কৈ সব সৃষ্টিনাশা সর্বনাশী পাগলা ক্ষ্যাপা

কোটরে আগুন যাদের,

পাজরায় বারুদ চাপা..

কৈ তোরা; পোষ না মানা বন্য আদিম সর্বগ্রাসী?

হাস না হাবড়া বুড়োর ঘুম ভাঙ্গা সেই শকুন হাসি

জ্বালা, আয়, আগুন জ্বালা,

যদি হয় আদ্দ্যিকালের পাঠশালা এ... ... বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের চোখে, নোখে ও চিবুকে

নেকড়ে, শুয়োর, শেয়ালের ছাপ

দিনে দিনে হয় প্রকট, তবুও___





মানুষের বুকে, রক্তে, স্বপ্নে,

করোটিতে, ঘামে, পেশী ও চোয়ালে- ... বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভাঙ্গি ব্যাথা, নৈঃশব্দ, রাতঘোরে জড় নিষাদীর তীর

মুঠো মুঠো করে ছুঁড়ে ফেলি দূরে, জড়ো হওয়া যতো বিষাদের ভীড়।

প্রেয়সীর চোখে অনিমিখ প্রেম, রূপোলী কাঁকন, ভেঙ্গেছি তাও

বিকার বিহীন দলে চলি পায়ে, স্বপ্নের কুঁড়ি, আনত নাও

ডুবাই সরোষে, ঘৃণাহীন চোখে, আমাকে দেখে না উজানী কেউ_

আমি বালুচর, আমাতে বিকোয়, জীবন শ্রাবণে প্রণতি ঢেউ। ... বাকিটুকু পড়ুন

কাল ছিলো প্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণের জন্মদিন।

আর প্রিয় কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ-র মৃত্যুবার্ষিকী।



কবিতা বা সাহিত্যে কোন তুলনা চলেনা। কেউ তুলনা করতে চাইলে, সেটাকেই বরং অনৈতিক মনে হয়। কিন্তু, জানিনা কেন, রুদ্রের প্রশ্নে আমি একটু বেশিই আবেগী, পক্ষপাতদুষ্ট।



নিজেকে হাতের মুঠোয় করে নষ্ট করা, অপচয় করা এই মানুষটির মানুষের প্রতি অদ্ভুত মমত্ব... বাকিটুকু পড়ুন

একটা চড়ুই পাখির বাচ্চা কুড়িয়ে পাইছি। রাস্তায় ওর বাঁচা অসম্ভব। কেবল চোখই ফুটছে। ঠিকমত পালকও ওঠেনি। এইটারে কি খাওয়ানো যায়? বিস্কিট গুড়া পেস্ট কইরা দিলাম, খায় না। ভাতের দানাও একটা খাইলে আর হা করে না।

এই বাচ্চারে ক্যামনে কি খাওয়ানো যায়!!



আমার বাচ্চা পাখি পালনের অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু আমি চাইতেছি এই... বাকিটুকু পড়ুন

কলমের নিবে জড় হলো সমস্ত অন্ধকার।

অথচ আমার

রাত্রি ফুরোলে ভেবে, সেই

কবে হতে কান পেতে আছি-

শুনি নাই ভোরের আজান।

পেঁচারাই ফিরে ফিরে ডেকেছে কেবল। ... বাকিটুকু পড়ুন

যারা মরে গেছে, বড় ভয়ে আছে তারা

যারা বেঁচে আছে, বেঁচে থাকা মানুষেরা

তারা আজ সার সার মৃতদেহ স্রেফ!



মড়ক ও মারীর মহাযজ্ঞের বেলা আজ

শিকারীর চোখে চোখ রেখেছে সন্ত্রস্ত শিকার.. ... বাকিটুকু পড়ুন

কারো কাছে তারাপদ রায়ের "এক জন্ম" কবিতাটির আবৃত্তির লিঙ্ক হবে...?? খুব জরুরী..



[এক জন্ম – তারাপদ রায়



অনেকদিন দেখা হবে না

তারপর একদিন দেখা হবে।

দুজনেই দুজনকে বলবো, ... বাকিটুকু পড়ুন

শুনুন! এই যে! হ্যাঁ আপনি, আপনিই__

এভাবে ছুটছেন যে! পালাচ্ছেন নাকি!

দু:খিত! দু:খিত! আপনারা পালাবেন কেন?

হ্যাঁ, তাই তো! আপনাদের কিসের ভয়!

ঐশ্বর্য আর ক্ষমতার শিবলিঙ্গ চুষতে চুষতে আপনারা পৃথিবী দ্যাখেন!

লজ্জা! আছে নাকি আপনাদের!

ভেবে দেখুন তো__ ... বাকিটুকু পড়ুন

আর ক'টা দিন, হারিয়ে যাবো, পাজর ভাঙ্গা

মিথ্যেগুলোর জিভের লালা চোখের জলে

ধুইয়ে দিয়ে, আর ক'টা দিন- উড়াল দেবো,

মধ্যদুপুর, আকাশ জ্বালা রোদের আঁচে

পুড়িয়ে আপন তিমিরপায়ী বিসংবাদী

ডানার পালক, তুচ্ছ ব্যথার ঠুনকো শোকের

আঘাত রাশির মোহনবাঁশি বাজিয়ে দেখিস, ... বাকিটুকু পড়ুন

আমার হবে না আর, আমার হবে না কিছু, আর কিছুতেই।

ভেঙ্গে গেছে ভুল সব, বুঝেছি সঠিক

ঘোলাটে কুয়াশা সব

কেটে গেছে, তারপর

দেখেছি আলোতে ফিরে, আঁধি আমাতেই

আমার হবে না আর, হবে না কিছুই আর, কোন কিছুতেই। ... বাকিটুকু পড়ুন

জীবনটা একদম সিগ্রেট হয়ে যাচ্ছে..



প্রতিটা মুহুর্তেই জমছে ছাইয়ের পরত।

যেটুকু অন্তঃসার, মিশে গেছে ধোঁয়াটে সুখে।

তবু আঙ্গুলের আলতো টোকার পর, ঠোঁট ছোঁয়াতেই

উস্মা ছড়াচ্ছে আগুন.. ... বাকিটুকু পড়ুন

সকাল বেলা অফিসে যাবার সময় বাবার নিয়ম ছিলো মা'কে "মনু, আমি অফিসে যাই" বলে বের হওয়া। প্রত্যেকটা দিন বাবার ইয়াব্বড় সু তে আমার ছোট্ট পা দু'টো গলিয়ে একটা কিছু বগলদাবা করে আমিও হাঁকতাম, "মনু, আমি অপিতে দাই"



মনে পড়ে, কোন এক আংকেল বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন,



ছেলে তো বড় হচ্ছে, বাব কেন জমি... বাকিটুকু পড়ুন

তখন ক্লাস এইটে বা নাইনে পড়ি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই আমার প্রথম কাজ ছিলো ছাদে কিছু পায়চারি করা(যদি প্রাইভেট পড়তে দৌড়ানো না লাগতো)।

আমাদের বাসাটা ছিলো তিনতলা বিল্ডিং এর দোতলায়। নিচতলার বর্ধিতাংশের কারণে আমার ঘরের সামনেই একটা প্রশস্ত ছাদ পেয়েছিলাম (লেদুকালে আরামসে ক্রিকেট খেলেছি প্রচুর)। তিনতলার ছাদে তেমন একটা... বাকিটুকু পড়ুন

মন্বন্তরের মধ্যভাগে অনাহারীর বুকের খাঁচার

জীর্ণ প্রাচীর স্বপ্ন আমার, যাচ্ছে ধ্বসে

দু'শ বছর দাঁড়িয়ে এখন ধুকতে থাকা দেয়ালগুলোর... বাকিটুকু পড়ুন