ট্রেনের টিকিট কাটতে গেছি খুলনা স্টেশন
। জয়পুরহাটের চেয়ার কোচের টিকিট
খুলনা থেকে ৩৩০ টাকা । আমি ২টা টিকিট
নিলাম ২০ তারিখের । ১ হাজার
টাকা দিলাম , ফেরত পেলাম ৩১০ টাকা । ৩০
টাকা কম । এক হাত লম্বা টুপি মুখের
দাড়িতে মেহেদী লাগানো টিকিট
মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করলাম আর কই
টাকা ?
টিকিট মাস্টার নির্লজ্জের
মতো বললো ঈদের সামনে চা নাস্তার খরচ ।
আমার মাথায় বিদ্যুত চমক দিয়ে উঠলো ।
আমার বাবা সরকারী চাকুরী করছে আজ
আটাশ বছর ,কোন দিন
বেতন ,বোনাস ,ওভারটাইম
ছাড়া একটা টাকা ঘরে নিয়ে আসে নি ।
আজ তার ছেলে হয়ে যদি ৩০ টাকা এই
সরকারী টিকিট মাস্টারকে বকশিস
দিয়ে আসি তাহলে চলবে ?
আমি হঠাত্ করে ভয়ঙ্কর
ভাবে চেঁচিয়ে উঠলাম এই শালা ভন্ড
দাড়িওয়ালা ঘুষখোরের বাচ্চা আমার
বাকী টাকা ফেরত্ দে । আমার এই
চিত্কারে আমি নিজেই ভড়কে গেলাম ।
ব্যস দাড়িওয়ালা ভন্ড হারামজাদা টিকিট
মাস্টার সুর সুর করে টাকাটা দিয়ে দিলো ।
আমার
চিত্কারে লাইনে দাড়ানো পাবলিক
সুযোগ পেয়ে গেলো ।ওরাও
জোড়ে জোড়ে চিত্কার করতে লাগলো ঐ
হারামজাদার বাচ্চারে কাউন্টারের
বাইরে ধরে আন , ঐ চিল্লাপাল্লা ।
রেল পুলিশ এসে পরিস্হিতি ঠান্ডা করলো ।
আমি আগেই সটকে পড়েছিলাম ।
বিঃদ্রঃ আর কত চুপ থাকবো আমরা ?
দুর্নিতীবাজ ও ঘুষখোরদের
বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান । মনে রাখবেন
ওরা গুটি কয়েক আমরা অগণিত ।