somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকার স্বীকৃত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং বিজয় !! (৩য় ও শেষ পার্ট)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সকালের নাস্তা করে সবাই আমরা গেলাম পুলিশ স্টেশনে পারমিশন নিতে, কিন্তু গিয়ে শুনি তাজিংডং যাওয়ার অনুমতি নাই । কারন সাম্প্রতিকালে পুকুর পাডা তে কিডনাপ হওয়াতে ও ইদানিং সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা বেডে গেছে,আমাদেরকে এখানকার পুলিশ এটাও বলছে যে তাজিংডং যাওয়ার অনুমতি কেওক্রাডং থেকে দেওয়া হয়।যেহেতু আমরা ইতিমধ্যে থানচি চলে এসেছি, আর আমরা যতগুলো তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম ,তার সবটুকুই ছিল থানচি দিয়ে যাওয়া। পিছু হটবার সুযোগ ছিল না।তবে আমি অনুরোধ করব যে,কেউ যেন অনুমতি ছাডা তাজিংডং না যায়, কিন্তু এখন আমরা গাইড খুজে পাচ্ছিনা, কারন যেহেতু অনুমতি ছিল না,অনেক চেষ্টার পরে একজনকে ঠিক করলাম, সে আমাদের নিয়ে প্রথমে গেল বিজিবি ক্যাম্পে গেলাম, তারপরে বাসায় যাচ্ছি বলে সেই যে গেল আর এল না।কি আর করা, আবার ফোন দিলাম ঐখানকার গাইড সমিতিকে লোকের ব্যবস্থা করতে, অনেক দেনদরবার করে নুরু নামের একজন গাইড ঠিক করলাম, বিজিবি ক্যাম্পের ফর্মালিটি শেষ করে গেলাম পুলিশ ফাডিতে গেলাম আমাদের নাম এন্ট্রি করাতে, যেহেতু আমাদের অনুমোদন ছিলনা তাজিংডং, তাই আমাদের অনুমতি দিল রিমাক্রি দিয়ে নাফাকুম পর্যন্ত। এই সময়ের মাঝে আমরা কিছু ছবি তুললাম থানচি ব্রিজের উপর এবং কিছু ছবি তুললাম বিজিবি কেম্পের পাশে যেখান থেকে নৌকাযোগে রিমাক্রির যাত্রা শুরু হয় সেই ঘাটে দাডিয়ে।


অবশেষে যাত্রা করলাম দুপুর ১২.০০টায় ।


তখন ছিল ভর দুপুর আর তার উপর ছিল হঠাৎ করে পাহাডে উঠা, তাই আমরা খুব হাফিয়ে উঠেছি, প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছিল পাহাডের ঢাল বেয়ে উপরে দিকে উঠতে। পাঁচ মিনিট পর পরই আমরা দাডাচ্ছিলাম, আর পানি পান করছি। এর মধ্যে আমাদের মধ্যে মাসুদ খুব ক্লান্ত হয়ে গেল, যে কিনা আমাদের সবচেয়ে বেশি উৎসায়ী ছিল এই ট্যুরের ব্যাপারে। কিছুদুর যাওয়ার পরে সে বলল আর যেতে পারবে না। অবশেষে সে বলল যে ফেরত যাবে, আর আমরা বেশি জোরাজুরি করলাম না। কারন এটা শরীরের ব্যাপার, আর কোন বড সমস্যা হতে পারে,তাই আর জুরাজুরি না করে তাকে বললাম যে ধিরে সুস্থে যেন যায়।অবশেষে আমরা ১০ জনের দল নিয়ে রওয়ানা হলাম আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যস্থল বোর্ডিং পারার দিকে, কিন্তু আমি সহ কয়েকজনের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না , তারপরেও মনের জোরে ও তাজিংডং দেখার তীব্র আকাংখা থেকে পা দুইটা টেনে চলছি। চলছি তো চলছি ,পথ যেন শেষ হতেই চাই না।আমরা যখন জীরি পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন খাডা ঢাল বেয়ে নিচে নামতে পাদুটো কাপছিল দুপুরের রৌদ, ক্ষুধায়, ও পিপাশায় কাতর হয়ে ।


অবশেষে, ঝিরির আগে একটা ছোট্ট ঝর্নার পানির একটি খাল পেলাম, আর সেই পানিতে আমরা সবাই গোসল করলাম এবং সাথের খালি পানির বোতলগুলো ভর্তি করলাম এবং বিস্কিট দিয়ে হালকা নাস্তা সেরে নিলাম।


পথ চলতে চলতে পাহাড়ের উপর থেকে চোখে পড়ে বোডিং পাড়া। থানচি থেকে রওনা হয়ে প্রথম পাড়ার দেখা পেলাম। পাহাড়ের বুকে গড়ে উঠেছে ঝিরি পাড়ের এই বোডিং পাড়া। ম্রো আদিবাসীদের বসবাস এই পাড়ায়।


বোডিং পাড়া দেখে যেন প্রাণ ফিরে ফেলাম, পা দুটো আর চলেছেই না।কিন্তু দূর থেকে দেখলেও এখনও অনেক পথ পাডি দিতে হবে, পাডি দিতে হবে সামনে একটা পাহাড।
অবশেষে পৌছলাম বোডিং পাড়ায়, পাডায় ঢোকার মুখেই পেলাম পাহাডী ঝর্নার পানি বাহিত একটি সচ্ছ পানির খাল, যেখানে গিয়েই সবাই ব্যাগগুলো পাশে রেখে শুয়ে পডলাম নরম ঘাসের উপর, আর কেউ বা দীর্ঘপথ পাডি দেওয়া ব্যাথায় টনটন করা পা গুলোকে পানিতে ভিজিয়ে যেন “Water therapy” নিচ্ছিল ।



এই ফাঁকে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম, মাহফুজ ও কলি তো ক্লান্তি কাটাতে গোসল করেই নিল। আর রিজবি ও এহসান ভাই তো লেগে গেল পাথর দিয়ে পানির উপর দিয়ে পার করতে । এর মধ্যে আমাদের দুই জন মিনহাজ ভাই ও আমাদের গাইড নুরু পাডার ভিতরে গেলেন রাতটা কাটাতে রুম ও ভাতের ব্যবস্থা করতে। পাডাটিতে ঢুকতেই দেখলাম অনেকগুলো শুকুর আমাদের চারপাশে ঘুরছে যেন আমাদের স্বাগতম জানাচ্ছে।


পাডাতে ঢুকেই আমাদের কাছে থাকা বিস্কিট দিয়ে ঐ পাডার ছোট ছোট বাচ্চাদের দিলাম, ওরা খুশিমনে নিল এবং আমরা ঐ পাডার আতিথ্য গ্রহন করলাম।তারপর আমরা নির্ধারিত বাসায় উঠলাম, ঢুকেই সবাই সটান হয়ে শুয়ে পডলাম ক্ষিদায় ও ক্লান্তিতে, সারাদিন আমাদের পেটে একটুও ধানাপানি পডেনি, শুধু বিস্কিট ও পানি খেয়ে ছিলাম।
যার ঘরে আমরা উঠলাম, তারা আমাদের ভাত রান্না করল,কিন্তু তরকারী আমরাই রান্না করলাম, এরা আসলে জানে না আমাদের রান্না করতে , আর তাছাডা এরা শুকুরের চর্বিকে তেল হিসেবে ব্যবহার করে যেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না, তাই কি করা, মাহফুজ, আমাদের গাইড নুরু মিলে মিষ্টকুমডা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে সিদ্ধ করে তরকারী রান্না করল এবং ডিমও সিদ্ধ করল।আর এই দিয়ে আমরা পুরা দিনের ভোজন পর্ব শেষ করলাম ,তখন সন্ধ্যা ৬টা । যেহেতু ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা খুব একটা ভাল না, তাই আমরা ঐখানকার দোকান থেকে বিস্কিট , কোল্ড ডিংঙ্কস কিনে রাখলাম পরের দিনের তাজিংডং যাত্রার পথিমধ্যে খাওয়ার জন্য । তারপর শুনলাম যে ঐদিন ওদের একটি ধর্মিয় অনুষ্ঠান আছে, যেটাতে ওরা শেল দিয়ে গরু হত্যা করে সবাই মিলে খাবে। ।এরই ফাঁকে আমরা ঐখানকার বাসিন্দাদের জন্য জন্য ঐখানকার তৈরি হালকা মদের ব্যবস্থা করলাম। যাতে আমরা ওদের সাথে ফ্রি হতে পারি, কারন যদিও সবাই আমরা সবাই ছিলাম হাসি খুশি, কিন্তু তবুও মনে মনে ভয় পাচ্ছি এই জন্য যে এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে । বোর্ডিং পাডা এমন এক জায়গায় অবস্থিত, যেটা পুরাপুরি সেনাবাহীনি, বিজিবি এবং যেকোন প্রকার আইনশৃংখলা বাহীনির আওতার বাহিরে,তার উপর এখানে আসার অনুমতি ছিলনা।কিন্তু ভয়টা কেউ কাকে প্রকাশ করছিনা ,পাছে না আবার কে কি ভাবে ব্যাপারটা নিয়ে!!


যা হোক, প্রায় রাত ১২.টা পর্যন্ত আমরা উপভোগ করলাম ম্রো আদিবাসীদের সংস্কৃতি, নাচ, তাদের ধর্মিয় কালচার ও তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি। বিশেষ করে মাহফুজ ও শরিফ ভাই খুবই উপভোগ করল পাহাডীদের এই সংস্কৃতি ।




একটা গরুকে একটা কাঠের গুডির সাথে বেধে, ঐ গরুকে কেন্দ্র করে সা্রারাত ধরে নাচবে এবং পরের দিন এই গরুকে শেল মেরে হত্যা করবে এবং তারপর সবাই মিলে খাবে।যদিও পরেরদিন গরু মারার দৃশ্যটি দেখতে পারি নাই তাজিংডং যাওয়ার কারনে, কিন্তু তাদের ধর্মিয় রীতিনীতিগুলে দেখলাম শুধুমাত্র হাছান ভাই বাদে, ওনি শুধু ঘুমাইছিল !! এত প্রচন্ড শীত ছিল যে ঐখানে শীতের কাপড গায়ে সত্তেও আগুন জ্বালাইলাম আগুন পোহাতে ।


পরেরদিন খুব ভোরে উঠে গরম ভাত খেলাম ভাত দিয়ে তরকারী না থাকাতে, আর সাথে বিস্কিট ও কোল্ড ড্রিঙ্কস নিয়ে দ্রুত রেডি হয়ে গেলাম ।আমাদের ব্যাগগুলো রেখে দিলাম এখানে, কারন এই ব্যাগ নিয়ে তাজিংডং উঠা সম্ভব না, তা হাডে হাডে টের পেয়েছি থানচি থেকে আসার সময়।

ভোরের আলোয় যাত্রা পথে শীতের দিনে পাহাড়ের সবুজ রং হারানো কুয়াশার মোড়ানো পথ বেশ উপভোগ্য। উঁচুনিচু পাহাড়ি পথ, পথে পথে ছোট জুম ঘর। পাহাড়ের চূড়া বেয়ে নামছে সকালের নির্মল সোনালি সূর্যেরের প্রথম রশ্মি।



ঝিরির ঠাণ্ডা জলের পরশ নিয়ে কিছুক্ষণ পরেই যাত্রার করলাম তাজিংডংযের পথে। বোডিং পাড়ার দীর্ঘ খাড়া পাহাড় পেরিয়ে যেতে এই পাহাড়ের উচ্চতা দেখেই চোখ কপালে উঠল। শীতের দিনে পথে তেমন জোক বা বৃষ্টির উৎপাত নেই। তবে ক্রমাগত উতপ্ত হয়ে ওঠা দিনের সূর্য, হাঁটার গতিকে কমিয়ে দিয়েছে ক্রমাগত। ভোরের কুয়াশা সকালের কিরণ, সকালের কডা রোদ, প্রচন্ড গরম এসব নিয়েই পথ চলছি উঁচুনিচু পাহাড়ের সরু পথ বেয়ে।এক পাহাড থেকে আরেক পাহাডে । তাই আমাদের বার বার রেষ্ট নিতে হচ্ছিল ।


কিছুদুর যাওয়ার পরে ভয়ংকর পথের মুখোমুখি হলাম, যে পথের নিচের তাকালেও ভয়ে গায়ের লোম খাডা হয়ে যায়। তারপর মনে সাহস সঞ্চয় করে ধিরে ধিরে নামতে লাগলাম।


জুম ক্ষেতের পথ পেরিয়ে কখনও ঝিরি, ক্যাসকেড বেয়ে আসা ঠাণ্ডা জলের স্রোত, বুনো পথের ট্রেইল এসব পায়ে ঠেলে পথ চলেছি তাজিংডংয়ের পথে। দুপুর ১২.০০ দিকে পৌঁছে যাই শেরকর পাড়ায়। বলা যায় এটি তাজিংডংয়ের বেইস ক্যাম্প। পাড়ায় বম আদিবাসীদের বসবাস। পাড়ায় ঢুকতেই কথা হয় কারবারি সঙ্গে।ঢুকেই আমরা সবাই ডাবের পানি খেয়ে তৃষ্ণা নিবারন করলাম ।
দুপুরের খাবারের জন্য ভাতের অর্ডার দিলাম,পাহাডীদের কাছ থেকে মুরগ কিনে আমরা জবাই করে ওদের দিলাম দুপুরের খাবার রেডী করতে।পানির বোতলগুলো আবার পানি ভর্তি করে নিলাম।ঘন্টাখানিক বিশ্রাম নিয়েই আবার যাত্রা শুরু।


শেরকর পাড়া থেকে তাজিংডং দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে পুরোটা পথ উঠতে হবে। মানে ‘আপ হিল’। ঠিক ভরদুপুরের দিকে পা বাড়ালাম তাজিংডংয়ের পথে।



বুনো পথে ছড়ানো সৌর্ন্দয্যের মালা। কোথাও কোথাও বুনো ফুলের দল, চেনা-অচেনা কীটপতঙ্গ, কান ভারি করা পাহাড়ি পোকার তীব্র শব্দ। এসব দেখতেই দেখতেই পা ফেলছি। এমন কষ্টকর পথ যেন শেষই হয় না। তীব্র গরমে প্রায়ই গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল। পুরোটা পথে আমাদের চেনা সভ্যতার কোনো চিহ্ন মাত্র নেই। পথ চলতে চলতে একসময় কিছুটা দূর থেকে চোখে প্রায় সারি করা তিনটি চূড়া, সবোর্চ্চটা দেখে বুঝা যাচ্ছিল, নর্থ চূড়া বলেই ট্রেকারদের কাছে পরিচিত, এটি তাজিংডংয়ের সেন্ট্রাল চূড়া থেকেও উঁচু। ক্লান্ত শরীর ভেঙে উঠছি নর্থ পিকের চূড়ায়।উঠার পথের বিভিন্ন বাকের পথগুলি এত ভয়ংকর যে একটু পা পিছলে পডলেই নিশ্চিত মৃত্যু অপেক্ষা নিচে, তাই খুব দেখেশুনে সাবধানে পা বাডাচ্ছিলাম যাতে না শুকনো পাতার উপর পা পডে।কারন এই শুকনো মৌসুমে শুকনো পাতা হল পা পিছলানোর অন্যতম একটা কারন ।চূডার উঠার ঠিক আগ মুহুর্তের পথটা এত ভয়ংকর ছিল যে খুব ভয় পেয়েছিলাম, ঝুরঝুরে বালি আর ছিল শুকনো পাতা, আর তার উপর শুকনো বাঁশের সাপোর্ট নিয়ে উঠছিলাম ,তা কখনো ভুলার নয়, মনে হচ্ছিল মৃত্যুর ইঞ্চিখানেকের মধ্যে থেকে ফেরত এসেছি ।

চূড়ায় উঠে মনের দীর্ঘশ্বাসটা যেন একটা সার্থকতা খুঁজে পায়।শত কষ্টের মাঝেও তাজিংডং এর চূডায় উঠতে পারার আনন্দে সব কষ্ট এক নিমিষেয় দূর হয়ে গেল। সবোর্চ্চ চূড়া থেকে নিচের পাহাড়ি খাঁজ, জুমক্ষেত, চোখ সীমানায় বন্দি হওয়া পাহাড়ি পাড়া সবকিছুকে তুচ্ছ মনে হয়। চূড়ায় দাঁড়িয়ে কেবল মনে হচ্ছিল— পাহাড়কে কখনও জয় করা যায় না, শ্রদ্ধায় অবনত হতে হয়।


তাজিংডংয়ের চূড়া দূর আকাশের গায়ে হেলান দেওয়া পাহাড় আর মেঘমল্লার দল দেখে মনে হয় এই বিস্তৃত অরণ্যভূমি পেরোলেই যেন ধরা দিবে নতুন কোনো স্বপ্ন।অনেক ছবি তুললাম।



আর কেউবা চুডায় উঠেই শুয়ে পডল।


আর দূরের বাংলাদেশ ও মায়ানমার সিমান্তের সাকাহাফং যেন আমাদের হাতছানি দিয়ে ঢাকছে।



পরেরবার যাব বলে চিন্তা করে আমরা আবার ফিরতি যাত্রা করলাম ।আপাতত, আমরা শেখর পাডা চলে আসলাম।এখানে এসে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে বাঁশের চাটায়ের উপর দিলাম ঘুম। এর ফাঁকে মিনহাজ ভাইয়ের সাথে শোয়া অবস্থায় একটি সেলফি তুললাম


ঠিক বিকাল ৪ টায় ঘুম থেকে ওঠে আবার বোর্ডিং পাডার উদ্দ্যেশে রওয়ানা দিলাম। ঐদিন সন্ধার ভিতরে পৌছে গেলাম।আবার আমি আর এহসান ভাই সেই খালে গোসল করে ফ্রেস হয়ে রুমে গেলাম। পরেরদিন খুব সকালে ফিরতি যাত্রা করলাম থানচিত উদ্যেশ্যে ।



অবশেষে থানচি এসে ভাল করে নাস্তা করে চাঁদের গাডি রিজার্ভ করলাম এবং তারপর চট্টগ্রাম !

প্রয়োজনীয় তথ্য: বছরের যেকোনো সময় তাজিংডং ঘুরে আসতে পারেন। বর্ষায় সবচেয়ে সুন্দর। তবে এই সময় পাহাড়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় বলে ট্র্যাকিং করা বেশ কষ্টকর। বান্দরবানের থানচি বাস স্টেশন থেকে প্রতিদিন বাস ছাড়ে থানচির পথে। তাছাড়া রিজার্ভ চান্দের গাড়িতে থানচি পৌঁছানো যাবে। থানচি থেকে বোডিং পাড়া, শেরকর পাড়া হয়ে তাজিংডং পৌঁছানো যায়।

খেয়াল করবেন: ট্র্যাকিংয়ের প্রস্ততি নিয়ে যেতে হবে। পাহাড়ি পথে হাঁটার জন্য জুম-জুতা অথবা ট্রেকিং সু নিতে পারেন। বান্দরবান বা থানচি বাজারে জুম-জুতা পাওয়া যায়। অবশ্যই ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক নিতে হবে। মশারোধী ক্রীম, গামছা, ছুরি, স্যালাইন, শুকনাখাবার এসব নেওয়া জরুরি। প্রকৃতি রক্ষা করতে হবে সবার আগে। তাই পাহাড়ি ট্রেইলে কোনো প্ল্যাস্টিক বা অপচনশীল কিছু ফেলবেন
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×