খেলবেন এই আশা করেছিলেন আম-জনতা। কিন্তু উপেক্ষা করার চরম পরিহাস দেখা গেল গত শুক্রবার। মুম্বাইয়ের নবম ম্যাচে জয়সুরিয়াকে বিশ্রাম দিয়েছিলো টিম ম্যানেজম্যান্ট। পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় অখ্যাত এক অস্ট্রেলিায়নকে। লুকো রনচি যার নামের পাশে রয়েছে মাত্র ৪টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা! ২২টি টোয়েন্টি টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি, ২টি ফিফটি করতে সক্ষম হয়েছেন এই তরুণ। আর ওপেন করতে গিয়ে ২ বল খেলে শূন্য রানে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। সে ম্যাচটি অবশ্য মুম্বাই হেরেছে। জয়সুরিয়াকে যদি বিশ্রামে পাঠাবেই তবে আশরাফুলকে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখার কারণ কি? তাহলে আশরাফৃল বাংলাদেশী বলে তাকে হেয়ালী করা হচ্ছে। জুনে রয়েছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর। বাংলাদেশ খেলবে বি-গ্রুপে, যেখানে রয়েছে শক্তিশালী ভারত এবং আয়ারল্যান্ড। ৬ জুন ভারতের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে অংশ নিবে আশরাফুলের দল।
টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশের গ্লামার খেলোয়াড় আশরাফুল ও মাশরাফি। তাদের পারফর্মেই ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের পতাকা উড়বে। কিন্তু পারফর্ম করতে না পারলে পতাকা উড়বেই বা কিভাবে। আইপিএল শুরু হয়েছে গত একমাস হলো। এই একমাসে আশরাফুল ব্যাট হাতে মাঠে নামার ফুরসুতই পাননি। প্রাকটিস ম্যাচ খেলেছেন, কিন্তু মুম্বাই টিম ম্যানেজম্যান্ট তাকে মূল দলে রাখেনি। টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য খেলোয়াড়রা ইতিমধ্যে তাদের প্রাকটিস করার সুযোগ পেয়েছেন চট্টগ্রামে পিসিএল হওয়ায়। কিন্তু বাংলাদেশের অধিনায়কের যদি ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য না হয়, তাহলে প্রাকটিসের অভাবে তিনি বিশ্বকাপের ম্যাচে পারফর্ম করবেন কিভাবে? আশরাফুলের ব্যাট হাসলে বাংলাদেশের ব্যাট হাসবে, গত কয়েক বছর ধরে এই সত্যটি প্রমাণ হয়ে আসছে।
গত টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একমাত্র জয় এসেছিলো এই আশরাফুলের হাত ধরে। সে ম্যাচে ৪৩ বলে ৬১ রান করেছিলেন, ৭টি চার ও ৩টি বিশাল ছয় মেরেছিলেন।
ওয়ানডে বিশ্বকাপেও দ্বিতীয় রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পিছনে তার অবদান অন্য রকম। ১২৭ বলে ৮৭ রানের এক ঝকঝকা ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন এই লিটল মাষ্টার। ১২টি চারও ছিল তার ইনিংসে।
বাংলাদেশকে জয় পাইয়ে দেবার পিছনে তার ব্যাটে যখন এত যাদু, অথচ তাকেই উপেক্ষা করা হচ্ছে। ৭৫ হাজার ডলারের বিনিময় মুম্বাই দলে নাম লেখানোর পর থেকে মানসিক অশান্তিতে ভুগছেন বাংলাদেশের এই লিটল মাষ্টার। মূল দলের প্রাকটিসের সময় তাকে দর্শকের ভূমিকায় বসে থাকতে হয়। প্রাকটিসের সুযোগ যে পান না তা নয়, কিন্তু সেটি আশরাফুলকে তৃপ্তি এনে দেয় না।
মাশরাফির অবস্থাও আশরাফুলের মতো। কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে প্রতিটি ম্যাচেই উপেক্ষিত করে রেখেছে। আর তার বোলিং তোপেই ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিলো ভারত।
৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে যমদূত বোলার হিসেবে খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন মাশরাফি।
ভারতের সেই দুঃসহ স্মৃতি অবশ্য এখনো ভোলার নয়। হয়তো সেই প্রতিহিংসায় বাংলাদেশের এই দুই আইকন পুড়ছেন। এরা আইপিএলে খেলতে না পারায় ক্ষতি হয়েছে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশেরই।
=>> ভারত গত ৩৮ বছর ধরে অনেক ভাবে এই বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ।এখন দেখছি সেই আগ্রাসী ছুবল ক্রিকেট এর উপর ও চলে এসেছে ।বিশ্বকাপে যাতে আবার এই বাংলাদেশের কাছে হারতে না হয় সেজন্যই কি এই ২ প্রতিভাবান কে মাঠে নামাচ্ছে না ?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৬