বর্ণবাদ সমর্থকদের কেন যেন আমার কাছে জন্মত্রুটিসম্পন্ন বিকৃতমনা মানবসম্প্রদায় মনে হয়। যদিও কারো মস্তিষ্ক এবং জন্ম নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করাটা ঠিক না; তবুও মাঝে মাঝে বাধ্য হয়েই করে ফেলি।
একজন মানুষ তখনই বর্ণবাদীতা করবে, যখন সে তার জন্মপরিচয় এবং জন্মপ্রক্রিয়া ভুলে যাবে। তার মস্তিষ্কজনিত সমস্যার কারণেই সে এটা বুঝবে না যে, মানুষ বুঝেশুনে কালো অথবা সাদা সন্তান জন্ম দেয় না। এটা প্রাকৃতিক এবং এর উপর মানুষের কোন হাত নেই।
মানুষের পরিচয় হওয়া উচিত তার কর্মে এবং যোগ্যতায়; চামড়ার রঙে নয়। সাউথ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া প্রাক্তন ইংলিশ ক্রিকেটার এবং এককালে বর্ণবাদীতার কবলে পড়ে নিগৃহীত বাসিল ডি অলিভিয়ের ভাষ্যমতে, "আমার আমার গায়ের রঙ নিয়ে গর্বিত, আমি গর্বিত আমার অর্জন করা সেসব সাফল্য নিয়ে। সমগ্র বিশ্বের কালোদের হয়ে আমি প্রমাণ করতে পেরেছি, যোগ্যতা গায়ের রঙে নয়, যোগ্যতা হল দক্ষতায়।"
সবচেয়ে বড় কথা;
"কালো আর ধলো বাহিরে কেবলই
ভিতরে সবারই সমান রাঙা"
.
এবার আসেন আসল ঘটনায়ঃ
কিছু কিছু মানুষ বাংলাদেশ টিমের প্রতি আসলে 'খুব' পজিটিভ। আই রিপিট, 'খুব' পজিটিভ।
এতটাই পজিটিভ যে, সেটা মোটামুটি নেগেটিভের পর্যায়ে চলে যায়।
এদের কারণে টিমের কোন গঠনমূলক সমালোচনাও করা যাবে না। বাঁ হস্ত এবং নাক অর্পণ করবেই এরা কিছু বুঝুক আর না বুঝুক। বাংলাদেশ টিমের 'ডু অর ডাই' সাপোর্টার হওয়া মানে এটা না যে, টিমের গঠনমূলক বা যৌক্তিক সমালোচনা করা যাবেনা।
আজিব এক প্রাণীকুল এরা!!
এরা এত বেশি পজিটিভ যে, বর্ণবাদীতার মতো নিকৃষ্টতা দেখাতেও এদের বাধে না।
আর এদের জন্যই শান্তিপ্রিয় এবং সত্যিকার বাংলাদেশী বেশিরভাগ সমর্থকরাও বাইরের বিশ্বে অভদ্র সমর্থক বলে গণ্য হয়; আর অসহ্য হয়ে দেশী প্লেয়ারদেরকে তাদের ফেবু পেজ ডিজেবল করে দিতে হয়।
ফালতু যত্তোসব।।
এগুলোকে বাপ মা জন্মদান করে আচারনিষ্ঠা না শিখিয়েই রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছিল। ফলশ্রুতিতে পুরো দেশবাসীকে এইসকল বেজন্মাদের কারণে ভুগতে হয়। (কারো মা বাবা ধরে কথা বলা ঠিক না। কিন্তু না বলেও উপায় নাই।)
এদেরকে অন দ্যা স্পট ধোলাই দেয়াটাই উত্তম। তাহলে এই খবর মিডিয়াতে আসলে বাকি শুয়োরগুলোও যত্রতত্র নিজেদের বংশ ও জন্মত্রুটির পরিচয়দানের ব্যাপারে সাবধান হয়ে যাবে।।
কারো 'কোথাও' লাগলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
আসুন, 'গাহি সাম্যের গান'।
বর্ণবাদ,
নিপাত যাক।।