©কাজী ফাতেমা ছবি
হালফ্যাশনের জগত,মিলে না কারো সাথে কারো মতামত। মানুষের মনও কেমন যেনো রুচিহীন ধীরে ধীরে, মানুষ নিজের রুচি সময়ের কাছে বিকিয়ে হারায় সুখে হালফ্যাশনের ভিড়ে। উদ্ভট পোষাকে গায়ে তুলে নিয়ে মানুষ পথে হাঁটে বুক ফুলিয়ে, ছেঁড়া টুটা ফাঁটা কাটাকুটি,লেজঝুলা অথবা টাইট বস্ত্র নেয় গায়ে ঝুলিয়ে। কে কী বললো তা নিয়ে নেই কারো ভ্রুক্ষেপ,নেই কারো কোনো আক্ষেপ।
আয়নায় দাঁড়িয়ে মানুষ দেখে নেয় তার রূপ,অদ্ভুত লাগছে তবুও থেকে চুপ,ওরা নির্দ্বিধায় পা রাখে বাইরের ধরায়,লজ্জাহীন কদম সম্মুখে গড়ায়। মেয়েদের কেউ পাজামা উঠিয়ে সুন্নাত পালন করে,কেউ বোরখা গায়ে জড়িয়ে,ফিতে বেঁধে নেয় পিছনে,দেহের ভাঁজে ভাঁজে সুখ ইমারত গড়ে।
জিন্স টাইস আর মাথায় বাঁধাকপির মুকুটে সেজে মেয়েরা উচ্ছ্বাস কুঁড়ায়,জনসম্মুখে ছেলেদের হাতে হাত রেখে মন মোহে জুড়ায়। লজ্জাহীন চোখের চাহনি ওদের,মুরুব্বি দেখলে চোখ নুয়ে পড়ে না মাটিতে,ওরা ছেলেদের কাঁধে মাথা রেখে অলস সময় কাটায় বসে দুর্বার পাটিতে।
ছেলেরাও যায় না কম,পথে হাঁটলেই এদের রূপ দেখি হরেক রকম। ওরা পথে বেরিয়েই হাতে তুলে নেয় বিড়ি,উদ্ভট চুলের ছিঁরি। সজারুর চুল,মাঝে থাকে খারা,ওরা পথে দাঁড়িয়ে বিড়ি ফুঁকে,কোথাও যাওয়ার নেই ওদের তাড়া। রক্তবর্ণ চোখ আর ছেঁড়া প্যান্ট গায়ে, হাতে চুড়ি, ছেঁড়া জুতা পায়ে। ওরা ছাত্র ওরা কর্মজীবি ছেলে,উদ্ভট ফ্যাশন গায়ে জড়িয়ে উড়ে পাখনা মেলে।
ওদের মুখের ভাষা,মন্দ কথায় ঠাসা। ওরা বন্ধুদের ডাকে অই খানকির পোলা,হয়ে আত্মভোলা,কখনো বান্দির পোলা বলে ডেকে, ভদ্রতা শুদ্ধতা সব পকেটে রেখে। ওরা গালি দেয় মা জাতিকে অবলীলায়,গালি দিয়ে বন্ধুদের সাথে উচ্ছ্বাস বিলায়। ওরা ছাত্র, শিক্ষিত ওরা,ওরা কর্মজীবি খেটে খাওয়া মানুষ তবুও ওরা ওড়ায় মোহাকাশে মন্দের ফানুস।
মানুষের মুখ যেনো প্রাক্কালন কেন্দ্র,মন্দ ভাষায় ভরপুর,ঠোঁটের আগায় মন্দ নিয়ে হাঁটে সন্ধ্যা দুপুর। মন্দ ভাষাকে স্বাভাবিক করে নিয়ে ওরা কথা বলে বেড়ায় মানুষের মাঝে,সামাজিক যোগাযোগের মাঝে- কেউ বাঁধা হয় না, করে না কেউ প্রতিবাদ ওদের মন্দ কাজে।
দেখে দেখে মেয়েদের মুখের ভাষাও হয়ে গেলো মন্দ,মানুষের মন হলো অশুদ্ধতায় খানাখন্দ। ভেবে মরি,বুকের বাড়ি দুঃস্বপ্ন গড়ি। বললেও ফেঁসে যাই,আমি যেনো ধুলোবালি ছাই। অন্তর কেঁদে মরে অশুদ্ধতার অনলে,আমি হারাই ফের দুঃস্বপ্নের অতলে।
April 26 at 12:37 PM
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪