মন্বন্তরের মধ্যভাগে অনাহারীর বুকের খাঁচার
জীর্ণ প্রাচীর স্বপ্ন আমার, যাচ্ছে ধ্বসে
দু'শ বছর দাঁড়িয়ে এখন ধুকতে থাকা দেয়ালগুলোর
সুরকী সমান...
তবুও এখন বাঁচতে চাওয়া, পাহাড় থেকে পড়ার পথে
দূর্বাঘাস আর শ্যাওলা ধরে বাঁচার মতো,
রাতের আকাশ ভর্তি তারা হয় যদি এই
বুকের ক্ষত; গুনবে কতো??
অজুত-শত-লক্ষ-কোটি স্বপ্ন মরে পঁচে "পচন"
এখন আমার বুকের গহণ
অন্তলোকের নিত্যদিনের গল্প-গাঁথা।
তবু যেমন নিয়ম মেনে নিত্য ভোরে সূর্য ওঠে,
তেমনি আমার ভেঙ্গে-জুড়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখা
দুঃসময়ের কারার প্রাচীর গুড়িয়ে বিষম দুঃসাহসে
অন্যরকম শিউলী ফোঁটা ভোরের আশায়..
রুদ্ধশ্বাসে এ পথ ছোটা।
হয়তো কোনো হঠাৎ ভোরে ভরবে আমার শখের বাগান
অযুত ফুলে।
হয়তোবা কোন ঝড়ের মেঘের বজ্র আমায় ঝলসে দেবে,
তেমনি করে, যেমনি পোড়ে পতঙ্গরা মোমের শিখায়।
আমার বুকে কান পাতো টের পাচ্ছো, পাবে..
নরক জ্বালায়
কলজে-পাজর শিরার খুন আর মনটা কেমন
ছাই হয়ে যায়।
তবু আমার এ ছাই থেকেই জ্বলবে নতুন আগুন আবার
দুর্ভাগ্যের দেবীর দু'চোখ ঝলসে দেবার যথেষ্ট তাপ
জন্ম দেবার যথেষ্ট ক্ষোভ এখন আমার বুকের ভিতর
বারুদ হয়ে ফুঁসছে যেন সুপ্ত কোন অগ্নিগিরি,
আমার চোখের তারায় জ্বলে নবতারার ভীষণ মশাল।
কেউ দেখে না, যত্ন করে লুকিয়ে রাখা...
যেমনি করে ভাইকিং-রা লুকিয়েছিলো তাদের যা সব
যেমনি করে লুকোও তুমি, সসঙ্কোচে, তোমার তোমায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


