somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজব দেশের আজব মানুষ ও মজার অভিজ্ঞতা

২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোম্পানীর কাজের ব্যাস্ততার কারনে একদিন অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছিল। আমাদের সাথে কাজ করে আরো কিছু কোরিয়ান মহিলা, যাদের বেশীর ভাগ বয়স ই ষাট এর উপরে। বর্তমান সম্পরকে এদের ধারনা একেবারে নেই বল্লেই চলে। তো~ কোম্পানী পক্ষের একজন আমাদের জন্য চিকেন ফ্রাই নিয়ে এসেছিল, সবাই মিলে বসে এক সাথে খাচ্ছি, আর তখনি একজন কোরিয়ান মহিলা আমার এক বন্দুকে লক্ষ করে বলে, হেঁরে রাজু তোদের দেশে মুরগী আছে নাকি? আমার বন্দু তো প্রশ্ন শুনে অভাক, এইটা কি বলে~! ব্যপার টা হচ্ছে ওরা ভাবে আমরা তাদের দেশে টাকা রোজকার করার জন্য আসি, অবৈধ ভাবে থাকি, গায়ের চামড়া কালো, চুল এলোমেলো উস্কো খুস্কো, চেহারায় ওদের সাথে মিল নেই, আমারা বুজি বোসনিয়া,সোমালিয়ার ছাইতেও খারাপ জীবন যাপন করি। অবশ্য ওদের দোষ নেই, কারন মাজে মাজে কিছু প্রামান্ন্য চিত্র দেখায় এদের জাতীয় টেলিভীষনে, যে গুলি বলার অপেক্ষা রাখেনা। আর তাই ওদের এমন প্রশ্ন।

যাই হোক আমার বন্দুটি মনে মনে বল্ল, সালার বুড়ি দেখাচ্ছি তোকে মজা, বন্দুটি একটু... পরে বল্ল আছে। জবাব দিতে দেরি করায় ও ভাবল সত্যি আমাদের দেশে বুজি মুরগী নেই~! সে আরো একটু শিউর হওয়ার জন্য বলল আচ্ছা রাজু এইটা ডাক দেয় কি ভাবে? আমার বন্দুটি তখন বলল এইটা ডাক দেয় হাম্বা~~~~~করে। ওর তো ছোখ ছানাবড়া, এ কেমন কথা~! ও তখন আরো একটু কাছে এসে বলল আচ্ছা রাজু তোদের দেশে গরু ডাকদেয় কি ভাবে? আমার বন্দুটি তখন বলল এইটা ডাক দেয় কুক্কুরু কুক~~~ কুক্কুরু কুক। এইবার তো হতবম্ব হয়ে গেল~!
ও ব্যপারটাকে সত্যি সত্যি ভেবে নিয়েছিলো
আর সাথে সাথে বলে উঠল, তোরা কইরে শুনে যা রে শুনে যা, রাজুদের দেশে সব ই উলটা রে উলটা~~~।
আমরা সবাই হেসে ফেটে পড়লাম~~ সে এক মজার অভিজ্ঞতা।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১০ সকাল ৮:২২
১১টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×