কৈ সব সৃষ্টিনাশা সর্বনাশী পাগলা ক্ষ্যাপা
কোটরে আগুন যাদের,
পাজরায় বারুদ চাপা..
কৈ তোরা; পোষ না মানা বন্য আদিম সর্বগ্রাসী?
হাস না হাবড়া বুড়োর ঘুম ভাঙ্গা সেই শকুন হাসি
জ্বালা, আয়, আগুন জ্বালা,
যদি হয় আদ্দ্যিকালের পাঠশালা এ...
ধমনী, শিরায়-শিরায়.. ডাকে বান
গোত্তা খাওয়া খুনের ধারায়, অসংকোচে..
পরিণাম হয় নি ভালো, কোন কালেও, দে বুঝিয়ে
এই শেকল ছেঁড়া কব্জিতে ফের শেকল বাঁধার.....
চেতনার বদ্ধ কপাট ফেল ভেঙ্গে, ফেল বিকল আঁধার
ছুড়ে দূর নিপাট দ্বিধার আঁচল ছেড়া সমুদ্দুরে
দ্যাখ তোর বুকের ভিতর কোন বাসনা জগৎজুড়ে
আনছে নতুন প্রলয়
দে তালি, তোর কিসে ভয়? তুই নাচ মৃত্যু-নাচন, আচ্ছাদনের কি প্রয়োজন?
এই নতুন দিনের ছাঁচ দিবি তুই কাঁচা-হাতে-পায়
তোরা কৈ, মুখর সকাল বারুদ বুকে যায় বয়ে যায়...
ঈষাণে বজ্র বাজে
পিছনে অন্ধ নাচে
বাঁধা কি দ্যাখ চেয়ে ওর আত্মঘাতী পিঠের পিছে
ওরা নীচ, তরতরিয়ে নামছে আরো ভীষণ নিচে।
আর ওই যে, দ্যাখ বুড়ো ভাম
মুছে ফেলে কপালের ঘাম
চালছে সেয়ান গুটি, খুঁটির জোরে,
ও-ওতো ধরবে চেপে,
টুটি তোর পেলেই সুযোগ, নেবে শোধ
কাঁটায় কাঁটায়, নিক্তি মেপে।
তবু তোরা এখনো চুপ!
তবু তোরা এখনো চুপ! আর কতো রূপ
গিরগিটিদের দেখার পরে
অবিশ্বাসী বল হবি? বল চাস দেখতে?
ঠকিয়ে যাবেই তোদের, খেকশেয়ালী, জানিস না কি?
ধুপ জ্বালা দিন হয় না রঙ্গিন, দেদার ফাঁকি
ওরা তো দিচ্ছে দেবে, বেজায় খেপে, ধর না চেপে ওদের গলা
কি যায় আসে তোর বুকে তাক
ওদের ধনুক; তীরের ফলা
তোরা পাস মৃত্যুকে ভয়! তোরা কি আপোষে জয়
করবি ভাবিস নেউলপুরী?
তোরা কি অতই কাঁচা, তোদের খাঁচায় রাখবে ভরে ডাইনী বুড়ি!
তোরা কি শোধ নিবি না? তোরা কি ছাড় দিবি ওই মাতৃঘাতী বেজন্মাদের?
রক্তের বারুদ বেঁচে ক্ষমতার সওদা যাদের গোপন নেশা
রক্ত-চোষা চীনে জোঁকের বেজায় কদর যাদের কাছে
তাদের পায়ে বিকিয়ে যাবি? তোরা না বাসন্তী ঘ্রাণ,
আকুল যাদের প্রাণ ভ্রোমরা সুর্যে বাঁচে,
দ্রোহ প্রেম আর ক্ষোভের মতন অস্ত্র যাদের মুঠোয় আছে
তোরা সেই উজ্বালা দিন, ক্ষুদ্ধ তরুন, সর্বনেশে,
পাশার গুটি উল্টে দিবি, তোরাই পারিস, মুচকী হেসে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


