একটি মিথ্যাচার অনেক গুলো সত্য কে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। এবং যে মিথ্যাচার যত বেশি দায়ীত্বশীল অবস্থান থেকে আসে, সেই মিথ্যার ওজনও ততখানি বেড়ে যায়। শাহবাগের গণজাগরন জনসংহতির মুলে আছে একটি মাত্র বক্তব্য। যুদ্ধাপরাধি দের ক্ষমা নাই। অন্তত স্বাধারণ মানুষ তাই মনে করে থাকে। এটাই সত্য এবং তাই হওয়া উচিৎ।
গতকাল দেখলাম সংসদে দায়ীত্বপ্রাপ্ত অবস্থান থেকে বলা হল, শহিদ ব্লগার রাজিব হায়দার কে নিয়ে যে মিথ্যা কুৎসা রটানো হচ্ছে তার জন্য ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বা এই ধরণের কিছু একটা। এখন কথা হচ্ছে ব্লগার রাজিব হায়দার এর নামে যা পত্র পত্রিকায় ছাপছে তার কতটুকু সত্য? আমি ফেইসবুকের পাশাপাশি বাংলা ব্লগের সাথে আছি গত ৪-৫ বছর ধরে। আমার মত যারা বাংলা ব্লগে হালকা লেখালেখি করেন তাদের কারোরই অজানা থাকার কথা না রাজিব হায়দার ওরফে থাবা বাবা, আসিফ মহিউদ্দিন, নিতাই অথবা স্ববাক নামের ব্লগার রা কি মানষিকতার বা কি ধরণের ব্লগ লিখে থাকেন। "নুরানি চাপানামা" নামক যে সংকলন ব্লগ ওয়ার্ড প্রেস এ দেয়া হয়েছিল তা যে রাজিব দেয়নি সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নাই। চক্রান্তকারি রা এটি তার মৃত্যুর পর দিয়েছিল যা রাজিবের বিভিন্ন পোস্ট এর সংকলন মাত্র। কিন্তু ধর্ম কে আক্রমন করে এই বিক্রিত লিখা গুলো যে তার নিজের লেখা তাতেও কোনই সন্দেহ নাই। রাজিব ত আন্দোলন এর পেছনের কোন গুরুত্বপুর্ণ গুটি ছিল না, তাহলে মিথ্যাচার করে রাজিব কে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা কেন? এটা কি আন্দোলন কারিদের মধ্যে প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে না বা বিভেদ সৃষ্ঠি করবে না?
ছোটবেলা থেকে জেনে আসছিলাম এবং পাঠ্য বইএ পড়েছিলাম আগরতলা মিথ্যা ষড়যন্ত্র মামলায় বন্গবন্ধু কে ফা্ঁসানো হয়েছিল। পরে যখন জানতে পারলাম বন্গবন্ধু আসলেই সে সময় আগরতলায় গিয়েছিলেন ভারতীয়দের সাথে দেখা করতে এবং আওয়ামিলিগ নেতা তোফায়েল আহমেদ যখন "তৃতীয় মাত্রা" নামক টক শো তে ব্যাপারটা নিশ্চিত করলেন, তখন খুব কষ্ট লেগেছিল। নিজের জন্ম পরিচয় নিয়ে মিথ্যাচারে কষ্ট লাগাটাই স্বাভাবিক।
সত্য চিরদিনই সত্য। মিথ্যার চাদরে ঢেকে সত্য কে প্রশ্নবিদ্ধ করনে ইতিহাসের ভেতর টা ফাপা রয়ে যায়। যা পরবর্তি প্রজন্ম কে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি করে এবং তাদের সোজা হয়ে দাড়ানোর শক্তিকে খর্ব করে। প্রজন্মের বিবেক বিবেচনায় সত্যের জয় হোক। জয় বাংলা।