-হ্যালো
-হ্যালো বাবা শুনতে পাচ্ছেন?
-হ্যা বাবা বল। কি সব বলছে টিভি তে কি হয়েছে তোদের ওখানে?
-মমম... বাবা খুব বড় বিপদে আছি দোয়া করবেন। বে্ঁচে থাকলে হয়ত দেখা হবে, আর কখনও যোদি দেখা না হয় ক্ষমা করে দিয়েন। আম্মা কে সালাম দিয়েন আর বলিয়েন ক্ষমা করে দিতে।
-হ্যালো.... হ্যালো...
নিরবতা.... তারপর অসাড়তা...কি বলে ছেলে? সোনার টুকরো ছেলের চেহারা চোখে ভেসে উঠল...তারপর ঝাপসা হয়ে গেল ধীরে ধীরে...
সেই বাবার সাথে তার ছেলের আর দেখা হয়নি কখনও।
ইন্টারভিউ টি দেখেছিলাম ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। পিলখানায় তৎকালিন বিডিআর এ কর্মরত এক আর্মি অফিসারের বাবা এভাবেই বর্ণনা করছিলেন ছেলের সাথে তার শেষ টেলিফোনালাপ। চোখে জ্বল নিয়ে, মনে ক্ষোভ নিয়ে শুনছিলাম আর দেখছিলাম।
২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে পিলখানায় যারা শহিদ হয়েছেন তারা কি জানেন? আমরা আমাদের গলায় দড়ি বে্ঁধে দড়ির অন্যপ্রান্ত মিডিয়ের হাতে ধরিয়ে দিয়েছি। আর মিডিয়ার এখন মুড নেই পিলখানা নিয়ে কথা বলার। অথবা এখানে আপাতত ব্যাবসা নেই। একদিন হবে। যখন মিডিয়াতে হায়দার হোসাইন এর চেহারা ভেষে উঠবে," ... বুকের ব্যাথা বুকে জমায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার..." অফিসার দের গলিত লাশ যখন বার বার দেখা যাবে টিভি স্ক্রিনে, তখন আমরা পন্গপালের দল হয়ত আবারও জড় হবে কোনও এক শাহবাগ এ তোমাদের মৃত্যুর বিচার দাবি করতে অথবা অন্য কোনও ভাবে... সেদিনের অপেক্ষায় থাকলাম।