বই মেলায় কি আপনার কোন কবিতা বা গল্পের বই বের হয়েছে?
উওর হচ্ছে ,না। যেহেতু আমাদের অগ্রজ এই কবি,লেখকরা বেঁচে থাকলে আমি কবি,লেখক হতে পারবো না সেহেতু নিজের পথ পরিস্কার করতে আগে তাদের নিন্দা করি। ইতোমধ্যে আবিস্কৃত নিন্দাগুলোই বারবার ব্যবহার করি। এবং সাথে আরো নতুন নতুন নিন্দা যোগ করি।
ইমদাদুল হক মিলন : বাঙলা ভাষার অন্যতম পাঠকপ্রিয় ঔপন্যাসিক । দীর্ঘদিন ধরে তিনি লিখছেন, জনপ্রিয় ধারার লেখক। তুচ্ছ মগজহীন মানুষদের চিত্তবিনোদন করার জন্য তিনি গল্প, উপন্যাস,নাটক তৈরি করেন।তিনি এমন এক লেখক যিনি গুরুত্বপূর্ণ লেখার পাশাপাশি খুবই নিন্মমানের লেখাও লিখতে পারেন। নূরজাহান,পরাধীনতা ভূমিপুত্র, কালাকাল, বা বনমানুষের মত লেখা বেশি না লিখে তিনি নিজেই তার অপ মূল্যায়ন করতে সাহায্য করেছেন।দেশের সকল সংকটে নীরব থাকা এবং শাসক শ্রেনীর পাশে থাকা কালের কন্ঠের এই সম্পাদককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই।
সৈয়দ শামসুল হক : জি জাহাপনা মার্কা রাজ কবি।সেকালে দরবার দেখলে বেহুশ হতেন। একালে ক্ষমতার করুনার কাঙ্গাল। ধান কন্যা,ভাষা কন্যা,সমুদ্র কন্যা,দেশ রত্ন ইত্যাদি বিশেষন (অপাত্রে) জুড়ে দেওয়ার পর এখন মুদি দোকানে নাকি মানুষ বোতল বাড়িয়ে বলে ‘আড়াইশো গ্রাম শামসুল হক’ দিন! সাহিত্যিক হিসাবে অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে সততা ও নৈতিকতার অভাবে তিনি তা বুঝতে পারেন নি। সৈয়দ হকের উপন্যাস মূলত পর্নোগ্রাফি। মুক্তিযুদ্ধের যে-উপন্যাসগুলো তিনি লিখেছেন, সেগুলোকে তিনি ধর্ষণের উপাখ্যানে পরিণত করেছেন।পাকিস্তানী সৈন্যেরা বাঙালিদের যতটুকু না ধর্ষণ করেছে তিনি তার চেয়ে বেশী ধর্ষণ করেছেন তার কলম দিয়ে। তাঁর প্রায় প্রতিটি অপন্যাসে তিনি নারীদের অপমান করেছেন। অশ্রাব্য-কুৎসিত-অশ্লীল-অশিক্ষিত গালাগাল তার বইয়ের পুঁজি। নারীর প্রতি লোলুপ লুম্পেনের হাহাকার করা শামসুল হককে বলতে পারেন ,খেলারাম খেলে যা।
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল : জাফর স্যারের বিরোদ্বে ব্যাপক লেখা চুরির অভিযোগ থাকলেও তার লেখা বইগুলো যে তিনি নিজেই লিখেছেন; এই নিয়ে আমার কোন সংশয় নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ প্রভাবিত হয়েছেন। মৌলিক কবিতায় সরাসরি পাশ্চাত্য কবিদের লাইন অনুবাদ করেছেন। সব বড় লেখকরাই অন্যদের কাছ থেকে প্রচুর নিয়েছেন। তবে যাদের কাছ থেকে নিয়েছেন লেখার পর তিনি তাদের প্রশংসা করে গেছেন।জাফর ইকবাল স্যারের উপরও অনেক লেখকের প্রভাব আছে। কিন্তু সরাসরি চুরি আমার কাছে ধরা পড়েনি। তার সাই-ফাইগুলাতে রাশান সাই-ফাইয়ের প্রভাব অপরিসীম, অনেক সময় মোটামোটি চুরির কাছাকাছি চলে যায়!এ ক্ষেত্রে "বিদেশী কাহিনীর ছায়া অবলম্বনে" এই ছোট্ট কথাটা লিখে দিলে অনেক ভাল হত মনে হয়, কিন্তু তিনি লিখেন না।শিশু সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ লেখক হওয়া সত্ত্বেও ভুল চেতনার ফিল্টার আবিস্কারের জন্যে কখনো গুরুত্ব পাননি ও ভবিষ্যতেও পাবেন না ব’লেই মনে হয়।
আনিসুল হক : আনিসুল হক নামের এই মানুষটাকে নিয়ে লিখব না বলে ঠিক করেছিলাম। শুনেছি নিজের বইয়ের বিজ্ঞাপন তিনি নিজেই দেন! কারওয়ান বাজারের উপসর্দার বলে কথা।সব জায়গায়ই তিনি এই মাতব্বরিটা করে থাকেন!কিন্তু তাই বলে সাহিত্যের দন্ডটা তার হাতে কে তুলে দিল? লেখালেখি নিয়ে এই মানুষটার চুরি-চামারি বিষয়ে আলোচনা করা বৃথা। ইনি সেই লোক যিনি রবীন্দ্র সঙ্গীতও রচনা করে থাকেন!যারা প্রথম আলোর আদিপর্ব ভোরের কাগজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁরা জানেন এ নতুন কিছু না। তিনি বাইরের দেশের বইগুলো অনুবাদ করে নিজ নামে চালান বলেই প্যাহলে রোশনি পত্রিকার প্রথমা প্রকাশন আজ গোড়ালি উপচাইয়া হাটুতে ভর দিয়া খাড়াইছে। সম্প্রতি তিনি নিজেকে প্রথম সাক্ষাৎকারী... ইত্যাদি বলতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। ধারণা করা হয়েছিল মানুষটা খানিকটা লজ্জিত হবেন, ভুল স্বীকার করবেন।কিন্তু এ দুরাশা!
নির্মলেন্দু গুণ : মননীয় সভাপতি ….। সভাপতি কে? কে সভাপতি? ক্ষমা করবেন সভাপতি সাহেব,আপনাকে আমি সভাপতি মানি না। তার সব কবিতা ব্যক্তিগত কামনা-বাসনা থেকে উঠে আসলেও নিঃসন্দেহে তিনি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর কবিদের মধ্যে একজন।যেহেতু তিনি প্রথম শ্রেনীর কবি তাই তাকে উৎসর্গ করে অনেকে বই লিখেন।কিন্তু তিনি তা উল্টেপাল্টেও দেখেন না। খাটের নিচে ফেলে রাখেন।বেশি বেশি বই উৎসর্গ করে কবির খাটের তলাটি আর কেউ আশা করি উঁচু করবেন না।তাহলে মহাকবির শোয়ার কষ্ট হবে!রাজনৈতিক মহানেত্রী ও আরও অনেক রাজনীতির চেলা-চামুন্ডার সাথে আমেরিকা গিয়ে কাব্য-প্রতিভার সাথে রাজনীতির সবকটিও নিয়ে এসেছেন।
মহাদেব সাহা : একচক্ষু স্বার্থপর কবি।যে কাগজে তার লেখা ছাপা হয়,শুধু সেই পৃষ্ঠাগুলোতেই চোখ বুলান।এমনতর কবির সংখ্যা অবশ্য বেশী নয় তাই রক্ষা! তিনি কারো লেখা পড়েন না (তাহলে অন্যরা তার লেখা পড়বে কেন?)। নিজেই বলেছেন তরুণ কবিরা কেউ বই উপহার দিলে, উপহার পাতাটি ছিঁড়ে ফেলে সের দরে বইগুলো বিক্রি করে দেন। ঘুরে ফিরে বইটি লেখকের হাতে গেলে তিনি ব্যথিত হবেন ভেবে তিনি নাকি ঐ পাতাটি ছিঁড়ে ফেলে দেন ( আহা, মহাদেবের কি মহানুভবতা) । এ কথাটির জন্য তাকে নোবেল শান্তিপুরস্কার দেওয়া যায়।
বেলাল চৌধুরী : ইনি বত্রিশ নম্বরের কবি। একদিকে যেমন জ্ঞানবিচ্ছিন্ন অন্যদিকে তেমনি জনবিচ্ছিন্ন।যেহেতু কেউ পোঁচে না,তাই চোখে পড়ার জন্য ভাষা ও বাক্য ব্যবহারে নানা কসরত করে যাচ্ছেন। তাকে কবিতার জগত থেকে ঝেটিয়ে বত্রিশ নম্বরের জাদুঘরে দাঁড় করিয়ে রাখা উচিত।
ব্রাত্য রাইসু : নাম দেখে বোঝা মুশকিল হিন্দু কি মুসলিম। বাংলা ভাষা নষ্ট করেছেন। মানুষের রুচি নষ্ট করেছেন। বিদ্যা ও গান-বাজনার দেবী স্বরস্বতী নিশ্চয়ই তার এই দুর্জন ভক্তের ধৃষ্টতায় ক্রুদ্ধ হয়ে তার বীণা মাটিতে ছুঁড়ে ফেলেছেন!
দাউদ হায়দার : নির্বাসিত কবি। তার কোন কবিতা পড়বার আগেই তাকে খারিজ করে দিয়েছি। গায়ে একটা ট্যাগ দেয়া আছে।নতুন আরো ৩/৪ টা ট্যাগ আছে। সময়মতো ব্যবহার করা যাবে।
জুয়েল মাজহার : তার কবিতা হয় না। গদ্য কবিতা কি জিনিস আজও তিনি শিখতে পারলেন না। কবিতার ভেতরে তিনি গল্প ঢুকান। গল্পের ভেতরে কবিতা। নাদুস-নুদুস চেহারার জুয়েল মাজহারকে বানাব ডাইনোসরের খাদ্য।
আসলাম সানী : রাজদরবারে বুদ্ধিজীবীদের জ্ঞানের দাপট ও জ্বালায় কাছে ঘেঁষতে না পেরে তিনি রাণীর নেক নজরে পড়বার জন্য সওয়াবের খাতায় নাম লিখিয়েছেন।উচ্ছিষ্ট খুদ কুঁড়া ও এঁটো খাবার কুড়িয়েই নিজেকে ধন্য মানে করছেন। এঁটো হোক আর খুদ কুঁড়া হোক— রাজদরবারের অংশ তো, অতএব ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো তিনি এটুকুতেই মহানন্দে লাফালাফি করছেন।কিছু হয় না/কিচ্ছু হয় না। না বুদ্ধিজীবি হইতে পারলো না শ্রী। এমন বিশ্রী।
শামীম আজাদ : প্রবাসী কবি। একবার তাকে এস এম এস দিয়ে জানিয়েছিলাম যে বর্তমান সময়ে আমার পছন্দের ৮/১০ জন কবির মধ্যে তিনি একজন। তো ওইটা কিভাবে অতিক্রম করা যায় তার পদ্বতি তো আমি জানি। তার সম্পর্কে আমার সর্বশেষ মূল্যায়ন… আগে মানে অনেক আগে কিশোর বয়সে তার লেখা আমার ভালো লাগতো। যেহেতু তার লেখা কিশোরদের উপযোগী।
মাসুদ খান : যদিও কবিতাকে লোকটা দর্শন চর্চার জায়গা বানিয়েছেন। তবু, তারে চেতাইতে চাই না ভিন্ন কারনে। পাঠান কবি ! তাকে নিয়ে আমি ঐক্যজোট করতে চাই।
পুনশ্চ: নিন্দা একটি চলমান প্রক্রিয়া…।