ভবিষ্যত নিয়ে, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা !
পড়শোনা শেষ করে কী করবেন, কোথায় চাকরি করবেন-
এমন সব ব্যাপারগুলোই যাদের প্রতিনিয়ত মাথায়
ঘোরে তারা একটু নতুন করে ভাবতে পারেন।
তথাকথিত এক ঘেয়ে পথের গণ্ডি পেরিয়ে মনের স্বপ্ন
বাস্তবায়নে যদি নিজেকে সঁপে দিতে পারেন,
তবে ক্যারিয়ার নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।
বরং আপনার স্বপ্নের বাস্তবায়নই
আপনাকে পোঁছে দেবে সফলতার সর্বোচ্চ চূড়ায়।
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা চলে আন্ড্রু লয়েড
ওয়েবার এর কথা।
আন্ড্রু লয়েড ওয়েবার। ক্যারিয়ার ভাবনা থেকেই
ভর্তি হলেন বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড
ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস নিয়ে গবেষণা ও পড়ার জন্য।
বিশ্বমানের বিশ্বখ্যাত ভার্সিটিতে পড়েও তিনি বুঝলেন
আসলে তিনি দৌড়ে চলেছেন ক্যারিয়ার নামক তথাকথিত
একপেষে সেই পড়াশুনায়, যেখানে তার
ইচ্ছে আসলে অন্য কিছুতে। ইতিহাস পড়ে আর যাই হোক
অন্তত মনের খোরাক তিনি মেটাতে পারছিলেন না।
অবশেষে তিনি শুনলেন তার মনের কথা। ছেড়ে দিলেন
ভার্সিটিতে পড়া । ভর্তি হলেন রয়েল কলেজে মিউজিক
নিয়ে পড়তে। সেখান থেকে পড়াশুনার পাঠ
চুকিয়ে মিউজিক নিয়েই গবেষণা এবং মিউজিকের সমস্ত
ধ্যানজ্ঞান ঢেলে দিয়ে অর্জন করলেন অস্কার, গ্রামি,
টনি এওয়ার্ড, নাম লেখালেন মিউজিক জগতের
কিংবদন্তীর খাতায়।
তাঁর সফলতার উক্তি ছিল-"মনের কথা শুনে চলো।"
এখানে আন্ড্রু লয়েড ওয়েবার একটি উদাহরণ মাত্র।
পৃথিবীতে যত বড় শিল্পপতি, সাহিত্যিক, রাজনীতিক
বলেন—তাদের জীবনী পড়ে দেখবেন তাঁরা তাঁদের
মনের কথা শুনেছেন এবং সে অনুসারে পরিশ্রম করেছেন।
ঠিক এ কারণেই তাঁরা সফলতার চূড়ায়
উঠতে পেরেছেন।
এবারে তবে আপনার সিদ্ধান্তে আসুন!
না, আপনাকে পড়াশুনা ছাড়তে হবে না। তবে স্বপ্ন
পূরণের তাগিদ যদি মনের ভেতর অনুভব করে্ন
তবে তাকে হেলায় না রেখে বরং পালন করুন। দেখবেন
ঠিক একদিন আপনার স্বপ্নের
পাখি ডানা গজিয়ে উড়তে শুরু করেছে।
ফেলে দেওয়া নয়, বরং "স্বপ্ন পূরণে আমি বদ্ধ পরিকর"
ভেবেও যদি নেমে পড়তে পারেন কোনও দুশ্চিন্তা ছাড়াই ,
তবে আপনার থেকেও যে কোনও আর এক কিংবদন্তীর
দেখা মিলবে না, তারই বা নিশ্চয়তা কি?