সমকামিতা প্রতিটি ধর্মেই এক জঘন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য। ইহুদীদের তোরাহ, খ্রিস্টানদের বাইবেল এবং মুসলমানদের কুরআন শরীফ প্রতিটি আসমানী কিতাবেই এহেন অপরাধের জন্য জাতি/গোষ্ঠীসমূহ কিভাবে গযবে পতিত হয়েছে তার উদাহরণ বারংবার দেয়া হয়েছে। তাছাড়াও কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ উক্ত বিষয়ে ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারী সঙ্কেত দেয়া আছে। তথাপি ৯৭ ভাগ মুসলমানদের দেশে হুমায়ুন আহমেদের মতো একজন লেখক সমাজে সমকামিতা একটি সাধারণ মানবীয় আচরণ হিসেবে প্রচার করতে সিনেমা তৈরি করেছেন, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’। সিলেটের জমিদার ও বড়লোকরা নাকি সকল ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সমকামিতায় অভ্যস্ত ছিলো সামাজিক রীতি হিসেবে। ভাবখানা এ রকম যে, বিষয়টা তেমন অন্যায়ের কিছু না। তখনকার সিলেটি সমাজে স্বাভাবিক একটা বিষয় এখন কেন অস্বাভাবিক বলে ধারণা করা হবে? মূল উদ্দেশ্য সমকামিতার দিকে মানুষকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে মগজ ধোলাই করা।
এখন বাস্তবতা হচ্ছে, হুমায়ুন নাস্তিক বিষয়টি পুরানো, নিজের মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করে স্বামী ও পিতা হিসেবে চরম অন্যায় করেছে তাও পুরানো ঘটনা। তবে ৬৫ বছর বয়সে এসে যে সমাজে সমকামিতা উসকে দেয়ার জন্য সিনেমা তৈরি করার বিষয়টি নতুন এবং তার শরীরের বৃহদাতন্ত্রে (ঈষড়হব) ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়া প্রকৃতির পক্ষ থেকে এক মহান নিদর্শন, এই বিষয়টিও নতুন। ক্যান্সার হতে পারতো শরীরের যে কোনো অঙ্গে, কেন ওই অঙ্গেই হতে গেলো যা কিনা সমকামিদের লক্ষ্যস্থল?
এখন যাচাই করা যাক সে কি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অন্যান্য নাটক সিনেমার মতোই উক্ত সিনেমা তৈরি করেছে নাকি তাকে অনেক অনেক টাকা দেয়া হয়েছিলো সমাজকে কলুষিত করার জন্য ও রকম একটা সিনেমা করতে? উত্তর আমাদের কাছে আছে, শুধু সাধারণ মানুষের চোখ খুলে দিতে হবে তা দেখা এবং বুঝার জন্য।
গত ০৭ ডিসেম্বর ২০১১ জেনেভা শহরে পৃথিবীর সকল দেশের রাষ্ট্রদূতদের উপস্থিতিতে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি সমকামীদের পক্ষে এক জোরালো বক্তব্য প্রদান করে। (Click This Link)
তার বক্তব্য অনুযায়ী আমেরিকা এখন থেকে সমকামিদের প্রতি বিরূপ আচরণ সহ্য করবে না। কারণ তার মতে ‘সমকামীদের অধিকার’ হচ্ছে ‘মানবাধিকার’। সমকামীদের এই অধিকার রক্ষায় আমেরিকা তার বৈদেশিক সাহায্য (ফরেন এইড) এবং পররাষ্ট্র কার্যক্রমের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করবে পৃথিবী জুড়ে। ৯৭ ভাগ মুসলমানদের দেশে সমকামিতা একটি সাধারণ ব্যাপার, এমন একটা ধারণা চালু করতে হুমায়ুনের মতো একজন নাস্তিক ও লোভী নাট্যকারের প্রয়োজন ছিলো হিলারি ক্লিনটনের। ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ হচ্ছে হিলারির বৈদেশিক নীতিমালারই এক সাংস্কৃতিক বহিঃপ্রকাশ। হুমায়ুন আমেরিকার ওই ফরেন এইডের বড় ধরনের এক অঙ্কের বিনিময়েই বোধয় ওই সিনেমা তৈরি করে খোদায়ী গযবে পতিত হয়।
এখন থেকে হুমায়নকে যেই প্রশংসা কিংবা ভালো বলবে সেই জেনে না জেনে সমকামিতাকে সমর্থন করব আমেরিকার ফরেন এইডের মাধ্যমে আমরা দেশে সমকামিতা চালু হতে দিতে পারি না। লূত কিংবা সডোম ও গুমরাহবাসীদের মতো আমরা নিজেদেরকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। যেই সিনেমা হল ওই ছবি দেখাবে তা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ঈমানী দায়িত্ব। যেই দোকানে ঘেটুর সিডি পাওয়া যাবে সেখানেই আক্রমণ।
ঈমানী দায়িত্বের প্রথম অংশটি হচ্ছে এই লিখাটি যতো বেশি প্রচারণা সম্ভব তা করা। সম্মানিত সিলেটবাসীরদের কর্তব্য হচ্ছে- সিলেটের ঐতিহ্যের মানহানিকর এহেন সিনেমার বিরুদ্ধে মামলা করা এবং এর বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা।
হাদীছ শরীফ-এর উল্লেখ আছে, “যে যাকে ভালোবাসে সে তার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।” যে হুমায়ুনকে ভালোবাসবে সে তার অন্তর্ভুক্ত, সে সমকামীদের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সহায় হোন।