশী ঠান্ডা।"
আমার অনেক পরের পোস্ট। কিন্তু অনেক ভালো এবং বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া আছে এই পোস্টটিতে। আমারটার পর এই পোস্টটি ও পরলে আরো ভাল করে বোঝা যাবে।বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৪৭