somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কথিত দেবতার পাহাড পাডি দিয়ে অমিয়াকুম, সাতভাইকুম, ভেলাকুম এবং নাফাকুম ভ্রমন !!২য় পার্ট

০৯ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২১ শে ফেব্রুয়ারী, খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে রেডী হয়ে গেলাম। সকাল ৬.০০ আমাদের যাত্রা শুরু হল থানচির উদ্যেশ্যে। যাত্রা শুরু হওয়ার কিছুক্ষন পরেই বান্দরবন-থানচির রোডের ভয়ংকর সুন্দর যত সব ইউটার্ন (বাক)। সেই সব ভয়ানক টেকের মোডের কথা স্মরণ করলে এখনও গা ছম ছম করে উঠে।কারন সে সব পয়েন্টে গাডীর গতি একটু ১৯-২০ হলেই কি ঘটবে, তা ভাবতেই ভয় লাগে। যাক এসবের ভিতর দিয়েই আমাদের গাডী এগিয়ে চলল। এরই মধ্যে আমরা শৈলপ্রপাত সহ আরও কয়েকটা পর্যটন এলাকা ক্রস করে এলাম।আমাদের মধ্যে রাসেদ ভাই ক্যানের বোতলের সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে মোবাইলে গান চালিয়ে দিল এবং এই কাজে রাশেদকে হেল্প করল সোহেল ভাই।এরই মাঝে কেউ বা নিজেই গান গাইছিল, আর কেউবা চুরুট টানছে, আর তা দেখেই অন্য একজন তাতে কয়েক টান দেওয়ার জন্য "1st booking " কিংবা "2nd booking" দিয়ে রাখছে। আর এটাই ছিল এই ট্যুরের দেখারমত এক দৃশ্য। আর আমি আশেপাশের প্রকৃতি দেখেই সময় পাস করছি। একে একে আমরা চিম্বুক পাহাড, নীলগীরিসহ আর অনেকগুলো পর্যটন স্পট অতিক্রম করলাম।আমি দেখেছি ইন্ডিয়া ভুটান ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় পাহাডের খাজ বরাবর রাস্তা হতে, কিন্তু পাহাডের একদম চূডা দিয়ে রাস্তা দেখলাম বান্দরবন-থানচি রোড। এভাবেই অনেকগুলো পথ পাডি দিয়ে "বলি" পাডায় পৌছলাম।


উপরের ছবিটি বলি পাডায় রিপোর্টিং এর সময় তোলা ছবি !!

ঐখানে গিয়ে বিজিবি ক্যাম্পে রিপোর্টিং করতে হল। রিপোর্টিং শেষে আবার যাত্রা শুরু হল। যাওয়ার পথে একটা জিনিস খেয়াল করলাম, সেটা হল নীলগিরি পার হওয়ার পর শীত যেন ক্রমেই বেডে তীব্র আকার ধারন করছে, পরে অবশ্যয় বুঝতে পারলাম সামনে ছিল বিশাল একটা পাহাড যেটি ঠিক হিমালয়ের মত দাঁডিয়েছিল, যার ধরুন শীত বেশি লাগছিল। যাক, প্রায় ২.৩০ ঘন্টা থেকে ৩ ঘন্টা জার্নির পরে থানচি এসে পডলাম। এসেই গাইড ঠিক করে তারপর ভাল করে নাস্তা করলাম, কারন সারাদিন এটা খেয়েই কাটাতে হবে।গাইড হল সেই নুরু যাকে নিয়ে গতবছর আমরা তাজিংডং গিয়েছিলাম।
সবাই মিলে পুলিশ কেম্পের সামনে সেলফি নিলাম।।


পুলিশ এবং বিজিবি এর অনুমতি পর্ব শেষ করে রিমাক্রি যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু।


নৌকাতে উঠার ঠিক আগ মুহুর্তে তোলা ছবি ।

আমরা ১২ জনের জন্য তিনটা নৌকা ভাডা করা হল এবং যথাক্রমে চার জন করে উঠে গেলাম। সাংগু নদী পথে এগিয়ে চলল আমাদের নৌকা, অবশ্যয় এটাকে নৌকা না বলে আফ্রিকান ক্যানু বলাই ভাল, কারন এগুলো অনেকটা ভেলার মত, যেটা পুরা একটা গাছকে কেটে খোলের মত করে বানানো।নৌকা ভ্রমনের মত এত আনন্দ ও রোমাঞ্চ আগে কখনো পাইনি!
অসাধারণ সেই অনুভুতি যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নই, তাই ঐ মূহুর্তের অনেকগুলো ছবি নিচে দিলাম ।

প্রকাশ

[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/Fahimabu/Fahimabu-1494337004-26419a8_xlarge.jpg


চারদিকে অবারিত সবুজের মেলা, নদীর তীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেত খামার, তার বেশির ভাগই হল তামাক চাষ।আর এভাবেই আমরা পদ্মঝিরির মুখে পৌঁছে গেলাম। ঐখানে নেমেই আমরা হালকা নাস্তা পানি খেয়ে নিলাম।এর পরই শুরু আমাদের আসল ট্রেকিং।

পদ্মঝিরির পথ ধরে --------


এখান থেকেই মূলত শুরু হল আমাদের পাহাড, ঝিরি পথে হাটা। ঝিরির পথে হাটতে ভালই লাগছিল,কেউ বা আগে আর পিছে, মাঝে মাঝে প্রকৃতি ছবিও তুলছিলাম। প্রায় ঘন্টা দুয়েক হাটার পর ঝিরির পথে একটা জায়গায় দেখলাম, এক লোক চা বিক্রি করছে। সেখানে বসে আমরা চা, বিস্কিট এবং কলা খাইলাম এবং সবাই মিলে একটা অল্ফি( সেল্ফি) ও নিলাম। তারপর আবার হাটা শুরু যথারীতি।

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×