সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে বাবর বলেছেন, ওয়ারিদ টেলিকমের কাছ থেকে নেয়া ১০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে তিনি মাত্র এক মিলিয়ন পেয়েছেন। বাকি ৯ মিলিয়ন নিয়েছেন লবী। এর মধ্যে ৬ মিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে। তবে লবী দাবি করেছেন, ১০ মিলিয়ন ডলারের মাত্র এক মিলিয়ন ডলার তিনি গ্রহণ করেছিলেন। বাকি ৯ মিলিয়ন ডলার নিয়েছেন বাবর, যার মধ্যে ৬ মিলিয়ন ডলার কোকোকে দেয়া হয়। তাদের এ বাকযুদ্ধের সময় টিএফআই কর্মকর্তারা চুপচাপ বসে থাকেন।
যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে বাবর আরও বলেছেন, হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক চাঁদাবাজিতে দুটি গ্র“প সক্রিয় ছিল। এর একটি গ্র“পে ছিলেন লবী, কোকো ও বাবর। অন্যটিতে তারেক, মামুন ও বাবর। দুটি গ্র“পের সঙ্গেই ছিল বাবরের সুসম্পর্ক। আর এ কারণে বিএনপি সরকারে তিনি ছিলেন প্রচণ্ড ক্ষমতাবান এক ব্যক্তি। সরকারি-বেসরকারি বড় বড় টেন্ডার, বিভিন্ন ক্রয়সহ উন্নয়ন কাজের মোটা টাকার একটি অংশ চলে যেত হাওয়া ভবনের দুটি সিন্ডিকেটের কাছে। আর ওই টাকা ভাগ হতো সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে প্রফেসর ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে কেন অপসারণ করা হয় সে ব্যাপারে আলী আসগার লবী বলেন, রাষ্ট্রপতিপুত্র মাহী বি. চৌধুরী বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ করতেন। এক সময় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন টেলিভিশনের পুরো কর্তৃত্ব চলে যায় মাহীর হাতে। মাহী নামমাত্র মূল্যে বিটিভির বিজ্ঞাপনের সময় (চাংক) কিনে নিয়ে তা বিক্রি করতে থাকেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে। এ সময় আরাফাত রহমান কোকোর প্রতিষ্ঠান বিটিভিতে ব্যবসা করার চেষ্টা করলে তাদের দু’জনের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়। এ ঘটনা নিয়ে কোকো তার মা খালেদা জিয়ার কাছে নালিশ করেন। কিš' মাহী বি. চৌধুরীর ব্যাপারে ব্যবস্থা না নেয়ায় ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন কোকো। সুযোগ পেলেই বি. চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাবর, লবী ও ফালুসহ বেশ কয়েকজন নেতা প্রধানমন্ত্রীর কান ভারি করতে থাকেন। অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ২০০৩ সালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারতের ইস্যুকে কেন্দ্র করে চক্রটি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে প্রফেসর ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে অপসারণে ভূমিকা রাখতে সমর্থ হয়। এর মাধ্যমে বিটিভিতে মাহীর কর্তৃত্বের
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০০৭ রাত ৩:৪৯