খুব কম মানুষই পারে লোভ সংবরণ করতে....
=================================
নিরাপত্তাকর্মীরাই যদি অনিরাপত্তার কাম করে তাইলে আর ভরসা কার কাছে।কারে কি কইবেন, নিজেকে যাচাই করেন আগে, অন্তত একটি সৎ কাজ করে দেখান।
উচ্চ পদ থেকে নিম্নপদের যে যেখানেই থাকে সেখান থেকেই দূর্নীতি করে যাচ্ছে। হাজার, শ, দশ পাঁচ, দুই টাকা হলেও দেখছি মানুষ ঘোষ খাবেই খাবে । মাগনা পেলে বা সুযোগ পেলে কেউ কাউকে ছাড়েনাআশ্চর্য্য মানুষ আমাদের দেশের । দুইটাকার বিস্কিট এনেও যদি বলি নেন খানএটা মাগনা, খিদা না থাকলে বা রুচি না থাকলেও জোর করে খেয়ে নেয় মানুষ।
কোন জায়গায়, কোন প্রতিষ্ঠানে, কোন কোম্পানী কোন কেন্দ্রে, কোথায় কোথায় পাবো বলেন এমন মানুষ যিনি অন্যের হয়ে কথা বলছেন। দূর্নীতির আঁকড়া বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। নিম্নপদস্থ কিছু ক্ষমতাধর লোক ক্ষমতায় বসে যায় নিরাপত্তার। যাচ্ছে তাই ভাবে ঘুষ খায়, খেয়ে খেয়ে সুঁই হয়ে ঢুকায়ে দেয় সমাজে সন্ত্রাস, ছিনতাইকারী, চোর, ডাকাত..... ফলাফল চোখের সামনে। তাতে নিরাপত্তাকর্মীর কিছুই যায় আসে না । সে তার প্রয়োজন মাফিক পেয়ে যাচ্ছে উৎকোচ। অপমানের ভয়ে জ্ঞানী গুণিরা মুখ বোজে থাকেন।
*কিছু বললেই ছেলেমেয়েদের দিয়ে ভয় দেখানো হয়।
-বেশী বাড়ছস । তোর ছেলেমেয়ে কি স্কুলে কলেজে যায় না রে । হদিসও পাবি না কিন্তু ।
কোন মা বাবা চাইবে যে তার সন্তানের ক্ষতি হউক বিনিময়ে অপমানের ভয়ে মুখ বন্ধ। যা বেটা তোরা তোর মত রাজত্ব কর আমার কি আমি আমার সন্তান স্ত্রী নিয়ে সুখে থাকলেই হলো ।
* প্রথম দিন, ভাইজান হুন্ডা কিনছেন। অনেক সুন্দর।
দ্বিতীয় দিন- কত দিয়া কিনছিলেন । কিছু বাক্য বিনিময় । সহজ সরলভাবেই
হুন্ডা কিনে চালানো যে শিখছে তাকে তৃতীয় দিন বলা হচ্ছে, ভাইজান আপনার হুন্ডাটা দিন একটু ঘুরে আসি।
কে কার নতুন হুন্ডা দুইজন অপরিচিত লোকদের দিয়ে দিবে বলুন?
না দেয়াতে অই দিনই ফোন-কিরে হুন্ডা কিনে বেটাগিরি জাহির করছ না । তোর মেয়ে অমুক কলেজে পড়ে না। তুই তো আমাগো কিছুই করতে পারবি না। দেখে নিবো আমরা। (এসবই নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের বদৌলতে সমাজের ভিতরে ঢুকে সন্ত্রাসীপণা)
ভয়ে সেইদিনই হুন্ডা বিক্রি করে দেয়া হয়। বাড়তি পাওনা টেনশন। প্রতিদিনই মেয়েকে সাথে করে কলেজে নিয়ে যাওয়া আসার কষ্ট । এই হল চোখের সামনে থেকে আনা কিছু দৃশ্য ।
ভাল মানুষের সংখ্যাই তো বেশী শুনে আসছি। কিন্তু সৎ মানুষের সংখ্যা অনেক কম । খুব কম মানুষই পারে লোভ সংবরন করতে। চলুন না একটু একটু করে বদলে নেই নিজেকে। দেখুন কেমন সুন্দর হয় সমাজ, নিজের পরিবার। বদলাতে হবে মাস্ট না অবশ্যই এক একজন করে। তাহলেই নিজের সন্তানের জন্য একটি সুন্দর দেশ পাবার আশা বা উপহার পেতে পারেন।
July 23, 2014 at 3:21 PM
(২০১৪ সালের ঘটনা আজ ফেসবুক মনে করে দিছে। এই পরিস্থিতি বদলায়নি এখনো। এখন তো আরও ভয়ংকর
কবিতাপ্রেমী ভুয়া মফিজ ভাইয়াকে উৎসর্গীকৃত
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫