কোনো একটি বিষয়ের সত্যতা এবং বাস্তবতা যাচাই করতে হলে প্রাসঙ্গিক পরিবেশ, পরিস্থিতি সম্বন্ধে যেমন ধারণা থাকা প্রয়োজন, ঠিক ততখানি প্রয়োজন প্রচারকারী সংস্থা কিংবা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্বন্ধে বাস্তবভিত্তিক ধারণা থাকা। পশ্চিমা শক্তিকে যদি আমরা ধরে নেই একমাত্র শক্তি যারা সউদী রাজার মাধ্যমে বিভিন্ন মুসলমান দেশে ওহাবী/সালাফী ধারণা আত্মঘাতী মুসলমান তৈরি করছে এবং তাদের দিয়ে বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে একটি সন্ত্রাসীর ধর্ম হিসেবে বিশ্বে উপস্থাপন করছে, সেক্ষেত্রে ভ্রান্ত আক্বীদার মুসলমানদেরকে দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে আছে খোদ সউদী রাজা।
তবে পবিত্র দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচর কার্যক্রম কারা চালাচ্ছে? তারা হচ্ছে ওই নাটের গুরু ইহুদী পরিচালিত পশ্চিমা মিডিয়া। এই অভিশপ্ত ইহুদীরা হযরত মূসা আলাইহিস সালামের দাসত্ব না করে বর্তমানে ওরা হয়েছে শয়তানের পুজারী। ওরা খ্রিস্টানদের ভেটিক্যান দখলে নিয়ে এখন পোপকে দিয়ে শয়তানের পুজা করায়। খ্রিস্টানদের আক্বীদা ওরা ভিতর থেকে শেষ করে দিয়েছে। তাই এখন দেখা যায় খ্রিস্টানদের চার্চগুলো খালি এবং ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ ইউরোপ-আমেরিকার খ্রিস্টানরা আজ নাস্তিক।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ওই ইহুদী শক্তি খ্রিস্টানদের কাজে লাগিয়ে ইহুদী সউদীবংশকে মুসলমানদের ছদ্মবেশে আরব দেশের ক্ষমতায় বসায়। তখন থেকেই সউদী রাজবংশ ভেটিক্যানের মতো মুসলমানদের আক্বীদা ভিতর থেকে ধ্বংস করার কর্তব্যে রত। এখন বুঝার বিষয় হচ্ছে, যেই মিডিয়া এবং পবিত্র দ্বীন ইসলামকে একটি সন্ত্রাসীর ধর্ম বলে বিশ্ববাসীকে একটি ভ্রান্ত ধারণা দিচ্ছে, তারাই আবার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের তথাকথিত দুই মুসলমানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আসলে তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মূর্খ মুসলমানদেরকে ধোকা দিয়ে ওই দু’জনকে দেশগুলোর নেতা বানানো। ড. ইউনুস মিয়া যে একজন কাট্টা নাস্তিক এ বিষয়ে এদেশের খুব কম মানুষেরই সন্দেহ আছে। আর ওদিকে মালালাকে পাওয়া গিয়েছে একজন খ্রিস্টান মেয়ে হিসেবে।
ইতিহাসের দিকে নজর করলে দেখা যায়, তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্ক ছিলো একজন ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক, পাকিস্তানের কাইদি-ই আজম ছিলো পার মাতাল এবং শিয়া। সিরিয়ার আসাদ, ইরাকের সাদ্দাম, লিবিয়ার গাদ্দাফী সকলেই হচ্ছে নাস্তিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। ওই লক্ষ্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যেই ড. ইউনুস এবং মালালার পিছনে লক্ষ-কোটি টাকা খরচ করে আজকের এই প্রচারণা। ইসলামের শত্রুর স্থানীয় কিছু দালাল মিডিয়া এবং পত্র-পত্রিকা আছে যারা ওই ইসলামবিদ্বেষী শক্তির আদেশ/নির্দেশক্রমে কাজ করে এবং ওদের পক্ষ হয়ে ওই দুই নাস্তিককে প্রশংসাসূচক রচনা প্রতিনিয়ত তাদের পত্রিকায় ছাপায়। বর্তমান যামানায় শুধুমাত্র ইন্টারনেটের কারণেই আমরা তাদের ষড়যন্ত্র কিছুটা হলেও বুঝতে পারি।
ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এই দুই ইহুদী-খ্রিস্টানদের দালাল কখনো ধর্ম ইসলাম সম্বন্ধে কোনো কথা বলে না। তাদের কাছে মানবতাই হচ্ছে শ্রেষ্ঠধর্ম। যারা মানবতাকে জেনে না জেনে ধর্ম ইসলামের উপর স্থান দেয় তাদেরকেই দেখা যায় রাতের আঁধারে দানবতাকে পুজা করতে।