আলোর বিপরীতে আলো হয়ে দাঁড়িয়ে ছায়াবাজীর বিপুল উৎসব।
আলো যদি সত্যিই হবে, তবে ছায়াও যে খাঁটি!
আলোর প্রার্থনারতগণ ছায়ায় বিলীন হয়ে যায়,
কালো সময় পৈশাচিক স্বরে ফিসফাস করে করে যায়..
জল যা বলে, জলের উচ্ছ্বাস ভীন্ন কথা বলে।
প্রেম যা বলে, পুরুষ ভীন্ন ভাষা বলে।
পৃষ্ঠা উল্টে উল্টে সুনীলের মত শব্দের কাটাকুটিই সার কেবল-
কাগজচাপা কথারা থেকে যায় কালির আড়ালে।
এক একটা সন্ধ্যা আসে কৈশোরের আনন্দ নিয়ে_ এখনও!
অথচ রাত কাটে মৃত্যুর ঘোরে।
মাকড়সার জালের মত বোনা আচানক সব বিধিমালা!
স্বয়ং মাকড়সারাই কি পারবে ছোটাতে??!
অক্ষরের পূণ্যেই আরেক অক্ষরের জন্ম। ভালোবাসাবাসির এ অযোগ্য সময়ে বাহুল্য তপ্ত রুদ্রায়োজন-
নোনা-কটু গন্ধে একখানা নতুন শ্রুতলিপির পাঠ দেয়।
মানুষের দাঁত বসে যায় মানুষেরই শরীরে।
শরীরে? নাকি আত্নায়???
রক্তের রং যদিও বা এক, ঘামের গন্ধ তো তবু ভীন্ন। নতুবা কি করে তুমি চেন কে শিক্ষক, কে বাজারী আর কে ডোম?
কীভাবে আলাদা করো আর্য আর অনার্য?
নিঃশ্বাসের সাথে একমুঠ বাজে কথা গিলে ফেলি_ কোথাও আটকায়না। তবে কিনা আজো ঘুমের ভেতর শ্বাস আটকে যায়!
দেখিস, একদিন আমারও একটা শঙ্খ হবে!
কিংবা নিজেই হবো শঙ্খনদী।
সরু, শীতল শঙ্খনদী..!