জাতির জীবনের এক কঠিন অন্ধকার সময়ের সূচনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানতো ফেরেশতা ছিলেন না যে, উনার কোন ভুল হবে না। শাসক হিসেবে হয়ত অনেক কিছুই সঠিক করেননি। কিন্তু একটি জাতিকে জন্ম দেয়ার যে যন্ত্রণা তার সবটুকু ধকল তিনি অতিক্রম করে আমাদের আজ স্বাধীন-সার্বভৌম একটি আবাস স্থায়ী ঠিকানা করে দিতে পেরেছেন। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে মাত্র চার বছরে সোনার বাংলায় পরিণত করা খুবই কঠিন এবং দুরুহ কাজ। যদি তাই হতো, তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে কাছের সুবিধাভোগী জেনারেল জিয়ার সময় থেকে আজ অবধি কেন দেশটাতে সোনা ফলছে না? বলুন, একবার আত্মজিজ্ঞাসায় যান। আর নিজের পিতাকে কখনও অস্বীকার করা যায় না যেমন ঠিক তেমনি জাতির পিতাকেও অস্বীকার করা যায় না। ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের কাল রাতের পর থেকে দেশে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার দিকে হাঁটা শুরু হয় বাংলাদেশের। যে পথে আমরা আজও আছি। কিন্তু কেন, বলতে পারেন? কেন আজও আমার দেশের লাখ লাখ শিশু অপুষ্টিতে, অশিক্ষায় ভোগেন, কেন আজও আমার দেশের কৃষক, শ্রমিক, মুটে-মুজুরের পেটে দু'বেলা দু'মুঠো ভাত ঢোকে না। কেন আমার দেশের সবখানে দুর্নীতি, অনিয়ম, বাসা বেঁধে আছে। কেন আমার দেশের রাষ্ট্রনায়ক ও কোটিপতিদের সন্তানরা দেশের বাইরে গিয়ে পড়ে, কেন আমার দেশের দরিদ্র পরিবারের সন্তানটি জঙ্গি হয়, কেন দেশে তিন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে, কেন আমার দেশের মন্ত্রি-এমপি ও রাষ্ট্রনায়করা জনগণের টাকায় বিদেশ ভ্রমণ করেন ফুর্তি ও পরিবারের ভ্রমণপিপাসা মেটানোর জন্য, কেন তারা বিদেশ ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে চায় না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন প্রিয় বন্ধু-ভাই-বোনেরা আমার। শুধু মুখে বলে দিলাম আর সবার কাছে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট (জনমমের স্লো) কানেকশান দিলাম আর ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেল এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই।
জাতির পিতার হত্যা দিবসের আগমূহুর্তে আমার ভাবনাগুলো আপনাদের সামনে তুলে দিলাম। দয়া করে যৌক্তিকভাবে, শোভনভাবে আমার ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিন, সমালোচনা করুন কঠোরভাবে। আমি খুশি হবো।