আমার হারামিবেলা
আমি ছোট বেলায় খুব বান্দর ছিলাম । আমার বাবার চাকুরীর সুবাদে তখন আমরা বেনাপোল স্থল বন্দরে ।
আমরা থাকতাম এক ভাড়া বাড়িতে । গাজীপুর গ্রামের হাজী বাড়ি ভাড়া থাকতাম ।
আমাদের আসে পাশে অনেক পরিবার থাকতো । অনেক ছেলে মেয়ে । স্কুল যেদিন ছুটি থাকতো সেদিন তো শুধু খেলা আর খেলা । আমি মেয়েদের সাথে খেলতে পছন্দ করতাম খুব কুতকুত খেলতাম । ছোট ছোট পাথর হাতে উঠানির খেলা খেলতাম ।
মাঝে মাঝে মেয়েরা রান্না বাটি খেলতো আর আমরা ছেলেরা দোকান দিতাম । আমি ছোট একটি দাড়ি পাল্লা বানাইছিলাম ছোট দুধের কৌটার মুখ দিয়ে ।
আমি বিভিন্ন গাছের ফুল , ফল , ইটের গুঁড়া , বালি , বিক্রি করতাম । মেয়েরা আমার দোকানে এসে কাঁঠাল পাতা দিয়ে কেনা কাটা করতো ।
বিক্রি শেষে এক এক মেয়ের কাছে গিয়ে কইতাম ঐ ভাত দে ভাত খামু । ওরা ছোট ছোট প্লেটে করে বালি তার ভিতর ফুল ফল ইটের গুঁড়া দিয়ে ভাত বানাইয়া দিত । আমি মুখ চাকুম চাকুম শব্দ করে খাইতাম ।
কাকলিরা আমাদের পাশে থাকতো । কাকলির এক চাচাতো বোন বেড়াতে এশেছিলো । আমি ওর কাছে গিয়ে বললাম ঐ ভাত দে কত বড় ফাজিল মাইয়া ???আমারে কয় ঐ আমি কি তোর বিয়ে করা বউ ????
এই কথা শুনে আমার তো মাথায় কেরা উঠে গেলো । তখন তো আমি হাফ প্যান্টালুন পড়তাম । প্যান্ট নিচে নামিয়ে ওদের ঐ রান্না বান্নার উপর দিলাম হিশু করে । নে শালা এবার খেল । আমাকে ভাত না দেওয়ার কি মজা এখন বোঝ