somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বুক রিভিউ- কালো মেয়ে ,লেখক কাসেম বিন আবু বাকার

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হামিদুর রহমান,হাফিজুর রহমান দুই ভাই।হাফিজুর বড় ,হামিদুর ছোট ।তাহারা গ্রামের উচ্চবিত্ত পরিবার।জমিজমা আছে অনেক।তাদের জমি বর্গা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে গ্রামের অনেক।গ্রামের এই বর্গা চাষীর মেয়ে সাজেদা বেগমকে ভাল লেগে যায় হামিদুর রহমানের।
পরিবারের আপত্তি থাকার পরেও পরিবারের সুখ শান্তির কারনে হাফিজুর রহমান ছোট ভাইয়ের বিয়ে মেনে নেয়।
হাফিজুর রহমানের স্ত্রী নাবিলা বেগম এবং এক ছেলে ফায়জুর রহমান।
হামিদুর রহমানের স্ত্রী সাজেদা দেখতে কালো।শুধু কালো নয় কুচকুচে কালো।
হামিদুর রহমানের একটি মেয়ে আছে নাম রাবেয়া বেগম।
রাবেয়ার বয়স যখন তিন তখন হাফিজুর রহমানের স্ত্রী নাবিলা বেগম এবং ছোট ভাই কয়েক দিনের ব্যবধানে ছোট ভাই হামিদুর রহমান পক্স হয়ে মারা গেলেন।
তারপর
গ্রামের ঈদরীশ মৌলভির পরামর্শে হাফিজুর রহমান ছোট ভাইয়ের বউকে নিহাহ করে।
হাফিজুর রহমানের ছেলে ফায়জুর রহমান তার চাচী এবং বাপের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি।
তাই সে এস,এস,সি পরীক্ষার পর ঢাকা চলে যায় ,কলেজে ভর্তি হয়।সে আর বাড়ি আসেনি।
ছোট বোন রাবেয়া ফায়জুর রহমান কে চিঠি লিখে সে যেন বাড়ি আসে।
ফায়জুর এইচ,এস,সি পরীক্ষা দেয়ার পরও সে বাড়ি আসেনি।
হাফিজুর রহমান ঢাকা যায় ছেলেকে বাড়িতে ফেরত আনতে এবং তারা রাবেয়া বেগম এর সাথে ফায়জুরের বিয়ে ঠিক করে।
ফায়জুর সাফ জানিয়ে দেয় সে বাড়ি যাবেনা ,রাবেয়া কে বিয়েও করবে না।
অত;পর বাপ-বেটার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
ফায়জুর নিজ উদ্দেগ্যে ভার্সিটি ভর্তি হয় ।উচ্চশিক্ষা লাভ করে বন্ধুর বোন হেমাকে বিয়ে করে।
তাদের এক ছেলে হয় নাম সৈকত।
এদিকে রাবেয়া বেগমের বিয়ে হয় গ্রামের এক ছেলের সাথে।হাফিজুর রহমান তাকে ঘর জামাই হিসেবে রেখে দেয়।
সেই রাবেয়া বেগমের এক মেয়ে হয় নাম আসিয়া বেগম।
ফায়জুর রহমানের ছেলে সৈকত এবং রাবেয়া বেগমের মেয়ে আসিয়া বেগম।
তাদের নিয়েই কাসেম বিন আবু বাকারের "কালো মেয়ে" উপন্যাস।

উপন্যাসের ভুমিকায় কাসেম বিন আবু বাকার লিখেন-

"এ উপন্স্যাসের নায়িকা কালো।শুধু কাল নয় অসম্ভব কালো।এই কারনে ছোট বেলা থেকে সবার কাছ থেকে উপেক্ষিত।তাই জ্ঞান হবার পরে প্রতিজ্ঞা করে,ডাক্তার হবে এবং চির কুমারী থেকে গ্রামের দু;স্থ মানুষের সেবা করে জীবন কাটিয়ে দিবে কিন্তু মেডিকেলে পড়ার সময় ভাগ্যের বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ল------------------------------------! "

আসিয়া বেগম ঢাকা মেডিকেলে চান্স পেয়ে ভর্তি হয়।এদিকে ফায়জুর রহমানের ছেলে সৈকত ভর্তি হয় ঢাকা মেডিকেলে।
কেউ কারো পরিচয় জানে না।
অতঃপর
অনেকটা ভারতীয় বাংলা জিৎ কিংবা দেবের সিনেমার মত এগিয়ে যায় উপন্যাসের কাহিনী ।
মেডিকেল কলেজে বোরকা পড়ে,হাত,পায়ে মৌজা লাগিয়ে আসিয়া বেগম ক্লাস করতে আসে।সৈকত দাঁড়িয়ে থাকে কলেজের করিডরে।
বোরকা পড়া আসিয়া বেগম কে দেখে প্রেমে পড়ে যায় সৈকত।
সৈকত আসিয়া কে পাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকে।
সৈকত যখন আসিয়া বেগম কে বন্ধুত্বের আহ্নবান করে আসিয়া বলে উঠে-
-আমার কোন ছেলে বন্ধু নেই
-ইসলামে ছেলে মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব নিষিদ্ব।
আসিয়া বেগম সৈকত কে ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে বলে।তাকে বলা হয় -বন্ধু বান্দব দের সাথে ঘুরা ফেরা কমিয়ে দিয়ে ইসলামিক বই পড়ুন।
প্রথমে আপনাকে গোলাম মোস্তফার " বিশ্ব নবী" পড়তে হবে।এটা পড়লে পরবর্তীতে বোঝতে পারবেন কি বই পড়তে হবে।
এভাবেই উপন্যাসের নায়ক সৈকত ইসলামিষ্ট হয়ে আসিয়া কে জয় করেন ।

আরো কাহিনী আছে-আর লিখতে পার্তাছি না।

আমার কথা

কাসেম বিন আবু বাকার যখন কাল মেয়ে উপন্যাস বের করেন তখন সাল ১৯৯৪ ।আমি মনে করি তিনি সেই সময়ের গ্রামীন মুসলিম সমাজের স্থান,কাল,পাত্র অনুযায়ী উপন্যাস লিখেছেন।
বিশেষ করে কাসেম বিন আবুবাকার সেই সময়কার মুসলিম নর নারীর গোপন প্রেমকে উপজীবি করে কিছু কাল্পনিক,সত্য-মিথ্যা এবং এবং হাদিস ,কোরানের উদ্ধৃতি দিয়ে উপন্যাস লিখেছেন।
এখন আমরা যা পড়ছি তা আমাদের কাছে হাস্যকর লাগে।কারন সময়ের বাস্তবতা।
কাসেম বিন আবু বাকার মুসলিম সমাজের অংশ বলেই তাকে নিয়ে আজ সমালোচনা।যার বইয়ের ত্রিশতম সংস্করণ বেরোয়, বিক্রি দুই লাখ ছাপিয়ে যায় তাকে নিয়ে সমালোচনা হবেই।
ধন্যবাদ সবাইকে
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮
৫২টি মন্তব্য ৫০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×