"জন্ম আমার ধন্য হল মা, গো...."। এই গানটা যে লিখেছিল তাকে খুঁজে বের করতে খুব ইচ্ছা করে। খুঁজে পাওয়ার পরের ইচ্ছেগুলো মাঝে মাঝে সীমা ছাড়ায়। হতাসায় ডুবে থাকা বাংলাদেশিদের কাছে কুয়াশা-ঘন শহরে চাঁদ সমতুল্য সুর্যের মত আলো ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এবং বাংলাদেশের জ্বল জ্বল করা ক্রিকেটের পাতায় বর্তমান হেডলাইন সাকিব-উল-হাসান ও তামিম ইকবাল।
যতদুর আমি তামিম সম্পর্কে জানি সে মোটামুটি শিক্ষিত এবং ভাল একটি পরিবারকে প্রতিনিধিত্ব করে। যথেষ্ট স্মার্ট কথাবার্তায় এবং আচার আচরণে। ইন্টারভিউ দেখলে তার ইংরেজি তে পারদর্শিতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। সর্বপরি যেকোনও বিশ্বক্ষ্যাত বোলার কে পানি পান করানোর মত যোগ্যতা এই বাঁহাতি ওপেনিং ব্যাট্সম্যান এর আছে। সন্দেহাতীত ভাবে বাংলাদেশির প্রিয় তালিকায় তার নামটি উজ্জল।
আজকে সকালে ফেইসবুক অপেন করে টাইমলাইন এ আমার এক বন্ধুর ট্যাগ করা এই ভিডিও টি দেখে আমি বেশ বড়সড় একটা ধাক্কা খেলাম। ভিডিও টিতে তামিম ইকবালের মত একটা ছেলে যেভাবে একজন দর্শক কে ব্যাট উচিয়ে কুৎসিৎ ভাষার কবিতা নিক্ষেপ করল তা ছাত্রলিগের কর্মিদের পক্ষেও হয়ত সম্ভব ছিলনা।
খেলাধুলার মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে দর্শকের মনোরন্জন। আমি সারাদিন সেন্চুরির পরে সেন্চুরি করে যাব আর একটা কাক পক্ষি জানবেনা এমন উদ্দেশ্য নিয়ে নিশ্চয়ই কোনও ক্রিকেটার পারফর্ম করে না। তাছাড়া তামিম ইকবালরা যে ভাতা ক্রিকের বোর্ড থেকে পায় তা আমাদের দেয়া কর থেকেই পরিশোধিত হয়। অতএব প্রিথিবীর কোথাও নিজের রোযি-রোটি কে গালি দেবার এমন নজির আছে কি না আমার সদেহ আছে।
সর্বপরি, বাংলাদেশ ক্রিকেটের গ্রাফ এখন উর্ধ্বমুখি। সামনে তামিম ইকবালের চেয়েও ট্যালেন্টেড ওপেনার টিম এ আসার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তামিম ইকবালের হারিয়ে যাওয়ার দিনও উপস্থিৎ হবে কোনওদিন। তাই আশা করব তামিম ইকবাল নিজের অর্জন কে এবং অবদান কে এভাবে ডাস্টবিনে ফেলবে না।