somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১/১১,মহাজোট সরকারের গত এক বৎসরের মুল্যায়ন--পয়েন্ট অব অর্ডারে এসময়ের তিন আলোচিত ব্যক্তিত্ব---

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১/১১- পরবর্তী তথা মঈন-ফকর ইউ আহমেদ এর দু:শাসনের সময় যখন সমাজের বেশীরভাগ পেশাজীবি, সাংবাদিক, তথাকথিত দেশী-বিদেশী SUSHIL সমাজ, বুদ্বিজীবি মহল, সামরিক-বেসামরিক আমলা, শিল্পপতি-ব্যাবসায়ী সমাজ এবং রাজনীতিবিদগন মঈন-ফকর ইউ আহমেদদের তোষামদিতে ব্যাস্ত। ঠিক সে সময় আসফ-উদ্দোল্লাহ, নুরুল কবির, ফরহাদ মাজহার, মাহমুদুর রহমানের মত গুটিকয়েক সাংবাদিক,কলাম লেখক শতপ্রতিকুলতার ভিতরে যে সাহসী গৌরবোজ্জল ভুমিকা রেখেছে, জাতি তা চিরদিন মনে রাখবে। আসুন, ১/১১-র কালো দিবসের প্রাক্কালে এদেরকে সশ্রদ্ব সালাম জানাই।

ব্যারিষ্টার রফিকুল হক,. আসাফউদ্দৌলা এবং নুরুল কবীরের ১/১১-র সময়, মহাজোট সরকারের গত এক বৎসরের মুল্যায়ন ইত্যাদিসহ অনেক অজানা তথ্য জানতে হলে নীচের লিংকে ক্লিক করুন অথবা আরো নীচে গিয়ে পড়ুন।

Click This Link
Click This Link

*****************************************************************
বাংলাভিশনের নিয়মিত টকশো পয়েন্ট অব অর্ডার-এ গত ৩০শে ডিসেম্বর আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে স্টুডিওতে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় তিন টিভি ব্যক্তিত্ব � ব্যারিষ্টার রফিকুল হক, মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলা এবং নূরুল কবীর। আর উপস্থাপক হিসাবে কাজী জেসিন চমৎকার ভাবে এই তিন ব্যক্তিত্বের কাছে প্রশ্ন রাখেন।

বর্তমান সরকারের এক বছরের মূল্যায়ন সম্পর্কে কাজী জেসিনের প্রথম প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবি ব্যারিষ্টার রফিকুল হক বলেন, আমি বলবো যে জাহাজের Captain ঠিক আছে কিন্তু ক্যাপ্টেনের Soldier রা উল্টাপাল্টা চালাচ্ছে। ফুটবল খেলার মাঠে যেমন কোনো player foul করলে তাকে বাদ দিয়ে নূতন player নেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রীরও তাই করা উচিত। দেখেন সপ্তাহ চারেক আগে কেবিনেটে ডিসিশান নেওয়া হয় যে, কোনো জার্নালিষ্টের বিরুদ্ধে যদি মানহানির মামলা করা হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট ইস্যু করা যাবেনা। অথচ মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে এবং সেই ওয়ারেন্টটাকে support করার জন্য entire এটর্নি জেনারেলের অফিস উঠে পড়ে লেগেছে। এইরকম অনেক কিছুই হচ্ছে যা হওয়া উচিত না।

এরপর কাজী জেসিন সাবেক সচিব মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলাকে মহাজোট সরকারের এক বছরের মূল্যায়ন সম্পর্কে কিছু বলতে অনুরোধ করেন। জনাব আসাফউদ্দৌলা বলেন, Morning shows the day. মানবাধিকারের প্রতি যে অপমান, সেই অপমান নিরসনের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নাই। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদক, জয়েন্ট ফোর্সেস এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকলে মিলে সেদিন মানুষের উপর যে নির্মম অত্যাচার করেছিলেন বিশেষ করে তখনকার গোয়েন্দাবাহিনীর স্বেচ্ছাচারিতা ও অমানবিক বর্বরোচিত আচরণের জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধেতো কোনো কথাই কেউ বলছেন না। সংসদও নিশ্চুপ, নিরুত্তাপ। আমার নিজের ধারণা হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে যথেষ্ট support করেন বলেই তাদের কারো কোনো বিচার হয় নাই। সেই দুই বছরের কথা আমরা কতো দুঃখের সাথে স্মরণ করি ও লিপিবদ্ধ করি। অথচ সেই দুঃখের যারা নায়ক ছিলেন, সেই brutality র যারা নায়ক ছিলেন সেই নায়কদের প্রতি এই সরকারের এক ধরনের support আমি লক্ষ্য করছি। রাত ২টার সময় মানুষকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যারা মারপিট করলো তাদের বিরুদ্ধে কোনো action নেওয়া হলোনা। They have not called to explain their conduct. তবে একটি ভাল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যার আমি প্রশংসা করি। আর তা হচ্ছে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না এবং থানায় কেইস দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাউকে গ্রেফতার করা যাবেনা। এটি উনার নিজের উপরেও হয়েছিলো বলে উনি তা বুঝেছেন। কিন্তু বাকীগুলি কেনো বুঝছেন না? বেআইনী জরুরী সরকারের সময় থেকে শুরু করে প্রতিনিয়ত আমাদের উপর যে অপমান শুরু হয়েছে, আজও তা চলছে। উনি কি জানেন যে আজও প্রত্যেকটা মিডিয়া, প্রত্যেকটা চ্যানেল মনিটর করা হয় এবং সেটা মনিটর করার পর BTRC থেকে ধমক দেওয়া হয়। বলা হয় এটা করলে বন্ধ করে দিব। ওটা করলে বন্ধ করে দিব। এদিকে আবার আপনি পাশ করেছেন information act বা তথ্য আইন। এই আইনের এইরকম অত্যাচার আগেতো দেখি নাই। আইনের পর দেখি তা আরো বেড়ে গেলো। তাতে আমার কেন জানি মনে হয় যে, দুই বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মধ্যে যারা স্বেচ্ছাচার করেছেন তাদের সাথে উনার কোথায় একটা সন্ধি আছে। এটা আমাকে অত্যন্ত দুঃখ দেয়। এটা নিরসনের কোনো উদ্যোগ যদি দেখতাম তাহলে আজকে আমি খুব খোলামনে তার প্রশংসা করতাম। কিন্তু আমি তা করতে পারছিনা বলে দুঃখিত। মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে, ক্রসফায়ার হচ্ছে। সবচেয়ে দুঃখের কথা হলো তাঁর player দের মধ্যে একজন শুধু বলেন �কই�। উনি সব sentence শুরু করেন �কই� বলে। এই মৎসটি তাঁর খুব প্রিয় কিনা আমি জানি না। কই, এখানেতো কোনো ক্রসফায়ার হয় নাই? কই, এখানে তো law and force-এর লোকেরা কিছু করে নাই? কই, ভারতীয় দূতাবাসের সামনেতো তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর provide করার কথা শুনি নাই? মানে এই �কই মাছ� খুঁজতে খুঁজতে উনার এক বছর পার হয়ে গেলো। কই মাছেরওতো একটি season আছে। প্রথম তিনমাস it�s alright.

আর প্রতিমন্ত্রী একজন আছেন যিনি শুধু মাগুর মাছ খুঁজেন। Strange people talks strangely. কাজেই নতুন বছরে আমি কোনো আশার আলো দেখতে পারছিনা। আমার কেন জানিনা মনে হয় প্রত্যেক বছর just আর একটি বছর। এরপর দি নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবির বলেন, গত দুই বছর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী যে অবৈধ সেনাসমর্থিত সরকার ছিলো এবং যে সরকার বাংলাদেশের সমস্ত নাগরিকদেরকে একটা রুদ্ধশ্বাসের মধ্যে ফেলে রেখেছিলো তাদের কোনো বিচার করা হয় নাই। ফলে ভবিষ্যতে হয়তো আবার কেউ কোনদিন হুট করে এইরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরা জানি যে নীতিবিবর্জিত কার্যকলাপের দরুন বড় দুইটি দলের মধ্যে যে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিলো সেই পথ ধরেই এই মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনরা জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। কাজেই রাজনৈতিক দলগুলির বিশেষত বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব ছিলো সেই সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিটাকে আরো softing করে একটা সমঝোতার রাজনীতির সূচনা করা। একটা বছর পার হয়ে গেলো অথচ উভয় দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ কার্যকর করা হলোনা। তিনি যে খারাপ কাজটা করেছেন তা হলো একদিকে তিনি জরুরী সরকারকে তাদের অপরাধের জন্য ক্ষমা করে দেন আবার আরেকদিকে সেই সরকারের করা দূর্নীতির মামলাগুলির মধ্যে নিজেদের দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলি একতরফাভাবে সব প্রত্যাহার করে নেন। আমরা যারা এতোদিন মানুষের কাছে বলেছি যে, সামরিক শাসন থেকে রাজনৈতিক শাসন ভাল, এই কাজগুলি করে কিন্তু আমাদেরকে উনারা মানুষের কাছে ছোট করেছেন।

আদালতের মধ্যে দিয়ে স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বের হয়ে আসার সৎ সাহস ছিলোনা বলেই তারা একতরফাভাবে এই কাজগুলি করেছেন। প্রেসিডেন্টের প্রতিষ্ঠানটাকে ব্যবহার করে বেআইনীভাবে জাতীয় সংসদের ডেপুটি লীডার সাজেদা চৌধুরীর ছেলেকে মাফ করে দিয়ে তারা একটা বিরাট অনৈতিক কাজ করেছেন যার সাংঘাতিক প্রভাব পড়াটা স্বাভাবিক। এরপর সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবি ও সাবেক আ্যটর্নি জেনারেল ব্যারিষ্টার রফিকুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, ৫ বছরের দূর্নীতি আর ২ বছরের ভয় ও ভীতির জন্য কাজ হয় নাই। তিনি যখন স্বীকার করছেন যে, দুই বছরের ভয় ও ভীতির জন্য দেশ খুব ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর action নেওয়া উচিত। তা না হলেতো এই সরকারই suffer করবে। এই ১/১১ যদি আবার ভবিষ্যতে আসে তাহলে this govt. will be worse victim. কাজেই এখন যদি তাদেরকে ঠিকমত শায়েস্তা না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে এই সরকার যখন থাকবেনা কিম্বা সরকারে থাকা অবস্থাতেই তারা victim হতে পারে।

এরপর কাজী জেসিন জনাব আসাফউদ্দৌলাকে প্রশ্ন করে বলেন, সাবেক সেনাপ্রধানের বইয়ের সূত্র ধরে বলা যায় যে, দেশে বিদেশে অনেকেরই interest ছিলো বলে ঘটনাগুলি ঘটেছে। আপনার কি মনে হয় এ ব্যাপারে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি পদক্ষেপ নিতে পারতেন? আসাফউদ্দৌলা জবাব দেন, দেখেন এইসব অর্ধশিক্ষিত লোকের বই পড়ার সময় আমার নাই। অনেক ভাল ভাল লেখকের বই পড়ার সময় আমি পাইনা। যে নামটি আপনি বললেন সেই ব্যাক্তিকে আজকে বিচারের সামনে আনা খুবই বেশী প্রয়োজন। Actually ওদের তিনজনকেই একসাথে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। সেটা যদি না হয় তাহলে আগামীতে অনেকেই উৎসাহ পাবে এই ভেবে যে এইরকম করেতো কেটে পড়া যায়। বাংলাদেশেতো কোনো বিচার হয়না। যারা সর্বোচ্চ অপরাধে অপরাধী তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। গত দুই বছরে নানান ধরনের tremendous যেসব দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, সেইসব ঘটনার নায়কেরা যেমন সুখে আছে তেমনি সেইসব ঘটনায় যারা suffer করেছেন তারাও সুখে আছেন। আমার মনে প্রশ্ন জাগে এটা কি এক ধরনের আঁতাত ছিলো কিনা যে, দুই নেত্রীর উপর লোক দেখানো অত্যাচার ও নিপীড়ন হবে এবং তারপর সব শেষ হয়ে গেলে হয়তো নেত্রীরা ভূলে যাবে। আমি জানিনা রাজনীতি করা মানেই ক্ষমতায় যাওয়া কিনা আর ক্ষমতায় যাওয়া মানে আত্মসম্মান বিসর্জন দেওয়া কিনা। কারণ আত্মসম্মানবোধ থাকলে আজকে প্রধানমন্ত্রী রুখে দাঁড়াতেন। আজকে তিনি বলতেন DGFI কবে থেকে civil jurisdiction হলো? কবে থেকে DGFI law and force-এর authority হলো? আমি DGFI এর act দেখেছি। এর কোনো জায়গায় তা লেখা নাই। They have no authority to enforce law. They have no authority to come into civil jurisdiction and in civil areas. প্রেসিডেন্টের পর প্রেসিডেন্ট নিহত হলেন বঙ্গবন্ধু নিহত হলেন, জিয়াউর রহমান নিহত হলেন। বিডিআর বিদ্রোহে ৬০ জন কর্মকর্তা নিহত হলেন। গোয়েন্দারা সম্পূর্ণ ব্যার্থ হলেন। তাদের সমস্ত interest হচ্ছে তুমি কি করছো? আমি কি করছি? উনি কি করছেন? রফিকুল হক কার সাথে দেখা করলেন? কার বাসায় খেতে গেলেন? মানুষকে অপমান করার জন্য এই যে চক্রান্ত করা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিজেদের importance বাড়ানোর জন্য সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এবং অসাংবিধানিকভাবে ১২ তালায় যে একটা ভিত্তিহীন organization গড়ে তোলা হয়েছে, আমরা সেই organization �এর পরিনাম দেখতে চাই।

এখানে উপস্থিত সাংবাদিক নুরুল কবীরের লোকজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে তারা মেরেছে এবং তার অফিসে কাজ করে বলেই তাকে তারা আরো বেশী মেরেছে। আমরা কি সব মিথ্যে কথা বলছি? আমরা কি সব বানিয়ে বলছি? আমাকে ডেকে নিয়ে যে অপমান করা হয়েছে আমি কি সেকথা বানিয়ে বলছি? উনার কি একবার উচিত ছিলোনা যে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করা যে আপনাদের কার প্রতি কে কি আচরণ করেছে? একটু বলেনতো। আমিতো মৃত্যুর পদপ্রান্তে।কাজেই আমিতো চলে যাবো কিন্তু এই মৃত্যুছায়ার বাইরে যারা আছেন, আজকে যারা সাংবাদিকতা করছেন, আজকে যারা decently প্রতিবাদের ভাষায় কথা বলছেন, তাদের ভবিষ্যত তো একেবারেই অন্ধকার। উনি কি এমন সরকার চান যেখানে মৃত্যুর নীরবতা, কবরস্থানের শূন্যতা বিরাজ করছে। কেউ কোনো কথা বলবেনা। বললেই সে রাষ্ট্রদ্রোহী। মাহমুদুর রহমানের পিছনে লাগা কেনো? যে একজন নির্ভীক সাংবাদিক। সে যা ইচ্ছা তাই করুক। সবইতো on record করা হয়েছে। আপনি কোর্টে তার against-এ মামলা করতে পারেন। কিন্তু কেনো তার বিরুদ্ধে এক মামলা রংপুর, এক মামলা মাগুরা, এক মামলা পটুয়াখালিতে করা হচ্ছে আমরা কি তা বুঝি না। আমরা তো আর গরু না। তাকে harass করার জন্যই এইসব করা হচ্ছে এবং এই কেইসগুলি অন্যদের হুকুমে ম্যাজিষ্ট্রেটরা accept করছেন। যে হারে এখনও রিমান্ডের অবর্ণনীয় অত্যাচার দেখি, বিনা বিচারে ক্রসফায়ার দেখি সেখানে আপনি আজকে এখানে বসে কি আশার কথা শুনতে চান?
পয়েন্ট অব অর্ডারে এসময়ের তিন আলোচিত ব্যক্তিত্ব-২
এরপর কাজী জেসিন দি নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীরকে প্রশ্ন করে বলেন, ১/১১ তো চলে গেছে কিন্তু এর কি প্রভাব রেখে গেছে আপনার কাছে তা জানতে চাচ্ছি। নুরুল কবীর উত্তর দেন, এতো বড় অপরাধ যারা করেছে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা অনেক এমপি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে যাদের বিচার চেয়েছেন, তাদের বিচার যখন করা হয় না। তখন সমাজের speculation এবং বিরোধী দলের যেই অভিযোগ যে, এটা একটা আঁতাতের নির্বাচন ছিলো�সেই অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়। যা কিনা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তির জন্য ভালো নয়। তাই তাদের বিচার আওয়ামী লীগের নিজের স্বার্থেই করা উচিত। ১/১১ কেনো ঘটেছিলো সেই বিষয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বস্তুনিষ্ঠ বিচার বিশ্লেষণ করে নাই। তিন উদ্দিনের কথাই ধরেন। আপনাদের বাংলাভিশনের এই অনুষ্ঠানে এসে প্রেসিডেন্ট ইয়াউদ্দিন তার সমস্ত অপকর্ম এবং ফখরুদ্দিন ও মইনউদ্দিনের অপকর্ম আল্লাহর উপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন। মইনুদ্দিন নিজের স্বার্থে জাতিসংঘের নামে অসত্য একটি চিঠি ব্যবহার করেছিলেন এবং কয়েকজন সেনা শাসকের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য পুরো সেনা প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবহার করেছিলেন। যে গোয়েন্দাবাহিনী বা DGFI আমাদের রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সেই DGFI কে মইনুদ্দিন সারা দেশে একটি অত্যাচারী নিপীড়ক প্রতিষ্ঠান হিসাবে তার ভাবমূর্তি গড়ে তোলেন। আর ফখরুদ্দিন আইনগত প্রতারণা করে বড় অপরাধ করেছেন। তিনি হচ্ছেন অন্য দেশের নাগরিক। সেই কারণে তিনি প্রধান উপদেষ্টা হতে পারেন না। তিনি সারাদেশের মানুষের কাছে তার নাগরিকত্বের ব্যাপারটা লুকিয়েছিলেন এবং একটা গালভরা বুলি আউরিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির সৌন্দর্য সঞ্চারের প্রয়োজনে তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সেই সৌন্দর্য সঞ্চারের কথা বলে দেশের মানুষকে ধোকা দিয়ে অন্য দেশের প্রতি তার বিশ্বস্ততাকে লুকিয়ে রেখে আমাদের রাজনীতির মধ্যে তিনি কুৎসতি সংস্কৃতি প্রবেশ করিয়েছেন সেইজন্য তার বিচার হওয়া প্রয়োজন।এরপর কাজী জেসিন ব্যারিষ্টার রফিকুল হককে প্রশ্ন করে বলেন, বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপের ব্যাপারে বিরোধী দল থেকে যেসব কথা বার বার বলা হচ্ছে অর্থাৎ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ব্যাপারে আপনি কি বলেন? ব্যারিষ্টার রফিকুল হক বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। ১/১১-এর সরকারও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। কাগজে কলমে স্বাধীন হয়েছে in fact তা হয় নাই। দেখুন হাইকোর্ট বা সুপ্রিমকোর্টতো রিমান্ড দেয়না। রিমান্ডতো দেয় ম্যাজিষ্ট্রেট। একজন ম্যাজিষ্ট্রেট কি করে রিমান্ডের টর্চার allow করে। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট হামিদুল হকের ডিসিশানে clearly বলা হয়েছে যে, remand is illegal. It is violation of Constitution Provision. রিমান্ডে নিলে কি কি নিয়ম follow করতে হবে সেইজন্য সেইখানে ৭টি direction দেওয়া আছে। তার against�এ গভর্নমেন্ট সুপ্রিমকোর্টের appellate division�এ গেছে। appellate division যেই judgement দিয়েছে তাতে হাইকোর্টের direction Implement করতে বলা হয়েছে। So that becomes a law of the country. But who cares. আমাদের প্রধানমন্ত্রীর তো এতোসব details জানার কথা না এবং জানার তার সময়ও নাই। তাকে কেউ গিয়ে এইগুলি বলবেও না। ভালো কথা কেউ বলবেনা। তারা গিয়ে খারাপ কথাগুলি বলবে যে, রফিকুল হক এই বলেছে, আসাফউদ্দৌলা এই বলেছে, নুরুল কবীর এই বলেছে। you must follow the direction given by Hamidul Huq. But nobody care.

এই পর্যায়ে জনৈক দর্শকের প্রশ্নের উত্তরে আসাফউদ্দৌলা বলেন, দেখেন ভোটের জন্যই ১০ টাকা কেজি চালের কথা বলা হয়েছে। ১০ টাকা কেজি চাল বা প্রত্যেক পরিবারে ১ জনকে চাকরী দেওয়া এগুলি বলার জন্যই বলা হয়েছে। বাস্তবে তা পূরণ করা সম্ভব না। তবে আমাদের ঘড়ির কাঁটা বদল হয়েছে। তাতে কি ১ মেগাওয়াট সাশ্রয় হয়েছে? আমি তখনই জানতাম যে, যেই উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্যে সফল হবে না। সময় নির্ভর করে ভূগোলের উপর। আপনি ভূগোল পরিবর্তন করতে পারেন না। এ ছাড়া শুরু হয়েছে নাম বদলানোর হিড়িক। এইসব unfortunate tradition কবে শেষ হবে আমি জানিনা। প্রতিহিংসা বেড়ে গেছে এবং তা চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। আমরা ভেবেছিলাম যে ১১ই জানুয়ারী চিরতরে দূর করার জন্য সরকারী ও বিরোধীদল কাছাকাছি থাকবে � সেটা আর হচ্ছেনা। কাজী জেসিন আবার তাকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি মনে করেন যে সংসদ অকার্যকর করার ব্যাপারে বিরোধীদলও দায়ী? অর্থাৎ সংসদ কার্যকর করার ব্যাপারে বিরোধী দলেরও একটা ভূমিকা রয়েছে? আসাফউদ্দৌলা বলেন, আমার মতে বিরোধীদলের সংসদে যাওয়া উচিত। ছোট বাচ্চাদের মত চেয়ারের ব্যাপার নিয়ে সামনে বসলাম না পিছে বসলাম এইসব নিয়ে সংসদ না যাওয়ার বাহানাকে জনগণের কাছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির খেলাপ বলে আমি মনে করি। আপনি সংসদ গিয়ে হৈ চৈ করেন, কথা বলার চেষ্টা করেন, নিজের দাবী আদায়ের চেষ্টা করেন। ও প্রসঙ্গে নুরুল কবীর বলেন, বিএনপি পরিস্কারভাবে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে লিখেছে যে নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেনো, আমরা সরকার বা বিরোধীদল যেখানেই থাকিনা কেনো আমরা পুরনো রাজনীতি বর্জন করবো এবং আমরা সংসদে যাবো। এখন তারা এই অজুহাত খুঁজছে, সেই অজুহাত তৈরী করছে। বলছে আমাদেরকে গালিগালাজ করে, আমাদেরকে সিট দেয়না। যদি তারা আপনাদেরকে চোর ডাকাত বলে গালিগালাজ করে তাহলে আপনারা জনগণের প্রতি সেইভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে, তারা অসাংবিধানিক কাজ করছে বা সংবিধান লঙ্ঘন করছে।

এ প্রসঙ্গে ব্যারিষ্টার রফিকুল হক বলেন, একটা বছর চলে গেলো বিরোধীদল সংসদে গেলোনা। আজকে মওদুদ সাহেব বললেন, পার্লামেন্টে যেতে পারি কিন্তু একটা atmosphere create করতে হবে। You go to parliament and create atmosphere yourself. আর একটা ব্যাপার দেখেন ১/১১-এর জন্য একদল আরেকদলকে দায়ী করছে। যেই দায়ী হোক না কেনো তারা বলছে যে ১/১১ টা হচ্ছে খারাপ জিনিস। তাই যদি হয় তাহলে যে ক্ষমতায় আছেন সে ১/১১ �এর বিরুদ্ধে কোনো action নিচ্ছেন না কেনো? ১/১১-এর একজন অন্যতম নায়ক হচ্ছেন অষ্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার। ক্ষমতাসীন দল বলছে উনি খালেদা জিয়ার আত্মীয়। তাহলে তার বিরুদ্ধে action নিতে বাঁধা কোথায়? কেনো তাকে call back করছেন না?

এরপর কাজী জেসিন বলেন, আপনাদের কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে দলগুলি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার ব্যাপারে আন্তরিক নয়। বলার জন্যই তারা সেগুলি বলেছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কি করণীয়? তারাতো ভোট দিয়ে অসহায় ভাবে তাকিয়ে থাকে এই ভেবে যে, কবে রাজনীতিবিদরা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে? আসাফউদ্দৌলা বলেন, সাধারণ মানুষ হচ্ছে victim of promises. এ দেশের ৬৫ ভাগ ভোটার হচ্ছেন সোজা সরল গ্রামের মানুষ। তারা মানুষের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে। একদিন হয়তো তারা বুঝতে পারবে যে এইসব প্রতিশ্রুতি হচ্ছে শুধু বলার জন্য বলা। কাজী জেসিন বলেন, ব্যারিষ্টার রফিকুল হক আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি সেইদিন কবে আসবে? ব্যারিষ্টার রফিকুল হক বলেন. আমাদের দুজনের জীবদ্দশায় হয়তো আসবেনা। তবে ভবিষ্যতে সেইদিন আসবেই। কারণ মানুষ কিন্তু এখন অনেক সজাগ সচেতন হয়েছে। ২০ বছর আগের দিন চলে গেছে। এ প্রসঙ্গে নুরুল কবীর বলেন, রাজনৈতিক সচেতন সম্পন্ন মানুষ যারা যাদের নানান ভাবে কথা বলবার বা লিখবার সুযোগ আছে, আমার মতে সাধারণ মানুষের চেয়ে তাদের কর্তব্য অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। তারা সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির কথা ও কাজের মধ্যেকার অসংগতিগুলি তুলে ধরতে পারেন। ব্যারিষ্টার রফিকুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী একদিন নিরপেক্ষ নাগরিক সমাজের সাথে বসে ২-৪ ঘন্টা আলোচনা করলে কি হয়? তাঁকে তো আর আমরা কেউ dictate করছিনা। আলোচনার মাধ্যমে যদি তিনি তাঁর ভূলগুলি শুনে থাকেন তাহলে কি তার উপকার হয়না? আমি এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ব্যাপারে তার কাছে appeal করছি। সবশেষে কাজী জেসিন প্রশ্ন করেন, সংঘর্ষের এই রাজনীতি চলতে থাকলে অনেকে বলেন যে আবার কোনোদিন হয়তো সেই কালো রাত আসতে পারে। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য শুনতে চাই। আসাফউদ্দৌলা বলেন, সেই কালো রাত আবার আসলে এই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। যদি একটি রাষ্ট্রের জনসাধারণের প্রত্যাশার সাথে সরকারের কোনো যোগসূত্র না থাকে তাহলে সেই রাষ্ট্রও থাকেনা, সেই জাতিও থাকেনা। সেই জাতি ও রাষ্ট্রের মর্মান্তিক পরিনতি ঘটে। এ প্রসঙ্গে নুরুল কবীর বলেন, আশির দশকে যখন সামরিক শাসন এসে হাসিনা খালেদাকে নিপীড়ন করেছিলো তখন তার বিরুদ্ধে রাস্তায় মিছিল নেমেছিলো। কিন্তু ২০০৭ সালে যখন সামরিক শাসন এসেছিলো তখন তাদের কোনো মিছিল নামে নাই। শুধু কিছু লোক প্রতিবাদ করেছিলো। কাজেই তারা আবার একই রকম কাজ করতে থাকে তাহলে কার পরেরবার কিন্তু এইসব কথা বলবার পর্যন্ত লোক থাকবেনা। সুতরাং হাসিনা খালেদাদের এবং রাজনৈতিক দলগুলির অস্তিত্বের প্রয়োজনে তাদের নিজেদেরই কিছু ইতিবাচক ভূমিকা রাখা উচিত। ব্যারিষ্টার রফিকুল হক সবশেষে বলেন, আমি দুই নেত্রীর কাছেই প্রস্তাব রাখছি যে তারা যেন সপ্তাহে অন্তত: একদিন নিরপেক্ষ নাগরিক সমাজের সাথে আলোচনায় বসেন। রাজনৈতিক দলগুলি তাদের সাংঘর্ষিক রাজনীতি পরিহার করবেন এই আশা ব্যক্ত করে এবং সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে কাজী জেসিন তার পয়েন্ট অব অর্ডারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

ব্যারিষ্টার রফিকুল হক,. আসাফউদ্দৌলা এবং নুরুল কবীরের মত জাঁদরেল ব্যক্তিত্বের কড়া কড়া কথা যখন শুনছিলাম তখন ভাবছিলাম অনুষ্ঠানটি কালকে পুন:প্রচারিত হবেতো? নাকি মন্ত্রনালয় থেকে ফোন আসবে? আমার আশংকাই সত্যি হলো। অনুষ্ঠানটি পরদিন প্রচার না হওয়ায় বাংলাভিশনে ফোন করে জানতে পারলাম যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই পয়েন্ট অব অর্ডারটি পুন:প্রচার করা সম্ভব হয় নাই। ফলে অনেক দর্শকেরই কিন্তু এই চমৎকার অনুষ্ঠানটি দেখার সৌভাগ্য হলোনা, যা খুবই দুঃখজনক।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×