আমার বাবার বুকে সমস্যা। আর এই সমস্যাটি প্রথম দেখা দেয় মাস চারেক আগে। বেশি হাটলেই বুকের ভিতর নাকি দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে হঠাৎ বৃষ্টি আরম্ভ হওয়ায় বাবা জোরে পা চালিয়ে বাসায় আসতে চান আর তখনি বুকের ব্যাথায় রাস্তার পাশে বসে পড়েন। আর এটাই হলো সূচনা।
এর পর ডাক্তার দেখানো হয়। বগুড়া পপুলার ডায়গনষ্টিক সেন্টারের ডাক্তার
মো: মজিবর রহমান সেলিম,
MBBS, DTCD, MD (Cardiology)
Associate Prof. & Head, Dept of Cardiology
Shahed Ziaur Rahman Medical College
ডাক্তার ইটিটি নামক একটা টেষ্ট দিয়েছিলো যা করতে গিয়ে বাবা সেন্স লেস হয়ে পড়ে যান। বাবার এমন অবস্থা দেখে ডাক্তার দ্রুত সিসিইউতে পাঠিয়ে দেন। ভাগ্য ভালো ডাক্তারটি ছিলো উনি শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার আবার উনি নিজেই হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করিয়ে দেন।
দুই দিন থাকার পর বাবা একটু সুস্থ বোধ করলে বাড়ি নিয়ে আসি। বাবাকে বাড়ি আনার ডাক্তারের কাছে গেলে উনি বলেন, রোগীকে যত তাড়াতাড়ি পারেন ঢাকা নিয়ে এনজিওগ্রাম করান তার পর পরামর্শ অনুযায়ি চিকিৎসা করান।
ঘটনার ত্রিশ দিন পর… বাবাকে নিয়ে ঢাকায় আসলাম ল্যাবএইডে ডা: আফজালুর রহমান, অধ্যাপক জাতীয় হৃদরোদ ইনষ্টিটিউট এর কাছে। উনি দেখে ল্যাব এইডে এনজিওগ্রাম করানোর জন্য বলেন। মোট খরচ হবে মনে হয় ২২০০০.00 টাকা মত। আগামী কাল ১৪/04/2014 তারিখ মানে সোমবার এনজিওগ্রাম করানোর কথা। হাসপাতালে এডমিট হতে হবে আগামীকাল।
আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। আমরা চেয়েছিলাম জাতীয় হৃদরোগে করালে হয়তো খরচ কম পড়তো। কিন্তু ডাক্তার আমাদের কথা তো শুনলেনই না আমাদেরকে বিশাল খরচের মুখোমুখি করে দিলেন। তাকে দোষ দিচ্ছি না দিচ্ছি আমার কপালকে।
ঢাকায় আসার আগে ডা: আফজাল স্যারের এক আত্নীয়র মাধ্যমে ডা: আফজালুর রহমানের কাছে আসি। স্যারের আত্নীয়কে ধরছিলাম উনি যেনো ল্যাবএইডে সাক্ষাত করে অন্তত আমাদের পারিবারিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে সরকারী কোন হাসপাতালে ব্যবস্থা করে দেন। সেই ভরসাতেই ঢাকা এসেছিলাম। তার আত্নীয়ও আমাদেরকে বলে দিছেন সমস্যা নেই আমি বলে দিবো।
এখন তাহলে আমাদের কি করনীয় ??
একদিকে বাবাকে সুস্থ দেখতে চাই অন্যদিকে ল্যাবএইডের খরচের ধাক্কা সামলাতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না।
যদি একটু উপদেশ দিতেন কেউ তবে আমরা অনেক টেনশনের হাত থেকে বেচে যেতাম। কোন কূল কিনারা পাচ্ছি না।